নারায়ণগঞ্জেরর সোনারগাঁয়ে উল্টো পথে যাওয়া একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দিয়েছে যাত্রীবাহী বাস। এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় উপজেলার ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাচঁপুর সেতুর ঢালে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

কাচঁপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, “উল্টোপথে আসা অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় বাস। ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় কবলিত বাস ও অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে।”

নিহতরা হলেন- অটোরিকশা চালক আনিসুর রহমান (২৩), অটোরিকশার যাত্রী কাকুলী আক্তার (৩৫) ও তার ছেলে আরিয়ান রাফি (৫)।

আরো পড়ুন:

কালীগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪

কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় স্কুলশিক্ষক নিহত

নিহত কাকুলী গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার পশ্চিম সীচা এলাকার আসরাফুলের স্ত্রী। অটোরিকশা চালক আনিসুর রহমান রংপুর জেলার পীরগাছা থানার সুকান পুকুর এলাকার আব্দুল ওহাবের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সন্ধ্যায় অটোরিকশাটি সেতুর ওপর দিয়ে উল্টো পথে কাচঁপুরের দিকে যাচ্ছিল। এসময় হিমালয় নামের যাত্রীবাহী বাসটি অটোরিকশাটিতে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।

ঢাকা/অনিক/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি

মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে। 

আরো পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ 

অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!

এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল  বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। 

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ