ঢাকাসহ সারাদেশে শুরু হওয়া অপারেশন ডেভিল হান্টে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৫৬৬ জন। এছাড়া ডেভিল হান্টসহ অন্যান্য অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ৬৬৫ জনকে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৬৬ জনকে।এছাড়া এই বিশেষ অপারেশনসহ অন্যান্য অভিযানে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ হাজার ৬৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

অপারেশন ডেভিল হান্ট: ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৭

হবিগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্টে উদ্ধার যত অস্ত্র: ২টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, ১টি ছোরা ও ১টি রামদা।

গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় আওয়ামী লীগের হামলার পর নড়েচড়ে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঘোষণা দেয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানের। এরপর শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকেই অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

ঢাকা/এমআর/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ