বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সরকারকে অনেক সময় অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কারণ সরকার কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর নয়, বরং ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও মত, সবারই প্রতিনিধি। অন্তর্বর্তী সরকার যদি তাদের অবস্থান দীর্ঘায়িত করে, তাহলে তা যৌক্তিক হবে না।  

সোমবার রাজধানীর মোমেনবাগে খান ফাউন্ডেশনের ডেমোক্রেসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ৬ মাস, ছাত্র-জনতা এখন কোথায়?’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি এবং ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস এ আয়োজন করে।

ড.

মঈন খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে এসেছে, সীমাহীন দায়িত্ব তো পালন করতে পারবে না। কেউ ভালো করলে সবাই ফুলের মালা দিয়ে বরণ করবে। আবার ভুল করলে তারাই বিরুদ্ধে যাবে, এটা স্বাভাবিক।

দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন ও খান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রোখসানা খন্দকারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মহাসচিব সাইফুল হক, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, অতীশ দীপংকর বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান সামসুল আলম লিটন, সাংবাদিক মাসুদ কামাল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী মনি, সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্না, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ