আইটেলের সহযোগে উদ্ভাবনী একটি কো-ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন এনেছে গ্রামীণফোন। ব্যবহারিক সুবিধা এবং সংযোগের বিষয়টি মাথায় রেখে ডিভাইসটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা স্বল্প খরচে স্মার্টফোন কিনতে ইচ্ছুক গ্রাহকদের জন্য অনন্য। গ্রামীণফোন আইটেল এ৮০ ডিভাইসটিতে রয়েছে বড় এইচডি প্লাস ডিসপ্লে ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি। মাত্র ৯ হাজার ৯৯০ টাকায় ডিভাইসটি সারা দেশের গ্রামীণফোন সেন্টার এবং আইটেল রিটেইল চ্যানেলে পাওয়া যাচ্ছে।
গতকাল গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমানের উপস্থিতিতে সম্প্রতি জিপি হাউসে এক অনুষ্ঠানে স্মার্টফোনটি উন্মোচন
করা হয়। এ সময় গ্রামীণফোনের চিফ প্রডাক্ট অফিসার সোলায়মান আলম, চিফ মার্কেটিং অফিসার ফারহা নাজ জামান, আইস্মার্টইউ টেকনোলজি বিডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হক এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
স্মার্টফোনটির সঙ্গে রয়েছে এক্সক্লুসিভ ইন্টারনেট অফার। মাইজিপি অ্যাপের মাধ্যমে একবারের জন্য সাত দিন মেয়াদি ৫ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট পাওয়া যাবে। এ ছাড়া প্রতি মাসে ৯৯ টাকায় সাত দিন মেয়াদি ১০ জিবি এবং ২৯৮ টাকায় ৩০ দিন মেয়াদি ৪০ জিবি ইন্টারনেট প্যাক কিনতে পারবেন গ্রাহকরা। ডিভাইসটি চালু হওয়ার পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত গ্রাহকরা দুটি অফার যতবার খুশি নিতে পারবেন। 
ইয়াসির আজমান বলেন, আইটেলের সঙ্গে পার্টনারশিপ স্মার্টফোনকে আরও সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করার মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে তাদের একাগ্রতার প্রতিফলন। রেজওয়ানুল হক বলেন, ব্যবহার উপযোগিতা ও আস্থার দিক থেকে স্মার্টফোনটি নতুন ধারার সূচনা করেছে। গ্রামীণফোনের বিশাল সংখ্যক গ্রাহকের জন্য এমন একটি চমৎকার স্মার্টফোন নিয়ে আসতে পেরে তারা আনন্দিত। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইট ল

এছাড়াও পড়ুন:

আরপিওর বিধানের বৈধতার রায় রিভিউর জন্য হলফনামার অনুমতি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নের সঙ্গে যুক্ত করাসংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানের বৈধতা দিয়ে ১৪ বছর আগে রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদনের জন্য হলফনামার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন দুজন আইনজীবীসহ সাত ব্যক্তি। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আজ সোমবার হলফনামা করার অনুমতি দিয়েছেন।

আবেদনকারী সাত ব্যক্তি হলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন, মেজর (অব.) এস এম হারুনুর রশীদ, কাজী জাহেদুল ইসলাম, আইনজীবী এস এম আজমল হোসেন, মেজর (অব.) নিয়াজ আহমেদ জাবের, মেজর (অব.) মো. জিয়াউল আহসান ও সালাহ উদ্দিন।

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ওমর ফারুক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এ মামলায় আবেদনকারীরা পক্ষ ছিলেন না। যে কারণে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন দায়েরের জন্য হলফনামা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন তাঁরা। চেম্বার আদালত হলফনামা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে শিগগিরই রিভিউ আবেদন করা হবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২(৩ক)(ক) বিধান অনুযায়ী নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী ইতিপূর্বে জাতীয় সংসদের কোনো নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকলে ওই তালিকা প্রদানের প্রয়োজন হবে না।

আইনজীবীর তথ্য অনুসারে, ঢাকার একটি আসন থেকে ২০০৭ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাহবুব আহমেদ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি মনোনয়নপত্র নেন। পরে নির্বাচনের ওই তারিখ পিছিয়ে যায়। অন্যদিকে ২০০৮ সালে আরপিও দফা ১২(৩ক)–তে সংশোধনী আনা হয়। এই বিধান সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদ ও আরপিওর ১২(১) ধারার পরিপন্থী উল্লেখ করে মাহবুব আহমেদ চৌধুরী ২০১০ সালে হাইকোর্ট রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ (খারিজ) করে রায় দেন। দফা (৩ক) সংবিধান পরিপন্থী নয় বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন রিট আবেদনকারী। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি লিভ টু আপিল খারিজ করে রায় দেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নের সঙ্গে যুক্ত করাসংক্রান্ত আরপিওর ১২(৩ক)–তে বেআইনি কিছু পাননি বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

ওই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে দুই আইনজীবীসহ সাত ব্যক্তি আবেদন করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী ওমর ফারুক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে ভোটারের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। ভোটার কোন প্রার্থীকে ভোট দেবেন বা দেবেন না, এটি একান্তই তাঁর চিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার। সিক্রেট ব্যালটে হামলা হলে ভোট বাতিলও হয়। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে প্রার্থীর যোগ্যতা নির্ধারণ করা আছে। রাজনৈতিক দল হলে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন লাগবে না, অথচ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে গেলে লাগবে অর্থাৎ একই মনোনয়নপত্র ঘিরে দ্বৈত বিধান। ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন থাকার ওই বিধানের মাধ্যমে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা সংবিধান সমর্থন করে না এবং ভোটারের গোপনীয়তারও লঙ্ঘন—এসব যুক্তি তুলে ধরে আবেদনটি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ