সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হঠাৎই ছড়িয়ে পড়ে বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহির মৃত্যুর গুজব। তবে জানা গেছে, অভিনেত্রী সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন, তাঁর মৃত্যুর খবর কেবলই গুজব। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
নোরার মৃত্যুর খবরের উৎস একটি ভিডিও। ভিডিওটিতে একজন নারীকে গভীর খাদের ওপর দিয়ে দড়ি পার হতে দেখা যাচ্ছে। হঠাৎই সেখান থেকে পাহাড়ের খাদে পড়ে যান তিনি। খবর ছড়িয়ে পড়ে, ওই নারীই নাকি নোরা ফাতেহি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহুল চর্চিত সে ভিডিও আসলে বাঞ্জি জাম্পিংয়ের। ভিডিওর নারীটি আসলে নোরা নন, অন্য কেউ। সেটাই যাচাই–বাছাই না করে অনেকে শেয়ার করেছেন।

এদিকে নোরা দিব্যি সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে। গত মাসেই লস অ্যাঞ্জেলেসের প্যাসিফিক প্যালিসেডসে ভয়াবহ দাবানল প্রত্যক্ষ করেছিলেন নোরা ফাতেহি। ভয়ংকর সেই মুহূর্তের কথা সবার সঙ্গে ভাগ করেছিলেন অভিনেত্রী। সেখান থেকে ফিরে এখন চুটিয়ে কাজ করছেন, নিজের ইনস্টাগ্রামে নতুন কাজের খবরও জানাচ্ছেন নিয়মিত।
জন্মসূত্রে নোরা কানাডার নাগরিক।

নাচের জন্যই ভারতে তাঁর আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা। তাঁর নাচের ভিডিও অনুরাগীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ৭ কোটির বেশি। সম্প্রতি বলিউডে ১০ বছর সম্পূর্ণ করলেন নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি।
নোরাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘স্নেক’ গানের ভিডিওতে। মার্কিন গায়ক জেসন ডেরুলোর সঙ্গে গানটি মুক্তির পরই অন্তর্জালে ঝড় তোলে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।

বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ