বাংলাদেশ জাতীয় (পুরুষ) দলের সিনিয়র সহকারী কোচ করা হয়েছে মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে। এবার জাতীয় নারী ক্রিকেট দলে দেশি কোচকে দায়িত্ব দেওয়া হলো। নিগার সুলতানা জ্যোতিদের হেড কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন স্থানীয় অভিজ্ঞ কোচ সারওয়ার ইমরান।

এর আগে নারী দলের হেড কোচ ছিলেন শ্রীলঙ্কার হাসান তিলকারত্নে। তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ায় সারওয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিয়ে এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, সামনে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আরও স্থানীয় কোচ দেখা যাবে।

ফারুক আহমেদ বলেন, ‘তিলকারত্নে চলে যাওয়ায় আমরা তার জায়গায় সারওয়ারকে হেড কোচের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বোর্ডে এসেই বলেছিলাম, জাতীয় দলের সেট আপে বেশি বেশি স্থানীয় কোচ নিয়োগ দিতে চাই। আমরা এর আগে সালাউদ্দিনকে দায়িত্ব দিয়েছি। সামনে আরও মুখ আসবে।’

সারওয়ার ইমরান বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ কোচদের একজন। ১৯৮৭ থেকে দশ বছর বিকেএসপির হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের কোচ ছিলেন তিনি।

প্রায় এক দশক জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির হেড কোচ ছিলেন সারওয়ার। লম্বা সময় জাতীয় দলের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ জয়ী দলের হেড কোচ ছিলেন তিনি। এছাড়া বিপিএল, ডিপিএলেও হেড কোচের ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে।  

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স রওয় র

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে খুলছে ৪ বন্ধ কারখানা

নয় দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের চারটি কারখানায় চালু হচ্ছে। 

বেতন, বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনের মুখে গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু 

বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ

কারখানাগুলো হলো দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিল লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড।

সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকেরা কারখানা চালুর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের কারখানায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে।’’ 

ইপিজেড সূত্র জানিয়েছে, বন্ধ চারটি কারখানায় সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিক রয়েছে। 

উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার জানান, শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে বন্ধ থাকা চার কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ দিন থেকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে এবং শ্রমিকদের যথাসময়ে কারখানায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উত্তরা ইপিজেডের ২৭টি কারখানায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।

ঢাকা/সিথুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ