টিকটক কেনার ইচ্ছা নেই, বললেন ইলন মাস্ক
Published: 9th, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটিকের ব্যবসা কিনে নেওয়ার কোনো ইচ্ছা তাঁর নেই বলে জানিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।
গত শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাবশালী এই উপদেষ্টার কয়েকটি মন্তব্য প্রকাশ করা হয়।
সেখানে মাস্ক বলেছেন, ‘আমি টিকটকের জন্য কোনো দরপত্র জমা দিইনি। যদি আমার টিকটিক থাকত, তবে সেটা নিয়ে আমি কী করতাম, তা নিয়েও আমার কোনো পরিকল্পনা নেই।’
গত মাসের শেষ দিকে অনলাইনে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে একটি জার্মান ফোরামে অংশ নিয়েছিলেন মাস্ক। সেখানে তিনি টিকটক নিয়ে এ মন্তব্য করেন।
জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের মূল মালিক চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে টিকটিক নিয়ে একটি বিল পাস হয়।
ওই বিলে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ব্যবসার মালিকানা ছেড়ে দিতে বলা হয়। এ জন্য তাদের ছয় মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
টিকটকের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে এর কয়েক লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত হতে পারে বলে আশঙ্কা দেশটির সরকারের। এ জন্য তারা চাইছে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোম্পানি সে দেশে টিকটকের ব্যবসা কিনে নিক।
বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে মালিকানা হস্তান্তর না হওয়ায় গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক ঘণ্টার জন্য টিকটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই টিকটককে আইনি বাধ্যবাধকতা পালনের জন্য বাড়তি আরও ৭৫ দিন সময় দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে পুনরায় বৈধভাবে কার্যক্রম শুরু করে টিকটক।
আরও পড়ুনইলন মাস্ক টিকটক কিনলে আপত্তি নেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের২৩ জানুয়ারি ২০২৫নির্বাহী আদেশে সই করার পরপরই ট্রাম্প বলেছেন, যদি মাস্ক টিকটক কিনে নিতে চান, তবে তাঁর আপত্তি থাকবে না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এবং টেসলাসহ আরও বেশ কয়েকটি কোম্পানির মালিক মাস্ক।
তবে ট্রাম্প যতই চান, মাস্ক এখনো বলে যাচ্ছেন, টিকটক অধিগ্রহণের ইচ্ছা তাঁর নেই।
মাস্ক বলেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে টিকটক ব্যবহার করি না। তাই, আপনি বুঝতেই পারছেন, আমি এটার সঙ্গে খুব একটা পরিচিত নই। আমি এটা অধিগ্রহণ করতে আগ্রহী নই।’
২০২২ সালে ৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারে টুইটার কিনে নেন মাস্ক। প্ল্যাটফর্মটি কিনে নেওয়ার পর সেটির নাম পরিবর্তন করে রাখেন ‘এক্স’।
আরও পড়ুনটিকটকের চীনা মালিক সম্পর্কে কী জানা যায়১৬ মার্চ ২০২৪মাস্ক সে সময় বলেছিলেন, তিনি ‘বাক্স্বাধীনতার’ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এটা করছেন।
যদিও অধিকারকর্মীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মাস্ক কিনে নেওয়ার পর প্ল্যাটফর্মটিতে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য বেড়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।