জিম্মিদের না ছাড়লে গাজায় ফের হামলার হুমকি নেতানিয়াহুর
Published: 12th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
তিনজন ইসরায়েলি জিম্মিকে আগামী শনিবার মুক্তি দেওয়া হবে না। ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয় হামাসের পক্ষ থেকে।
এবার তার কড়া জবাব দিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তিনি জানিয়েছেন, হামাস ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ফের গাজায় তীব্র অভিযান চালানো হবে। নেতানিয়াহুর দাবি, শনিবার দুপুরের মধ্যে হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তি দিতে হবে।
আগে কথা ছিল শনিবার তিনজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। নেতানিয়াহু এবার সব বন্দির মুক্তির কথা বলছেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
নেতানিয়াহুর দাবি, শনিবার দুপুরের মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স হামাসের ওপর চরম হামলা চালাবে। হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস না করা পর্যন্ত এই অভিযান বন্ধ হবে না।
নেতানিয়াহুর এই বার্তা পাওয়ার পর ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণে গাজা সীমান্তে তারা এরই মধ্যে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়েছে। রিজার্ভ ফোর্সকেও সেখানে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশ এলেই অভিযান শুরু হবে।
এদিকে গাজার অবস্থা কার্যত ধ্বংসস্তূপ। মঙ্গলবার জাতিসংঘের একটি সংস্থা জানিয়েছে, গাজাকে নতুন করে তৈরি করতে হলে সব মিলিয়ে ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে। প্রথম তিন বছরে খরচ হবে ২০ বিলিয়ন ডলার। গাজায় ৬০ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। শুধু নতুন করে বাড়ি বানাতেই খরচ হবে ১৫ বিলিয়ন ডলার। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে তৈরি করতে খরচ হবে আরও প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে নতুন করে গড়ে তুলতে খরচ হবে আড়াই বিলিয়ন।
এদিকে গাজার বাসিন্দাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লা। হোয়াইট হাউজে এই বৈঠক হয়েছে। ট্রাম্পের অভিমত, গাজা স্ট্রিপকে খালি করে দেওয়া হোক। যুক্তরাষ্ট্র ওই এলাকার দায়িত্ব নেবে এবং জায়গাটিকে একটি পর্যটকস্থল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
অন্যদিকে গাজার বাসিন্দাদের জর্ডান অথবা মিশরে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। কিন্তু প্রথম থেকেই জর্ডান ও মিশর এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছেন। মঙ্গলবারের বৈঠকেও জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, কোনোভাবেই গাজার বাসিন্দাদের জর্ডানে স্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হবে না। বরং গাজার মানুষ যাতে আবার শান্তিতে সেখানেই বসবাস করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে। সেখান থেকে কোনোভাবেই তাদের উৎখাত করা যাবে না। দুই-রাষ্ট্রের তত্ত্বের ভিত্তিতে গাজা সমস্যার সমাধান প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়ে এসেছেন, কোনোভাবেই জর্ডানে গাজার ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের জন্য আলাদা থাকার জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
মাসিক না হওয়ার কারণ
মেনোপজের আগে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ
গর্ভধারণ ও স্তন্যদান।
জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল কিংবা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি ব্যবহার।
অতিরিক্ত কম বা বেশি ওজন, অতিরিক্ত ভারী ব্যায়াম কিংবা অতিরিক্ত মানসিক চাপ।
থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি কিংবা আধিক্য, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কিংবা অন্য যেসব রোগের কারণে হরমোনের তারতম্য হয়।
ডিম্বাশয়ের টিউমার কিংবা ডিম্বাশয় বা জরায়ুতে কোনো অস্ত্রোপচার।
উচ্চ রক্তচাপ, অ্যালার্জি, বিষণ্নতা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যায় ব্যবহৃত ওষুধ।
কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি।
ডিঅ্যান্ডসির (ডায়ালেশন ও কিউরেটেজ নামের একটি অস্ত্রোপচারপদ্ধতি) মাধ্যমে গর্ভপাত।
আরও পড়ুনমাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা হয় কেন? ২৩ এপ্রিল ২০২৫কৈশোরে মাসিক শুরু না হওয়ার কারণনির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছেও যাঁর মাসিক শুরু হয়নি, তাঁর জন্য কারণটা হতে পারে জিনগত। নারীর জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে যেসব গ্রন্থি, সেসবের অস্বাভবিকতাও থাকতে পারে কারও কারও ক্ষেত্রে। যোনিপথ বা অন্যান্য প্রজনন অঙ্গের গঠনগত ত্রুটিও থাকতে পারে।
কত দিন মাসিক না হওয়া অস্বাভাবিকদু–এক মাস যদি মাসিক না হয়, তাতে ভয়ের কিছু নেই। কত দিন মাসিক না হওয়া অস্বাভাবিক, অর্থাৎ কখন নেবেন চিকিৎসকের পরামর্শ, জেনে নেওয়া যাক।
১৪ বছর বয়সে পৌঁছেও যদি কারও মাসিক শুরু না হয় এবং বয়ঃসন্ধির অন্য কোনো চিহ্নও না দেখা যায়।
বয়ঃসন্ধির অন্যান্য চিহ্ন থাকলে অবশ্য ১৬ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ১৬ বছরে পৌঁছে মাসিক না হলে বিষয়টিকে অস্বাভাবিক ধরে নিতে হবে।
যাঁর নিয়মিত মাসিক হয়, তাঁর যদি অন্তত তিন মাস মাসিক বন্ধ থাকে, তাহলে সেটির কারণ খুঁজতে হবে।
যাঁর মাসিক অনিয়মিত, তাঁর ক্ষেত্রে অন্তত ছয় মাস মাসিক বন্ধ থাকলে সেটিকে অস্বাভাবিকভাবে মাসিক বন্ধ হওয়া বলে ধরে নিতে হবে।
আরও পড়ুনঅনিয়মিত মাসিক কেন হয়২৫ জুলাই ২০২৩যদি থাকে অস্বাভাবিকতাএকজন নারীর সুস্থতার জন্য নিয়মিত মাসিক হওয়া খুবই জরুরি। যদি মাসিকে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, অস্বাভাবিকভাবে মাসিক বন্ধ থাকে কিংবা অনিয়মিত মাসিক হয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কারণটা খুঁজে বের করবেন। সে অনুযায়ীই হবে চিকিৎসা।
কারও মাসিক বন্ধ থাকার চিকিৎসার ক্ষেত্রে জীবনধারার পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। কারও প্রয়োজন হরমোন থেরাপি। অল্প কিছু ক্ষেত্রে সার্জারি বা শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
আরও পড়ুনমেয়েকে মাসিক সম্পর্কে কীভাবে জানাবেন০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩