আইফোন দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে স্মার্ট ডিভাইস
Published: 9th, February 2025 GMT
দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে আইফোনের ব্যবহার বাড়াতে আইফোনকে সর্বজনীন রিমোট কন্ট্রোলে পরিণত করতে চায় অ্যাপল। আইফোনকে সর্বজনীন রিমোট কন্ট্রোলে পরিণত করতে এরই মধ্যে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন এ সুবিধা চালু হলে আইফোন ব্যবহার করে হাতের ইশারায় আশপাশে থাকা স্মার্ট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র, গাড়ি বা গেমিং কনসোল নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে অ্যাপল ইনসাইডার।
অ্যাপলের ইকোসিস্টেমে অ্যাপল টিভি রিমোট অ্যাপ এবং অ্যাপল কার কি–এর মতো বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, যা ব্যবহার করে টেলিভিশন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি গাড়ির দরজা খোলা যায়। তবে এসব ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের আইফোনে অ্যাপ চালু করে বিভিন্ন অপশন নির্বাচন করতে হয়। এতে সময় বেশি লাগার পাশাপাশি বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয়। কিন্তু নতুন পেটেন্ট অনুযায়ী, অ্যাপল এমন একটি প্রযুক্তি তৈরি করছে, যা ব্যবহারকারীর ইশারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
আরও পড়ুনআইফোনের যে সুবিধা ব্যবহার করা যাবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে৩০ অক্টোবর ২০২৪অ্যাপলের তথ্যমতে, নতুন এ প্রযুক্তি চালু হলে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র চালু বা বন্ধের জন্য পাসকোড বা আঙুলের ছাপ ব্যবহার করতে হবে না। ব্যবহারকারী যন্ত্রের দিকে ইশারা করলেই সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। এর ফলে ব্যবহারকারীকে কোনো বোতাম চাপতে বা যন্ত্র স্পর্শ করতে হবে না। এই প্রযুক্তি আইফোনে যুক্ত হলে ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহারের অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
আরও পড়ুননতুন আইফোন কিনে বিপাকে ব্যবহারকারীরা২২ অক্টোবর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইফ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঘাড়ব্যথার কারণগুলো কী কী, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা জেনে রাখুন
অনেক কারণে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
১. সারভাইক্যাল স্পন্ডেলোসিস
২. সারভাইক্যাল স্পন্ডেলোসিস
৩. সারভাইক্যাল রিবস
৪. সারভাইক্যাল ক্যানেল স্টেনোসিস বা স্পাইনাল ক্যানাল সরু হওয়া
৫. সারভাইক্যাল ডিস্ক প্রলেপস বা হারনিয়েশন যেখানে হারনিয়াটেড ডিস্ক নার্ভের ওপর চাপ প্রয়োগ করে
৬. মাংসপেশি, হাড়, জোড়া, লিগামেন্ট, ডিস্ক (দুই কশেরুকার মাঝখানে থাকে) ও স্নায়ুর রোগ বা ইনজুরি
৭. অস্বাভাবিক পজিশনে নিদ্রা
৮. উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগ
৯. হাড় ও তরুণাস্থির প্রদাহ এবং ক্ষয়
১০. অস্টিওপরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা রোগ
১১. হাড় নরম ও বাঁকা হওয়া
১২. রিউমাটয়েড-আর্থ্রাইটিস ও সেরো নেগেটিভ আর্থ্রাইটিস
১৩. সারভাইক্যাল অস্টিও-আর্থ্রাইটিস
১৪. ফাইব্রোমায়ালজিয়া
১৫. সামনে ঝুঁকে বা পাশে কাত হয়ে ভারী কিছু তুলতে চেষ্টা করা
১৬. হাড়ের ইনফেকশন
১৭. ডিস্কাইটিস (ডিস্কের প্রদাহ)
১৮. পেশাগত কারণে দীর্ঘক্ষণ ঘাড় নিচু বা উঁচু করে রাখলে ইত্যাদি।
উপসর্গ
ঘাড়ব্যথা কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুল পর্যন্ত ছড়াতে পারে।
কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুলে অস্বাভাবিক অনুভূতি বা অবশ ভাব।
বাহু, হাত ও আঙুল দুর্বল হতে পারে।
সব সময় ঘাড় ধরে বা জমে আছে মনে হয়।
ঘাড়ের মুভমেন্ট করলে, ঘাড় নিচু করে ভারী কিছু তোলার পর তীব্র ব্যথা।
হাঁচি, কাশি দিলে বা সামনে ঝুঁকলে ব্যথা বেড়ে যায়।
ব্যথা মাথার পেছন থেকে শুরু হয়ে মাথার সামনে আসতে পারে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
ঘাড়ব্যথার কারণ নির্ণয় করার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি পরীক্ষা হতে পারে—রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা, ঘাড়ের এক্স-রে, এমআরআই বা সিটি স্ক্যান।
চিকিৎসা
চিকিৎসা এর কারণগুলোর ওপর নির্ভর করে।
কনজারভেটিভ চিকিৎসা: ১. ব্যথা বা প্রদাহনাশক ওষুধ ২.ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা। বিভিন্ন ধরনের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা যেমন ম্যানুয়াল বা ম্যানুপুলেশন থেরাপি, থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রোমেডিকেল ইকুইপমেন্ট যেমন ইন্টারফ্যারেনশিয়াল থেরাপি, অতি লোহিত রশ্মি, মাইক্রোওয়েভ ডায়াথারমি, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, শর্টওয়েভ ডায়াথার্মি ও ইন্টারমিটেন্ট ট্র্যাকশন ইত্যাদির মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়।
সার্জিক্যাল চিকিৎসা: মেডিকেল চিকিৎসায় ভালো না হলে, ব্যথা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকলে, স্নায়ু সমস্যা দেখা দিলে, বাহু, হাত ও আঙুলে দুর্বলতা এবং অবশ ভাব দেখা দিলে এবং প্রস্রাব বা পায়খানার নিয়ন্ত্রণ না থাকলে দ্রুত সার্জিক্যাল চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
ঘাড়ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়
১. সামনের দিকে ঝুঁকে দীর্ঘক্ষণ কাজ করবেন না।
২. মাথার ওপর কোনো ওজন নেবেন না।
৩. প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে হবে।
৪. শক্ত বিছানায় ঘুমাবেন।
৫. শোবার সময় একটা মধ্যম সাইজের বালিশ ব্যবহার করবেন, যার অর্ধেকটুকু মাথা ও অর্ধেকটুকু ঘাড়ের নিচে দেবেন।
৬. তীব্র ব্যথা কমে গেলেও ঘাড় নিচু বা উঁচু করা, মোচড়ানো (টুইসটিং) বন্ধ করা।
৭. সেলুনে কখনোই ঘাড় মটকাবেন না।
৯. কাত হয়ে শুয়ে পড়বেন না বা টেলিভিশন দেখবেন না।
১০. কম্পিউটারে কাজ করার সময় মনিটর চোখের লেভেলে রাখবেন।
১১. গরম প্যাড, গরম পানির বোতল দিয়ে গরম সেঁক দেবেন।
১২. ঘাড়ের পেশি নমনীয় ও শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম করতে হবে।
এম ইয়াছিন আলী, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ঢাকা
আরও পড়ুনকাঁধের ব্যথা বা কাঁধ জমে যাওয়ার কারণ ও করণীয়১৭ এপ্রিল ২০২৫