ইংরেজি না জানার অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের আহ্বান এক স্কুল শিক্ষকের
Published: 27th, January 2025 GMT
ইংরেজি না জানা শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করতে অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কর্মকর্তাদের তার স্কুলে অভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থ ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুলের একজন অস্থায়ী শিক্ষক। তার ছাত্ররা ‘ইংরেজি বলতে জানে না’ এই অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট দেওয়ার পর তিনি বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
গত ২৩ জানুয়ারি ইংরেজি না জানা শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে ওই শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইসিই-এর এক পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় মন্তব্য করেন। টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থ ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুল ডিস্ট্রিক্টের কর্মকর্তারা এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন।
ডালাস মর্নিং নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই শিক্ষককে এখনও প্রকাশ্যে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নিভ কিন্তু তিনি এক্স-এ @Hookem232 নামটি ব্যবহার করছিলেন। আইসিই'র এজেন্টদের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন ‘টেক্সাসের নর্থসাইড ফোর্ট ওয়ার্থ ইন্ডিপেন্ডেন্ট হাই স্কুলে আসুন।’
পোস্টটিতে আরও বলা হয়, ‘আমার অনেক ছাত্রছাত্রী আছে যারা ইংরেজি পর্যন্ত বলতে জানে না এবং তারা দশম-একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। আমার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করতে আইফোনের ট্রান্সলেটর ব্যবহার করতে হয়। মার্কিন শিক্ষা বিভাগ পরিচালিত টেক্সাসের আমাদের স্কুল ব্যবস্থাকেও পুরোপুরি পুনর্গঠন করা উচিত।’
এ বিষয়ে স্কুল বোর্ডের সভাপতি রক্সান মার্টিনেজ অভিভাবকদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, আইসিই আমাদের স্কুল ডিস্ট্রিক্টকে লক্ষ্য করবে কিনা সে বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন যে আমরা এই পরিস্থিতিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি এবং যত দ্রুত সম্ভব এটি সমাধানের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ফোর্ট ওয়ার্থ পাবলিক স্কুলের দুই-তৃতীয়াংশ ছাত্রছাত্রী হিস্পানিক এবং প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন ইংরেজি দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে শিখছে। এদিকে, কর্মকর্তারা ওই অস্থায়ী শিক্ষকের নাম প্রকাশ করেননি যিনি পোস্টটি করেছিলেন। তবে তারা জানিয়েছেন যে পোস্টগুলির তদন্ত চলাকালীন ওই শিক্ষক আর পড়াবেন না।
এটি প্রথমবার নয় যে ফোর্ট ওয়ার্থ আইএসডি-এর কোনো শিক্ষক অভিবাসনবিরোধী মনোভাবের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তদন্ত চলাকালীন অস্থায়ী শিক্ষককে ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইস ই
এছাড়াও পড়ুন:
সাইফুল ইসলাম ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট পুনঃনির্বাচিত
দেশের পুঁজিবাজারে স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে সাইফুল ইসলাম পুনরায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেডের পরিচালক।
সোমবার (৩ নভেম্বর) ডিবিএ’র সেক্রেটারি মো. দিদারুল গনী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ডিএসইতে ৭৫ শতাংশ শেয়ার-মিউচুয়াল ফান্ডের দরপতন
ডিএসইতে সূচক কমলেও সিএসইতে বেড়েছে
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে মোট ১৫ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন একজন প্রেসিডেন্ট, একজন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ১২ জন পরিচালক।
নির্বাচিতরা আগামী ২ বছর (২০২৬ ও ২০২৭) ডিবিএ‘র নেতৃত্ব দেবেন। নির্বাচিত সদস্যরা ডিবিএ’র আসন্ন বার্ষিক সাধারণ সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন- সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে মো. মনিরুজ্জামান, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মো. নাফিজ-আল-তারিক ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এছাড়া পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন–এবি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রাফিউজ্জামান বোখারী, এস সি এল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ইফতেখার জোনায়েদ, আর এন ট্রেডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাদিম, আজম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ কবির মজুমদার, নিউ এরা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরওয়াই শমসের, ওয়ান সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও আমিনুল ইসলাম, জি এম এফ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ নাহিদ আহমেদ, কাইয়ুম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাঈম মো. কাইয়ুম, ভিশন ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম, এক্সপো ট্রেডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. ওসমান গনি চৌধুরী, ফিনিক্স সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার শফিকুর রহিম ও এসএআর সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ আতাউর রহমান।
ঢাকা/এনটি/মেহেদী