মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় আলফা লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে জরিমানা
Published: 28th, January 2025 GMT
বিমা দাবি পরিশোধের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আইডিআরএ থেকে আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বরাবর এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বিমা আইন, ২০১০ এর ১৩০ ও ১৩১ ধারা অনুসারে এ জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে আরো দুটি অনিয়মের কারণে ওই বিমা কোম্পানিকে সতর্ক করেছে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। জরিমানার অর্থ আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে আইডিআরএ বরাবর পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ফাইন ফুডসের শেয়ার কারসাজি: জড়িতদের ১.
সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সে নতুন চেয়ারম্যান
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের বিমা দাবি নিষ্পত্তি ও তামাদি পলিসি সংক্রান্ত তথ্য যাচাইয়ের জন্য গত বছরের ২৪ জানুয়ারি আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করে আইডিআরএর তদন্ত দল।
বিমা দাবি পরিশোধের বিষয়ে এ জীবন বিমা কোম্পানির রেজিস্টারে একরকম তথ্য এবং বার্ষিক প্রতিবেদনে অন্য ধরনের তথ্য রয়েছে। এছাড়া, বিমা দাবি পরিশোধের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি কোম্পানিটি আরো নানা অনিয়ম করেছে।
ঢাকা/এনটি/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?