স্বজনদের ভর্তি পরীক্ষা থাকলে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জবিতে প্রবেশে নি
Published: 12th, February 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভর্তি পরীক্ষায় যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তান ও আত্মীয়-স্বজন অংশগ্রহণ করবে, তাদের ক্যাম্পাসে অবস্থান না করতে নির্দেশনা জারির করা হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তান ও আত্মীয়-স্বজন অংশগ্রহণ করবে, তাদের সংশ্লিষ্ট শিফটে প্রত্যবেক্ষণ বা অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। একইসঙ্গে তাদের ক্যাম্পাসে অবস্থান না করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে রেজিস্টার অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন বলেন, “জবি ক্যাম্পাসটি অনেক ছোট। এখানে তিন শিফটে পরীক্ষা হবে। আমরা নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী যেসব শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান-সন্ততি বা আত্মীয়-স্বজন ভর্তি পরীক্ষা দেবেন, তারা ভর্তি পরীক্ষার কোন দায়িত্ব পালন অথবা ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না।"
তিনি বলেন, “এ সময় তারা অবস্থান করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পরিপন্থী হিসেবে বিবেচনা করা হবে।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবস থ ন পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।
সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।
স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা