সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষে জেলা বিএনপির সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি গোলাম সরোয়ারসহ অন্তত ২০-২৫ জন আহত হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে শাহজাদপুর পৌর শহরের মনিরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ডা.

এম এ মুহিত এবং কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অন্য সদস্য গোলাম সরওয়ারের নেতাকর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশকে কেন্দ্রে করে এ ঘটনা ঘটে।

গোলাম সরওয়ার অভিযোগ করে বলেন, আজ ঢাকা থেকে এসে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের কবর জিয়ারত করি। এরপর নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে গেলে এম এ মুহিতের সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে আমাদের প্রায় ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন- জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম, শাহজাদপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুর রহমান।

অপরদিকে এ বিষয়ে জানতে এম এ মুহিতের মোবাইলে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।

হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান বলেন, কার্যালয়ে প্রবেশ নিয়ে নিজ দলের মধ্যে এমন হামলা সত্যিই দুঃখজনক। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছলাম আলী বলেন, উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় তেমন কেউ গুরুতর আহত হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ব এনপ র স কম ট র ত কর ম এ ঘটন সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

শাকসু নির্বাচন : দলীয় প্রভাবমুক্ত শিক্ষকদের নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবি শিক্ষার্থীদের

দীর্ঘ ২৮ বছর পর সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (শাকসু) আমেজ ফিরে এসেছে। নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে।

গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শাকসু নির্বাচনের কথা ভাবছেন। আগামী দুই-তিনদের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার বা আগামীকাল যেকোনো সময় নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা আসতে পারে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে হচ্ছেন, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অনেকের নামই প্রস্তাব করা হচ্ছে। উপাচার্য নির্বাচন কমিশনারদের নাম ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে নির্বাচন কমিশন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা মত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, দলান্ধ কাউকে কিংবা এক আদর্শ চর্চাকারী কট্টরপন্থী কেউ যাতে দায়িত্ব না পান। নির্বাচন কমিশন হতে হবে নিরপেক্ষ। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, এমন কাউকেই বেছে নিতে হবে।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আদিল হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনটা হতে হবে নিরপেক্ষ। কমিশনাররা যেন রাজনৈতিক প্রভাব বা ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করেন। যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী মুক্তভাবে তাঁদের প্রতিনিধি বেছে নিতে পারেন। পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মহসিনা আক্তার বলেন, এমন নির্বাচন কমিশন দরকার, যা ডাকসু, জাকসুর নির্বাচনের অসংগতিগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি নির্বাচনী মডেল দাঁড় করাবে।

সাবেক সমন্বয়ক দেলোয়ার হোসেন (শিশির) বলেন, ‘আমরা এমন একজন নির্বাচন কমিশনার চাই, যিনি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকবেন, শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করতে পারবেন এবং প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করবেন। তিনি যেন সাহসের সঙ্গে যেকোনো দুর্নীতি, প্রভাব বা অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেন।’

আরও পড়ুনশাহজালালে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে: উপাচার্য১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জানতে চাইলে শাবিপ্রবি ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত জামান বলেন, নির্বাচন কমিশনারের যাতে রাজনৈতিক পরিচয় না থাকে, শুধু নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, সে জন্য কমিশন কাজ করবে।

এ বিষয়ে উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরীকে একাধিকবার কল দিলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক মো. এছাক মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন কমিশনার নিয়ে আলোচনা চলছে। এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে যে অসংগতিগুলো তৈরি হয়েছে, সেগুলো যাতে না হয়, সে জন্য কর্মঠ ও যোগ্য ব্যক্তিদের খুঁজছে প্রশাসন। পাশাপাশি ছাত্রসংগঠনগুলোরও যাতে আস্থা থাকে, এমন কাউকেই বেছে নিতে হবে। শিগগিরই নির্বাচন কমিশনারদের নাম ঘোষণা করবেন উপাচার্য।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন সর্বশেষ হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। এর আগে ১৯৯৩ সাল থেকে তিনবার শাকসু নির্বাচন হয়েছে। ২৮ বছর ধরে শাকসু অচল রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাকসু নির্বাচন : দলীয় প্রভাবমুক্ত শিক্ষকদের নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবি শিক্ষার্থীদের