সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোন আনল গ্রামীণফোন
Published: 28th, January 2025 GMT
আইটেলের সহযোগে উদ্ভাবনী একটি কো-ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন এনেছে গ্রামীণফোন। ব্যবহারিক সুবিধা এবং সংযোগের বিষয়টি মাথায় রেখে ডিভাইসটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা স্বল্প খরচে স্মার্টফোন কিনতে ইচ্ছুক গ্রাহকদের জন্য অনন্য। গ্রামীণফোন আইটেল এ৮০ ডিভাইসটিতে রয়েছে বড় এইচডি প্লাস ডিসপ্লে ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি। মাত্র ৯ হাজার ৯৯০ টাকায় ডিভাইসটি সারা দেশের গ্রামীণফোন সেন্টার এবং আইটেল রিটেইল চ্যানেলে পাওয়া যাচ্ছে।
গতকাল গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমানের উপস্থিতিতে সম্প্রতি জিপি হাউসে এক অনুষ্ঠানে স্মার্টফোনটি উন্মোচন
করা হয়। এ সময় গ্রামীণফোনের চিফ প্রডাক্ট অফিসার সোলায়মান আলম, চিফ মার্কেটিং অফিসার ফারহা নাজ জামান, আইস্মার্টইউ টেকনোলজি বিডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হক এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
স্মার্টফোনটির সঙ্গে রয়েছে এক্সক্লুসিভ ইন্টারনেট অফার। মাইজিপি অ্যাপের মাধ্যমে একবারের জন্য সাত দিন মেয়াদি ৫ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট পাওয়া যাবে। এ ছাড়া প্রতি মাসে ৯৯ টাকায় সাত দিন মেয়াদি ১০ জিবি এবং ২৯৮ টাকায় ৩০ দিন মেয়াদি ৪০ জিবি ইন্টারনেট প্যাক কিনতে পারবেন গ্রাহকরা। ডিভাইসটি চালু হওয়ার পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত গ্রাহকরা দুটি অফার যতবার খুশি নিতে পারবেন।
ইয়াসির আজমান বলেন, আইটেলের সঙ্গে পার্টনারশিপ স্মার্টফোনকে আরও সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করার মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে তাদের একাগ্রতার প্রতিফলন। রেজওয়ানুল হক বলেন, ব্যবহার উপযোগিতা ও আস্থার দিক থেকে স্মার্টফোনটি নতুন ধারার সূচনা করেছে। গ্রামীণফোনের বিশাল সংখ্যক গ্রাহকের জন্য এমন একটি চমৎকার স্মার্টফোন নিয়ে আসতে পেরে তারা আনন্দিত।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইট ল
এছাড়াও পড়ুন:
জামিন দেওয়াকে কেন্দ্র করে আদালতে হাতাহাতি, স্টেনোগ্রাফার আহত
লক্ষ্মীপুরে আদালতে একটি জামিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন বিচারকের আদালত বর্জন করেছে আইনজীবীরা। এ সময় আইনজীবীদের সাথে আদালতের কর্মচারীদের হাতাহাতি ও এজলাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে আহত হন ওই এজলাসের স্টেনোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান।
রবিবার (১৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আদালত বর্জন করায় ভোগান্তিতে পড়েন বিচারপ্রার্থীরা।
জানা গেছে, রায়পুর প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আহম্মেদ কাউসার উদ্দিন জামান (৩৫) এর বিরুদ্ধে গত ৬ জুন সদর থানায় চুরির মামলা দায়ের করেন তারই প্রতিবেশি জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আবু তৈয়ব। মামলায় আরও দুইজনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় আসামি কাউসার ও রুবেল গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। এরপর গত ১০ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক এম সাইফুল ইসলাম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ আইনজীবীরা।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, বাদী এবং আসামিদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। ৫ জুন দিবাগত গভীর রাতে আসামিরা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাদীর ভবনের সামনে থাকা একটি লোহার গেট কেটে নিয়ে এবং গেটের পিলার ভেঙে একটি পিক-আপ গাড়িতে করে রায়পুরের দিকে নিয়ে যায়। রায়পুর বাসাবাড়ি এলাকায় গেলে পিকআপ গাড়িটি টহল পুলিশ আটক করে। পরে গাড়িটি জব্দ ও চালক রুবেলকে আটক করে পুলিশ। মামলায় বাদী আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত ৯ জুন আসামিদের জামিন প্রার্থণা করা হয়। এতে আসামিপক্ষ উল্লেখ করেন, মামলার বাদি আইনজীবী হওয়ায় আদালতে তাদের পক্ষে কোন আইনজীবী জামিন শুনানিতে অংশ নিতে ইচ্ছুক নয়। আসামিরা তাদের পক্ষে আইনজীবী না পেয়ে জামিন শুনানির জন্য লক্ষ্মীপুর লিগ্যাল এইড অফিসে আইনি সহায়তা চান। সেখান থেকে দুইজন আইনজীবীকে শুনানি করতে বলা হলেও তারা অন্য আইজীবীদের দ্বারা হেনস্তার ভয়ে জামিন শুনানিতে অংশ নেননি। অন্যদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী আসামিদের বিরুদ্ধে জামিনের বিরোধিতা করেন।
আদালত সূত্র আরও জানায়, আসামিরা ৯ জুন জামিনের জন্য আবেদন করলে পরদিন ১০ জুন নথি প্রাপ্ত সাপেক্ষে জামিন শুনানির জন্য রাখা হয় এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
বিষয়টি নিয়ে আদালতের পর্যালোচনায় উঠে আসে, ঈদুল আজহার বন্ধে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এবং গ্রেপ্তারের পর থেকে আসামিরা জামিনের শুনানির সুযোগ পাননি। চারদিন তাদের হাজতবাস হয়েছে। ৬ জুন আসামি গ্রেপ্তার হলেও বাদী একজন আইনজীবী হওয়ায় আসামিরা জামিন শুনানির জন্য কোন আইনজীবী পাননি এবং লিগ্যাল এইড অফিসের আইনজীবীরাও শুনানিতে অংশ নিতে অনীহার বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ায় ১৪ জুন পর্যন্ত ঈদের ছুটিতে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় জামিন অযোগ্য ধারায় গুরুতর অভিযোগ না থাকায় উভয় পক্ষের শুনানি অন্তে উভয় দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হলো।
আদালত আসামিদের রিমান্ড না মঞ্জুর করে চারদিনের হাজতবাস ও ঈদ বিবেচনা করে আসামি কাউসার ও রুবেলকে ১০০ টাকা বন্ডে একজন গণ্যমান্য ব্যক্তির জিম্মায় জামিন মঞ্জুর করেন। তাদের জামিন হওয়ায় পর থেকেই আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করে। এ ঘটনায় তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে বিচারকের অপসারণের দাবি জানান।
ঈদের বন্ধ শেষে রবিবার (১৫ জুন) আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়। আইনজীবী সমিতি বৈঠক করে ওই আদালতের বিচারক এম সাইফুল ইসলামের আদালতের বর্জনের ঘোষণা দেন। এদিন সকাল থেকে ওই বিচারকের কক্ষে বিচারপ্রার্থীরা এসে উপস্থিত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বিচারপ্রার্থী জানান, আদালতের বিচারক এজলাসে বসা ছিলেন। এ সময় ৭-৮ জন আইনজীবী কক্ষে ঢুকে আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন। এতে হট্টগোল দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিচারক আদালত কর্মচারীদের দরজা বন্ধ করে দিতে বলেন। এ সময় আইনজীবী ও কর্মচারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আহত হন এজলাসের স্টেনোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান। এতে বিচারকার্য সম্পন্ন না করেই এজলাস থেকে নেমে যান বিচারক।
আহত আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘‘আইনজীবীরা হট্টগোল করায় বিচারকের নির্দেশে আমি দরজা বন্ধ করতে গেলে আমার ওপর আইনজীবীরা হামলা করে। এতে আমার বাম চোখের পাশে রক্তাক্ত জখম হয়।’’
উপস্থিত আইনজীবীদের মধ্যে অ্যাডভোকেট আশিকুর রহমান জানান, কয়েকজন আইনজীবী এজলাসে গিয়ে আদালত বর্জনের বিষয়টি জানিয়ে দিতে গিয়েছেন। আদালত কর্মচারীরা উল্টো তাদের ওপর হামলা করেছে। এতে তিনি নিজেও আহত হন।
ঢাকা/লিটন/টিপু