যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার থেকে সব ধরনের ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করা না হওয়া পর্যন্ত আমদানি বন্ধ থাকবে বলে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছেন ফল আমদানিকারকরা। 

বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আঙুর, কমলা, আনার ও আপেলসহ বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি হয়। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিভিন্ন ধরনের ফলে শুল্ক ধার্য করায় এই স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানি কমে অর্ধেকের নিচে নেমেছে। ফলে এ খাত থেকে বড় ধরনের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর থেকে শুধুমাত্র ফলের আমদানি শুল্ক বাবদ ১৮-২০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়। ফল আমদানি কমে যাওয়ায় রাজস্ব কমে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি টাকা। 

প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫০ থেকে ৭০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি হতো। সেটি বর্তমানে ১০ থেকে ১৫ ট্রাকে নেমে এসেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ৯ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে আমদানিকৃত ফলের সরবরাহ কমে দাম বেড়ে যায়। 

আরো পড়ুন:

বাংলাবান্ধা দিয়ে এল ১০০ টন সিদ্ধ চাল 

মিয়ানমার থেকে এল দেড় হাজার বস্তা ডাল

ফল আমদানিকারক আনোয়ার ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রোপাইটার আনোয়ার হোসেন বলেন, “শুল্ক প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ফল আমদানি বন্ধ থাকবে।” 

একই কথা জানান অপর ফল আমদানিকারক আলেয়া এন্টারপ্রাইজের তারিক হাসান।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত দুইদিন ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। আমদানিকারকরা ফল আমদানি শুরু করলে বন্দর থেকে তাদের সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে।

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফল আমদ ন আমদ ন ক

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ