বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে পার্থক্য আছে। আওয়ামী লীগ লুটপাট ও গুম-খুন করেছে। জীবনে কোনো দিন নির্বাচন করে তারা ক্ষমতায় আসবে, জনপ্রতিনিধি হয়ে বক্তব্য রাখবে, কখনো সেই চেষ্টা করেনি।

আজ বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া রাম রতন বহুমুখী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতা এ্যানি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্র-ছাত্রী ও জনগণকে জিম্মি করে লুটপাটের স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে।

এ্যানি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্ব, দেশের মানুষের প্রতি তাঁর দরদ, তাঁর স্বাভাবিক রাজনীতি, মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কথায় মানুষ ভরসা করছে। তাঁর কথাতেই পরিষ্কার, তিনি কাউকে প্রশ্রয় দেবেন না। এখানেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পার্থক্য। তারেক রহমান ও বিএনপি চাচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা বিএনপির পক্ষেই সম্ভব।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দত্তপাড়া রাম রতন বহুমুখী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম বেল্লাল হোসেন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.

হানিফ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি নেতাকে মারধর: খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি কারাগারে

খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে আদালত চত্বরে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম ও পচা আম নিক্ষেপ করেন। তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। পরে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেন সেনা সদস্যরা। 

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার খুলনা মহানগর দায়রা জজ  আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি মামুন নিজেই
ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ফখরুল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ