ভোটার হালনাগাদের ছয়টি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এসব শর্ত পূরণে নানামুখী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ভোটারদের। এর মধ্যে প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে কাবিননামার শর্ত পূরণে সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনার কথা জানিয়েছেন ভোটার ও গণনাকারীরা।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নতুন ভোটার হওয়ার জন্য বেঁধে দেওয়া শর্তগুলো হলো– জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি, মা-বাবার আইডি কার্ডের ফটোকপি, শিক্ষাগত সনদের ফটোকপি (ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে), বিদ্যুৎ বিলের কপি, কাবিননামার ফটোকপি (বিবাহিতদের জন্য প্রযোজ্য) ও নাগরিক সনদ।
ভোট গণনাকারীরা জানান, সারাদেশের ন্যায় তাহিরপুর উপজেলায় জানুয়ারির ২০ তারিখ থেকে ভোট হালনাগাদকরণের কাজ শুরু হয়েছে। চলবে ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ পর্যন্ত। উপজেলায় এ বছর ৭টি ইউনিয়নে ভোট হালনাগাদ করতে ১৭ জন সুপারভাইজার এবং ৭৬ জন ভোট গণনাকারী নিয়োগ দিয়েছে উপজেলা নির্বাচন অফিস। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন সুপারভাইজার 
ও গণনাকারীরা। শর্ত হিসেবে জুড়ে দেওয়া ৬টির 
মধ্যে বিশেষ করে কাবিননামার কপি দিতে ভোটাররা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এতে করে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তথ্য সংগ্রহকারীদেরও।
ভাটি তাহিরপুর গ্রামের নারী ভোটার জোহা আক্তার জানান, তাঁর বাবার বাড়ি জামালগঞ্জ উপজেলায়। 
তিনি ভোটার হতে গিয়ে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র মেলাতে পারলেও কাবিননামা আনার জন্য যেতে হবে 
সেই জামালগঞ্জে।
ঠাকুরহাটি গ্রামের মান্না মিয়া জানান, তিনি ভোটার হতে গিয়ে তাঁর নাগরিক সনদপত্র পাওয়ার জন্য তিন দিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদে ঘোরাঘুরি করছেন। ইউনিয়ন পরিষদে সচিব না থাকার কারণে তিনি নাগরিক সনদপত্র সংগ্রহ করতে পারছেন না।
ভোট গণনাকারী তাহিরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হোসেন আহমদ জানান, বিগত সময়ে ভোট হালনাগাদ করতে ভোটারদের শুধু নাম-ঠিকানা, অনেক ক্ষেত্রে আইডি কার্ড দেখেই তালিকায় নাম তোলা হয়েছে। এ বছর ভোট হালনাগাদ করতে ৬টি শর্ত আরোপ করায় ভোটারদের নানামুখী বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, ভোটার হালনাগাদ করতে ৬ শর্তের মধ্যে শিক্ষা সনদের ক্ষেত্রে যারা এসএসসি পাস করেছে তাদের বেলায় সনদ প্রয়োজন হবে। যারা পাস করেননি তাদের বেলায় প্রযোজ্য নয়। কাবিননামার বিষয়ে তিনি জানান, অনেক ক্ষেত্রে ভোটারের বাবা-মায়ের ঠিকানা অন্য উপজেলাতে হয়। ভোটার হতে চায় তাহিরপুর উপজেলাতে। সে ক্ষেত্রে কাগজপত্র মেলানোর জন্য কাবিননামা চাওয়া হয়; অন্যদের বেলায় কাবিননামা প্রয়োজন হবে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ব নন ম র গণন ক র র জন য উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মাসিক না হওয়ার কারণ

মেনোপজের আগে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ

গর্ভধারণ ও স্তন্যদান।

জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল কিংবা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি ব্যবহার।

অতিরিক্ত কম বা বেশি ওজন, অতিরিক্ত ভারী ব্যায়াম কিংবা অতিরিক্ত মানসিক চাপ।

থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি কিংবা আধিক্য, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কিংবা অন্য যেসব রোগের কারণে হরমোনের তারতম্য হয়।

ডিম্বাশয়ের টিউমার কিংবা ডিম্বাশয় বা জরায়ুতে কোনো অস্ত্রোপচার।

উচ্চ রক্তচাপ, অ্যালার্জি, বিষণ্নতা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যায় ব্যবহৃত ওষুধ।
কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি।

ডিঅ্যান্ডসির (ডায়ালেশন ও কিউরেটেজ নামের একটি অস্ত্রোপচারপদ্ধতি) মাধ্যমে গর্ভপাত।

আরও পড়ুনমাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা হয় কেন? ২৩ এপ্রিল ২০২৫কৈশোরে মাসিক শুরু না হওয়ার কারণ

নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছেও যাঁর মাসিক শুরু হয়নি, তাঁর জন্য কারণটা হতে পারে জিনগত। নারীর জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে যেসব গ্রন্থি, সেসবের অস্বাভবিকতাও থাকতে পারে কারও কারও ক্ষেত্রে। যোনিপথ বা অন্যান্য প্রজনন অঙ্গের গঠনগত ত্রুটিও থাকতে পারে।

কত দিন মাসিক না হওয়া অস্বাভাবিক

দু–এক মাস যদি মাসিক না হয়, তাতে ভয়ের কিছু নেই। কত দিন মাসিক না হওয়া অস্বাভাবিক, অর্থাৎ কখন নেবেন চিকিৎসকের পরামর্শ, জেনে নেওয়া যাক।

১৪ বছর বয়সে পৌঁছেও যদি কারও মাসিক শুরু না হয় এবং বয়ঃসন্ধির অন্য কোনো চিহ্নও না দেখা যায়।

বয়ঃসন্ধির অন্যান্য চিহ্ন থাকলে অবশ্য ১৬ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ১৬ বছরে পৌঁছে মাসিক না হলে বিষয়টিকে অস্বাভাবিক ধরে নিতে হবে।

যাঁর নিয়মিত মাসিক হয়, তাঁর যদি অন্তত তিন মাস মাসিক বন্ধ থাকে, তাহলে সেটির কারণ খুঁজতে হবে।

যাঁর মাসিক অনিয়মিত, তাঁর ক্ষেত্রে অন্তত ছয় মাস মাসিক বন্ধ থাকলে সেটিকে অস্বাভাবিকভাবে মাসিক বন্ধ হওয়া বলে ধরে নিতে হবে।

আরও পড়ুনঅনিয়মিত মাসিক কেন হয়২৫ জুলাই ২০২৩যদি থাকে অস্বাভাবিকতা

একজন নারীর সুস্থতার জন্য নিয়মিত মাসিক হওয়া খুবই জরুরি। যদি মাসিকে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, অস্বাভাবিকভাবে মাসিক বন্ধ থাকে কিংবা অনিয়মিত মাসিক হয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কারণটা খুঁজে বের করবেন। সে অনুযায়ীই হবে চিকিৎসা।

কারও মাসিক বন্ধ থাকার চিকিৎসার ক্ষেত্রে জীবনধারার পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। কারও প্রয়োজন হরমোন থেরাপি। অল্প কিছু ক্ষেত্রে সার্জারি বা শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

আরও পড়ুনমেয়েকে মাসিক সম্পর্কে কীভাবে জানাবেন০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ