এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। চিকিৎসকরা খালেদার জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনের বাসায় গিয়ে তাকে দেখে এসেছেন বলেও জানান জাহিদ হোসেন।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে ডা.

জাহিদ আরো বলেন, “সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসকদের তত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। মাঝে মধ্যে যেসব পরীক্ষা নিরীক্ষা দেওয়া হয় সেগুলো করানো হচ্ছে। ডাক্তারা তাকে বাসায় গিয়ে দেখে এসেছেন। তার শারীরিক অবস্থা এই মুহূর্তে স্থিতিশীল।”

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখানকার চিকিৎসকরা যেদিন  তাকে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন বা তারা যদি মনে করেন তিনি বিদেশ থেকে দেশে যাওয়ার মতো অবস্থায় আছেন তখনই তিনি দেশে ফিরবেন।”

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে ইংল্যান্ডের ‘মধ্য-পশ্চিম লন্ডনের’ মেরিলিবন রোডে ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হয়। বিশেষায়িত এই হাসপাতালে তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর ডা. প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা

ঢাকা/ইভা

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের হৃদযন্ত্রে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার বাইপাস সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন তিনি ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক দলের প্রধান কার্ডিওলজিস্ট ডা. মমিনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে গতকাল বিকেলে ৪টায় তাঁর এনজিওগ্রাম করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, হৃদযন্ত্রে রয়েছে তিনটি বড় ব্লক। বাইপাস সার্জারিই সর্বোত্তম চিকিৎসা হিসেবে বিবেচনা করছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। প্রথমবার পড়ে যাওয়ার পর উঠে দাঁড়িয়ে আবার বক্তব্য শুরু করলেও দ্বিতীয়বার পড়ে গেলে আর দাঁড়াতে পারেননি। পরে তাকে দ্রুত ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিন গুরুতর কিছু ধরা না পড়ায় তিনি বাসায় ফিরে যান।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে ৩০ জুলাই সকালে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই ধরা পড়ে হার্টের তিনটি ব্লক।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, চিকিৎসকরা আরো কিছু পরীক্ষা করছেন। সেগুলোর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই বাইপাস সার্জারির সময় নির্ধারণ করা হবে।

ডা. শফিকুর রহমানের পিএস মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আরো জানান, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল। সার্জারির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তবে এখনো নির্দিষ্ট তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।

ঢাকা/কেএন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত