বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সরকারকে অনেক সময় অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কারণ সরকার কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর নয়, বরং ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও মত, সবারই প্রতিনিধি। অন্তর্বর্তী সরকার যদি তাদের অবস্থান দীর্ঘায়িত করে, তাহলে তা যৌক্তিক হবে না।  

সোমবার রাজধানীর মোমেনবাগে খান ফাউন্ডেশনের ডেমোক্রেসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ৬ মাস, ছাত্র-জনতা এখন কোথায়?’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি এবং ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস এ আয়োজন করে।

ড.

মঈন খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে এসেছে, সীমাহীন দায়িত্ব তো পালন করতে পারবে না। কেউ ভালো করলে সবাই ফুলের মালা দিয়ে বরণ করবে। আবার ভুল করলে তারাই বিরুদ্ধে যাবে, এটা স্বাভাবিক।

দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন ও খান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রোখসানা খন্দকারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মহাসচিব সাইফুল হক, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, অতীশ দীপংকর বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান সামসুল আলম লিটন, সাংবাদিক মাসুদ কামাল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী মনি, সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্না, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ