৬৪ জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি, ১১ ফেব্রুয়ারি শুরু
Published: 8th, February 2025 GMT
দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিবাদের চক্রান্ত মোকাবিলাসহ বেশকিছু দাবিতে দেশের ৬৪ জেলায় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের এই কর্মসূচি শুরু হবে, যেখানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “৬৪ জেলায় বিএনপি সমাবেশ করবে। ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়ে রমজান শুরুর আগেই শেষ হবে। জেলায় জেলায় সভা-সমাবেশের পর পর্যায়ক্রমে মহানগর ও বিভাগীয় সদরে সভা-সমাবেশ হবে।”
আরো পড়ুন:
আবু নাসের
যখন জনগণের মূল্য থাকে না, তখন সরকার স্বৈরাচার হয়
অটোরিকশার গতিরোধ করে যুবদল কর্মীকে গুলি
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এই সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপি দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে রমজান শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত বিএনপির উদ্যোগে সারা দেশে জেলা ও মহানগরে পর্যায়ক্রমে সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/নাজমুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ১১ ফ ব র য় র ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।