শহরের বাতাসে যেন রহস্যের গন্ধ! গত কয়েকদিন ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিশাল বিশাল বিলবোর্ডে দেখা যাচ্ছে এক আজব চিত্র। শুধু একটি রঙিন রেখা, তিনটি ইংরেজি শব্দ— "Trust, Legacy, Endure", আর তার পাশে ফাঁকা সাদা ক্যানভাস! কী ঘটছে শহর জুড়ে?

সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে তুমুল আলোচনা। ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়েছে এই রহস্যময় চিত্র। অনেকেই বলছেন, এটি হয়তো কোনো নতুন ব্র্যান্ডের লোগো উন্মোচন বা রিব্র্যান্ডিংয়ের পরিকল্পনা। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি কোনো সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা হতে পারে।

শহরের কিছু স্থানে বিলবোর্ডগুলোর সামনে মানুষের জটলা দেখা গেছে। পথচারীদের মধ্যে চলছে জল্পনা-কল্পনা। কেউ বলছেন, এটি হয়তো বড় কোনো প্রতিষ্ঠানের নতুন উদ্যোগ, আবার কেউ মনে করছেন, এটি একধরনের মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের প্রচারণা সাধারণত মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে ব্যবহার করা হয় এবং এটি ধীরে ধীরে মানুষের মনে কৌতূহল সৃষ্টি করে। তবে এখনো নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না, এর পেছনে আসল উদ্দেশ্য কী।

শহরবাসী এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে— কবে এই রহস্যের সমাধান হবে? কবে জানা যাবে, এই রঙিন রেখা আর শব্দগুলোর আসল অর্থ কী? তবে কি রহস্য উদ্ধারে আসতে হবে খোদ শার্লক হোমসকে। রহস্যের জট খুলতে হয়তো বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। কিন্তু তার আগে, এই ‘রহস্যময়’ প্রচারণা শহরজুড়ে সবার কৌতূহল বাড়িয়ে দিচ্ছে।

আপনিও কি দেখেছেন এই রহস্যময় বিলবোর্ড? আপনার কী মনে হয়, এর পেছনের গল্প কী হতে পারে? প্রেস বিজ্ঞপ্তি।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: রহস য

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ৪টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে চারটি আসনে বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। শুধু নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।  

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায়  গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় বিএনপির জাতীয় স্থানীয় কমিটির একাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকায়, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আজহরুল ইসলাম মান্নান এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ মাসুদুজ্জামান মাসুদ ধানের শীষ প্রতীকের সম্ভাব্য প্রার্থী।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে (সদর-বন্দর) মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন তিনবারের সংসদ সদস্য আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, বর্তমান সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু এবং বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী আবু জাফর আহমেদ বাবুল।

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনটি এখনো ফাঁকা রেখেছে দলটি। ধারণা করা হচ্ছে এ আসনটিতে গতবারের মতো জোটের প্রার্থী ছাড় পাবেন। তবে এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ী শাহ্ আলম, জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া, সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীও রয়েছেন। 

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁ) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম ও যুব উন্নয়নের সাবেক মহাপরিচালক এসএম ওলিউর রহমান আপেল।

নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খাঁন আঙ্গুর ও তার ভাতিজা বিএনপির সহঅর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন।

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জে) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন।

এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২৩৮ আসনে আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করছি। আমাদের সঙ্গে যারা আন্দোলন করেছেন, তারা যে সমস্ত আসনে আগ্রহী সে সমস্ত আসনে প্রার্থী দেই। আমরা আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থী ঘোষণা করবো। এটা আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা, এর মধ্যেই পরিবর্তন হতে পারে।

বিশেষ করে, আমাদের শরিক দলগুলোর সাথে আলোচনা এবং স্থায়ী কমিটি যদি মনে করে কোনো আসনে পরিবর্তন আনবে, সেক্ষেত্রে নিয়ম মেনে পরিবর্তন আনবেন।”

সম্পর্কিত নিবন্ধ