একুশে বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে কবি ও কথাশিল্পী সালাহ উদ্দিন মাহমুদের গল্পগ্রন্থ ‘বিষণ্ন সন্ধ্যা কিংবা বিভ্রম’। বইটি প্রকাশ করছে কিংবদন্তী পাবলিকেশন। প্রচ্ছদ করেছেন সাদিয়া তারান্নুম। এটি সালাহ উদ্দিন মাহমুদের পঞ্চম গল্পগ্রন্থ এবং ১৫তম বই।

‘বিষণ্ন সন্ধ্যা কিংবা বিভ্রম’ বইটিতে মোট ১৩টি গল্প স্থান পেয়েছে। গল্পসমূহ হলো-‘বিষণ্ন সন্ধ্যা কিংবা বিভ্রম’, ‘হালিমে আঙুলের হদিস’, ‘জলের ভেতর অনল’, ‘রবিতনের অন্তিম সংযম’, ‘নুন আনতে জীবন ফুরায়’, ‘একটি মসজিদের ইতিবৃত্ত’, ‘কাঁচ ভাঙা স্বপ্ন’, ‘আঁচলে বাঁধা চিরকুট’, ‘আদিম লালসার খদ্দের’, ‘কলেরাকালের দিনলিপি’, ‘অন্ধকারের শেষ সীমান্তে’, ‘মায়ের হাতের মলিদা’ এবং ‘মুঠোফোন এবং মমতাময়ী মা’।

প্রকাশক অঞ্জন হাসান পবন জানান, সালাহ উদ্দিন মাহমুদের গল্প বরাবরই জীবনের কথা বলে। নানাবিধ সংকট উঠে আসে তার লেখনীতে। তার গল্পে ভালোবাসা, হিংসা, মানবিকতা, জীবনযুদ্ধ, রহস্য, নিম্নবিত্ত জীবন, স্বপ্ন, সম্ভাবনা, প্রবৃত্তি, হতাশা এবং জীবন-স্মৃতি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। আশা করি এবারের গল্পগুলোও পাঠকের হৃদয়কে স্পর্শ করবে।

আরো পড়ুন:

বইমেলায় ওয়ালিদ আহমেদের দুই বই

বইমেলায় নতুন উপন্যাস ‘তিতাসের বুনো হাঁস’ 

গল্পগ্রন্থ সম্পর্কে সালাহ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, “দুই বছর বিরতির পর নতুন গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হলো। বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা। বইটি বইমেলায় কিংবদন্তী পাবলিকেশনের ৭৫-৭৬-৭৭ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের অনলাইন বুকশপগুলোতেও পাওয়া যাচ্ছে।”

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

মাইক্রোসফটের বদলে গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে চ্যাটজিপিটি, কেন

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের অন্যতম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মাইক্রোসফট। আর তাই চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকেই মাইক্রোসফটের সার্ভার ব্যবহার করে আসছে ওপেনএআই। তবে এবার মাইক্রোসফটের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমাতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির দৌড়ে গুগল ও ওপেনএআই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম পরিচালনায় গুগলের ক্লাউড অবকাঠামো ও সার্ভার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে ওপেনএআই।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই মডেল পরিচালনার জন্য গত মাসে গুগলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওপেনএআই। চুক্তির আওতায় গুগল তাদের ডেটা সেন্টার ও ক্লাউড সেবায় ‘অতিরিক্ত কম্পিউটিং সক্ষমতা’ দেবে ওপেনএআইকে। যদিও দুই প্রতিষ্ঠান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি ভবিষ্যতের এআই উন্নয়ন ও নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

চ্যাটজিপিটি মূলত মাইক্রোসফটের অ্যাজুর ক্লাউড অবকাঠামোর ওপর নির্ভর করে পরিচালনা করা হয়। তাই ওপেনএআই এত দিন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সার্ভার ব্যবহার করতে পারেনি। গত জানুয়ারি মাসে এই একচেটিয়া চুক্তির সীমাবদ্ধতা শেষ হওয়ার পর ওপেনএআই নতুন অংশীদার খুঁজতে শুরু করে। তবে চ্যাটজিপিটি পুরোপুরি গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে, না মাইক্রোসফট ও গুগলের সার্ভার যৌথভাবে ব্যবহার করবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চ্যাটজিপিটি বড় ধরনের প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের মুখে পড়েছে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট অবকাঠামোর ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে একাধিক ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম চালু রাখা অনেক সহজ হবে। এতে যেকোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা সিস্টেম সমস্যার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগও মিলবে।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ