Samakal:
2025-09-18@06:53:20 GMT

কল্পনা বাড়ি যাবে আজ

Published: 30th, January 2025 GMT

কল্পনা বাড়ি যাবে আজ

‘এবার বাড়ি গিয়ে পড়াশোনা করব’– হাসিমুখে এ ইচ্ছার কথা বলল ১৩ বছর বয়সী কল্পনা। সাড়ে তিন মাস আগে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তাকে মেরে সামনের চারটি দাঁত ভেঙে দিয়েছিলেন গৃহকর্ত্রী দিনাত জাহান।

পুরোপুরি সুস্থ হয়ে আজ বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সদন গ্রামের বাড়িতে যাবে কল্পনা। মেয়ের এ ইচ্ছার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন তার বাবা শহীদ মিয়া ও মা আফিয়া বেগম।

অভাবের তাড়নায় কল্পনা গৃহকর্মীর কাজ করত। ওই বাসার গৃহকর্ত্রী তার হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দিয়েছিলেন আগুনের ছ্যাঁকা। ১৯ অক্টোবরে গুরুতর জখম নিয়ে সে যখন হাসপাতালে আসে, তখন মা-বাবা শঙ্কায় ছিলেন– মেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবে কিনা। তিন মাসের বেশি ঢাকা বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিয়ে অনেকটা সুস্থ সে।

গতকাল বুধবার বার্ন ইনস্টিটিউটের ষষ্ঠ তলায় ভিআইপি কেবিনে কথা হয় কল্পনা ও তার পরিবারের সঙ্গে। মা আফিয়া বেগম জানান, সংসারে পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে। স্বামী ছিলেন কাঠমিস্ত্রি। এক দুর্ঘটনায় কোমরে আঘাত পান। তারপর থেকে আয়-রোজগার করতে পারেন না। অভাবে পড়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে মেয়েকে পাঠিয়েছিলেন গৃহকর্মীর কাজে।

আফিয়া বেগম আরও জানান, মেয়ের চিকিৎসার জন্য স্বামী আর তিনি এই তিন মাস মেয়ের সঙ্গে হাসপাতালে ছিলেন। মেয়েকে মারধরের অভিযোগে আফিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)-এর অধীনে ভাটারা থানায় মামলা করেন। মামলা চলছে। তাদের আইনজীবী ফাহমিদা আক্তার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দিনাত জাহান ও তার ভাই আনান কারাগারে আছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, যখন কল্পনা হাসপাতালে আসে, তখন নির্যাতনে কল্পনার ওপরের পাটির সামনের চারটি দাঁত ছিল না। হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধর ও ছ্যাঁকার ক্ষত ছিল। একদিকে মারধর, অন্যদিকে রক্তশূন্যতা। শারীরিক সমস্যার সঙ্গে ট্রমা ছিল। বেশ কয়েকটি অস্ত্রোপচারের পর এখন অনেকটা সুস্থ সে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা.

মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, কল্পনার স্থায়ী দাঁতের ব্যবস্থা করে তাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার জন্য কিছু দিন ব্যবধান রেখে তার তিন দফা অস্ত্রোপচার করা হয়। সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরলেও তার ভালো খাবার ও পরিচর্যার প্রয়োজন।

তিনি জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় তার চিকিৎসা ব্যয় বহন করে। সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ তার পড়াশোনাসহ যাবতীয় ব্যয় বহনের দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ হকর

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

আরো পড়ুন:

৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া

মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়

প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।

বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।

চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।

তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।

বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।

তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ