শহরে রহস্যময় বিজ্ঞাপন! কী ঘটতে চলেছে?
Published: 29th, January 2025 GMT
শহরের বাতাসে যেন রহস্যের গন্ধ! গত কয়েকদিন ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিশাল বিশাল বিলবোর্ডে দেখা যাচ্ছে এক আজব চিত্র। শুধু একটি রঙিন রেখা, তিনটি ইংরেজি শব্দ— "Trust, Legacy, Endure", আর তার পাশে ফাঁকা সাদা ক্যানভাস! কী ঘটছে শহর জুড়ে?
সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে তুমুল আলোচনা। ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়েছে এই রহস্যময় চিত্র। অনেকেই বলছেন, এটি হয়তো কোনো নতুন ব্র্যান্ডের লোগো উন্মোচন বা রিব্র্যান্ডিংয়ের পরিকল্পনা। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি কোনো সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা হতে পারে।
শহরের কিছু স্থানে বিলবোর্ডগুলোর সামনে মানুষের জটলা দেখা গেছে। পথচারীদের মধ্যে চলছে জল্পনা-কল্পনা। কেউ বলছেন, এটি হয়তো বড় কোনো প্রতিষ্ঠানের নতুন উদ্যোগ, আবার কেউ মনে করছেন, এটি একধরনের মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের প্রচারণা সাধারণত মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে ব্যবহার করা হয় এবং এটি ধীরে ধীরে মানুষের মনে কৌতূহল সৃষ্টি করে। তবে এখনো নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না, এর পেছনে আসল উদ্দেশ্য কী।
শহরবাসী এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে— কবে এই রহস্যের সমাধান হবে? কবে জানা যাবে, এই রঙিন রেখা আর শব্দগুলোর আসল অর্থ কী? তবে কি রহস্য উদ্ধারে আসতে হবে খোদ শার্লক হোমসকে। রহস্যের জট খুলতে হয়তো বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। কিন্তু তার আগে, এই ‘রহস্যময়’ প্রচারণা শহরজুড়ে সবার কৌতূহল বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আপনিও কি দেখেছেন এই রহস্যময় বিলবোর্ড? আপনার কী মনে হয়, এর পেছনের গল্প কী হতে পারে? প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: রহস য
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।