Samakal:
2025-07-31@22:41:16 GMT

এক বছরে ঝরে গেছে ২৫ প্রাণ

Published: 31st, January 2025 GMT

এক বছরে ঝরে গেছে ২৫ প্রাণ

মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ হলেও পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলায় এর দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ ২৪ জানুয়ারি সাঁথিয়া-পুন্ডুরিয়া সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চাপায় জন্মদিনে সাবিদ হোসেন নামে আট বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এক বছরে দুই উপজেলায় তিন চাকার অবৈধ বাহনের কারণে ৪০টি দুর্ঘটনায় অন্তত ২৫ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন অনেকে।

অভিযোগ উঠেছে, হাইওয়ে পুলিশ এসব যান চলাচল বন্ধে নিষ্ক্রিয় থাকায় তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এতে দুর্ঘটনা বাড়ছে। সড়কে নছিমন, করিমন, অটোভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে এগুলো আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে। বেড়া বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় বাসচালক ফরিদ হোসেন ও ট্রাকচালক রেজাউল হকের সঙ্গে। তাদের ভাষ্য, এসব যানবাহন শুধু নিজেরাই দুর্ঘটনায় পড়ছে না, বাস-ট্রাককেও দুর্ঘটনায় ফেলছে। নজরদারির অভাবে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। 
পুলিশ ও পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, তিন চাকার যানবাহন ধীরগতির হওয়ায় মহাসড়কে এর চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলোর ব্রেক যেমন দুর্বল, তেমনি গঠনও মহাসড়কে চলার উপযোগী নয়। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ে। এ ছাড়া চালকদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় মহাসড়কে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে, অন্য যানবাহনকেও দুর্ঘটনায় ফেলে। এ কারণে মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচলে উচ্চ

আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
উপজেলার ছোন্দহ গ্রামের রুফাই মান্নান গত ২৭ ডিসেম্বর করিমনের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মাথা ও পায়ে আঘাত পেয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। এখন তিনি বিছানায় কাতরাচ্ছেন। অর্থের অভাবে তাঁর ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না। একই দিন দুর্ঘটনায় চার কৃষি শ্রমিক প্রাণ হারান। তিন চাকার যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দুর্বল উল্লেখ করে জোড়গাছা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন উল্লাস বলেন, চালকদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা নেই। এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে।
এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের দায়িত্ব হাইওয়ে পুলিশের উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাঁথিয়ার মাধপুর হাইওয়ে থানার সদস্যরা দুই উপজেলায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার মহাসড়কে টহল দিয়ে এসব যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তাদের তৎপরতা কমেছে। এতে তিন-চার মাস ধরে তিন চাকার যানবাহন মহাসড়কে চলাচল করছে। যদিও টহল অব্যাহত আছে জানিয়ে হাইওয়ে পুলিশ বলছে, ব্যবস্থা নিলে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে এগিয়ে আসে।
সম্প্রতি হাইওয়ে পুলিশ ফের সক্রিয় হলেও আগের মতো শক্ত অবস্থানে নেই বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন। ফলে এসব যানবাহন বেপরোয়া চলাচল করছে। অনুসন্ধানে ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর এসব যানবাহনের কারণে সাঁথিয়া ও বেড়ায় অন্তত ৪০টি দুর্ঘটনায় ২৫ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে আগস্ট থেকে চলতি জানুয়ারি মাসের মধ্যে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বেশি। গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে মহাসড়কে অন্তত পাঁচজন নিহত হন। আগস্ট থেকে চলতি জানুয়ারি পর্যন্ত ৩০টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১৫ জানুয়ারি বেড়ার আমিনপুর নতুনবাজার এলাকায় মোটরসাইকেল ও নছিমনের সংঘর্ষে শাহীনুর রহমান নামে মোটরসাইকেল আরোহী কলেজ শিক্ষক নিহত হন। ২৩ জানুয়ারি সাঁথিয়ার পাঁচ ধোপাদহে নছিমন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত হন যাত্রী ব্যবসায়ী ইসলাম প্রামাণিক। ২৪ জানুয়ারি মহাসড়কে সাঁথিয়ার পাটগাড়িতে আব্দুর রহমান নামের আওয়ামী লীগের এক নেতা কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে পাশ কাটাতে গিয়ে দ্রুতগতির কাভার্ডভ্যানটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
১১ জুন সাঁথিয়ার রাঙামাটিয়ায় নছিমন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রইজউদ্দিন ও ১২ জুন মাধপুরে করিমন নিয়ন্ত্রণ হারালে হামিদুল ইসলাম নিহত হন। গত ৬ আগস্ট কাশিনাথপুর-কাজীরহাট সড়কে বেড়ার আমিনপুরে বাসের ধাক্কায় নিহত হন সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী। ৩০ আগস্ট সাঁথিয়ার পাটগাড়িতে ট্রাক ও সিএনজিচালিত আটোরিকশার সংঘর্ষে প্রাণ হারান বাবলু সাহা নামের এক ব্যবসায়ী। গত ১৬ নভেম্বর গাড়াদহে ডাম্প ট্রাকের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে সুজন ও বাহাদুর আলী নামে দু’জন নিহত হন।

২০ নভেম্বর বেড়ার সিন্দুরিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে কলেজছাত্র পরশ ও ইজিবাইকচালক পুষ্প মারা যান। ২১ ডিসেম্বর সাঁথিয়ার তেলকুপিতে বাস ও অটোভ্যানের সংঘর্ষে রত্না বেগম ও কালু খাঁ নিহত হন। ২৭ ডিসেম্বর রাঙামাটিয়ায় ট্রাকের সঙ্গে করিমনের সংঘর্ষে প্রাণ হারান খোকন মিয়া, ধনী প্রামাণিক, রাসেল হোসেন ও আব্দুল জলিল নামে চার কৃষিশ্রমিক।
গত ২০ জানুয়ারি বেড়ার কাশিনাথপুরে তিন চাকার অটোর সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী জামিল নিহত হন। সর্বশেষ ২৪ জানুয়ারি সাঁথিয়া-পুন্ডুরিয়া সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশার নিচের চাপা পড়ে সাবিদ হোসেন নামে এক শিশু প্রাণ হারিয়েছে। সরেজমিন সাঁথিয়ার কাশিনাথপুর ও বেড়া বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায়, দুই স্থানেই বিশৃঙ্খলভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাত্রী তোলার অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা। মাঝেমধ্যে করিমন এর সঙ্গে যোগ দিচ্ছে। বিশৃঙ্খলভাবে এসব যান অবস্থান করায় যানজট লেগেই থাকছে।
অটোভ্যান ও অটোরিকশাচালকদের ভাষ্য, আগে তারা মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের ভয়ে দেখেশুনে যাতায়াত করতেন। পাঁচ-ছয় মাস ধরে নির্ভয়ে চলছেন। হাইওয়ে পুলিশের টহল এখন প্রায়ই দেখা যায় না। সাঁথিয়ার পাটগাড়ি থেকে মহাসড়ক হয়ে ইট নিয়ে আসা নছিমনচালক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘পুলিশ আগে আমাদের মহাসড়কে উঠতেই দিত না। গাড়ি আটকে রাখত। এখন নির্বিঘ্নে চলি, কিছু বলে না।’
মহাসড়কে টহল অব্যাহত থাকলেও শক্ত অবস্থানে যাচ্ছেন না বলে স্বীকার করেছেন মাধপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, কিছু জায়গায়, বিশেষ করে বেড়ার দিকে টহলের সময় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলে অটোরিকশাচালকরা লাঠিসোটা নিয়ে ধেয়ে আসে। এর মধ্যেও এসব যানের চালক ও যাত্রীদের সচেতন করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া হবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র স ঘর ষ ব যবস থ এসব য ন অবস থ ন আগস ট হ ইওয় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সকালের সবচেয়ে বরকতময় সময় ব্যবহারের ৭ কৌশল

সকাল মানুষের জীবনের একটি মূল্যবান সময়, যা দিনের বাকি অংশের জন্য সুর নির্ধারণ করে। সকাল আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার, শরীর ও মনকে প্রস্তুত করার এবং দিনের লক্ষ্য অর্জনের একটি সুবর্ণ সুযোগ।

সামাজিক মাধ্যম, কাজের চাপ এবং পারিবারিক দায়িত্ব আমাদের অনেক সময় কেড়ে নেয়, তাই সকালকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে আমরা জীবনকে আরও উৎপাদনশীল করতে পারি।

১. আল্লাহর সঙ্গে দিনের শুরু

ফজরের নামাজের ১৫-২০ মিনিট আগে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া এবং দোয়া করা জীবনকে আমূল বদলে দিতে পারে। এই সময়টি শান্ত ও পবিত্র, যখন আল্লাহর সঙ্গে কোনো বাধা থাকে না।

কে আছে আমাকে ডাকার, আমি সাড়া দেব? কে আছে আমার কাছে চাওয়ার, আমি দান করব? কে আছে ক্ষমা প্রার্থনা করার, আমি ক্ষমা করব?সহিহ বুখারি, হাদিস: ১,১৪৫

নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি রাতে, যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ বাকি থাকে, তখন আমাদের রব নিকটতম আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘কে আছে আমাকে ডাকার, আমি সাড়া দেব? কে আছে আমার কাছে চাওয়ার, আমি দান করব? কে আছে ক্ষমা প্রার্থনা করার, আমি ক্ষমা করব?”’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১,১৪৫)।

তাহাজ্জুদের সময় আপনার হৃদয়ের কথা আল্লাহর কাছে প্রকাশ করুন। এতে মানসিক শান্তি বাড়বে এবং দিনের জন্য ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। যদি আপনি নতুন হন, সপ্তাহে এক দিন থেকে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে এটি অভ্যাসে পরিণত করুন।

ফজরের আগে অবশিষ্ট সময়ে কোরআন তিলাওয়াত করুন, কারণ কোরআনে বলা হয়েছে, ‘ভোরে কোরআন পড়া (ফেরেশতাদের) দ্বারা প্রত্যক্ষ করা হয়।’ (সুরা ইসরা. আয়াত: ৭৮)।

আরও পড়ুনইশরাকের নামাজ: সকালের আলোয় আল্লাহর নৈকট্য ০৪ জুলাই ২০২৫২. ফজরের পর ঘুম থেকে দূরে থাকুন

ফজরের নামাজের পর ঘুমিয়ে পড়া অনেকের অভ্যাস, কিন্তু এটি সকালের বরকতময় সময় নষ্ট করে। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ আমার উম্মতের জন্য সকালের সময়কে বরকতময় করেছেন।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৬,৪৮১)।

এই সময়ে বড় বড় কাজ সহজে সম্পন্ন করা যায়, কারণ এতে আল্লাহর বিশেষ বরকত রয়েছে।

আল্লাহ আমার উম্মতের জন্য সকালের সময়কে বরকতময় করেছেন। মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৬,৪৮১

ফজরের পর ঘুমের প্রলোভন এড়াতে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। এই সময়ে পড়াশোনা, কোরআন মুখস্থ করা বা কোনো ব্যক্তিগত প্রকল্পে কাজ করা যায়। এটি দিনের বাকি সময়ে অবসরের জন্য সময় বাঁচায় এবং আগামী দিনে আরও তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরি করে।

বিশ্বের সফল ব্যক্তিরাও ভোর চারটা বা পাঁচটায় উঠে কাজ শুরু করার কথা বলেন, যা তাদের সাফল্যের একটি রহস্য।

৩. করণীয় তালিকা তৈরি করুন

একটি করণীয় তালিকা তৈরি করা দিনের পরিকল্পনাকে সুসংগঠিত করে। আমরা প্রায়ই মনে মনে কাজের পরিকল্পনা করি, কিন্তু মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা সীমিত। একটি ডায়েরি বা ফোনের নোট অ্যাপে কাজের তালিকা লিখে রাখলে সময় ও শক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়। সম্পন্ন হওয়া কাজগুলো তালিকা থেকে কেটে দেওয়ার একটা আলাদা আনন্দ আছে।

এই তালিকায় দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যও অন্তর্ভুক্ত করুন। যেমন কোরআনের একটি নির্দিষ্ট অংশ মুখস্থ করা বা একটি নতুন দক্ষতা শেখার পরিকল্পনা। এটি আপনাকে দিনের শুরুতে ফোকাসড রাখবে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াবে।

আরও পড়ুনযে ৪টি পরীক্ষা নবীজি (সা.)–এর জীবনকে দৃঢ়তা দিয়েছে২২ জুলাই ২০২৫বিশ্বের সফল ব্যক্তিরাও ভোর চারটা বা পাঁচটায় উঠে কাজ শুরু করার কথা বলেন, যা তাদের সাফল্যের একটি রহস্য।৪. সকালে স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন

সকালের মূল্যবান সময় সামাজিক মাধ্যমে বা ফোনে অযথা স্ক্রল করে নষ্ট করা উচিত নয়। অনেকে সকালে ফোন হাতে নিয়ে ‘শুধু একটু দেখে নিই’ ভেবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হারিয়ে ফেলেন। এটি মানসিক চাপ বাড়ায় এবং সকালের শান্তি নষ্ট করে।

নিয়ম করুন, সকালের নাশতা বা কিছু কাজ শুরু না করা পর্যন্ত ফোন বা সামাজিক মাধ্যমে যাবেন না। সকালে খবর পড়া এড়িয়ে চলুন। কারণ, এটি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে পারে। যখন ফোন ব্যবহার করবেন, তখন ইতিবাচক ও প্রেরণাদায়ক কনটেন্ট দেখুন, যা আপনার দিনকে উজ্জ্বল করবে।

৫. শরীরচর্চা করুন

শরীরচর্চার উপকারিতা আমরা সবাই জানি। বিশেষ করে এই সময়ে, যখন অনেকে বাড়ি থেকে কাজ করছেন, শরীরচর্চা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। বাড়িতে কাজ করার ফলে ঘাড়ে ও পিঠে ব্যথা, পেশির সমস্যা বাড়ছে।

সকালে মাত্র ৩০ মিনিট শরীরচর্চা, যেমন যোগ, পাইলেটস, হাই-ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং বা ব্রিস্ক ওয়াক, আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে এবং মনকে সতেজ করবে।

ইউটিউবে হাজারো ধরনের ব্যায়ামের ভিডিও পাওয়া যায়, যা বাড়িতে সামান্য জায়গায় করা যায়। যদি বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকে, তবে সকালে ৩০ মিনিট হাঁটুন। লক্ষ্য হলো শরীরকে সচল রাখা এবং শক্তি বৃদ্ধি করা।

আরও পড়ুনসুস্থ জীবন যাপনে মহানবী (সা.)-এর ৯ অভ্যাস২৪ জুলাই ২০২৫সকালে মাত্র ৩০ মিনিট শরীরচর্চা, যেমন যোগ, পাইলেটস, হাই-ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং বা ব্রিস্ক ওয়াক, আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে এবং মনকে সতেজ করবে।৬. পুষ্টিকর নাশতা গ্রহণ

ব্যস্ততার কারণে অনেকে সকালের নাশতা বাদ দেন, কিন্তু গবেষণা বলছে, পুষ্টিকর নাশতা দিনভর মনোযোগ বাড়ায়, অপ্রয়োজনীয় চিনির লোভ কমায় এবং শক্তি জোগায়। নাশতায় উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন ওটস বা মাল্টিগ্রেইন রুটি, স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন অ্যাভোকাডো বা বাদাম, গ্রিক ইয়োগার্ট এবং ফল অন্তর্ভুক্ত করুন।

সময় কম থাকলে একটি স্মুদি তৈরি করুন—পালংশাক, আপেল এবং হিমায়িত কলা ব্লেন্ড করে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর নাশতা তৈরি করা যায়। এটি দিনের শুরুতে সবুজ শাকসবজি গ্রহণের একটি সহজ উপায়।

৭. নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন

বাড়ি থেকে কাজ করার সময় অনেকে ক্যাজুয়াল পোশাকে থাকেন। বরং সকালে সুন্দর পোশাক পরুন, যা আপনার মেজাজ উজ্জ্বল করবে। একটু পছন্দের সুগন্ধি ব্যবহার করলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন।সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯১

নবীজি (সা) বলেছেন, ‘আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯১)। নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা শুধু বাহ্যিক নয়, বরং এটি আপনার মানসিক প্রস্তুতি ও দিনের জন্য উৎসাহ বাড়ায়।

সকাল আমাদের দিনের ভিত্তি। ইসলাম আমাদের শেখায় যে সকাল আল্লাহর বরকত নিয়ে আসে। তাহাজ্জুদ, ফজরের পর জাগ্রত থাকা, করণীয় তালিকা তৈরি, স্ক্রিন থেকে দূরে থাকা, শরীরচর্চা, পুষ্টিকর নাশতা এবং নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন—এই সাতটি অভ্যাস আমাদের সকালকে উৎপাদনশীল করবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সূত্র: দ্য মুসলিম ভাইব ডট কম

আরও পড়ুনরহমতের দুয়ারে হাজিরা১৫ জুন ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ