দেড় কোটি টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে খুলনা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আকবর আলী শেখকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে তিন হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার খুলনার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো.

আশরাফুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইয়াসিন আলী। রায় ঘোষণার সময় আকবর আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালে পুলিশের উপপরিদর্শক আকবর আলীর দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১০ লাখ ৪১ হাজার ৮৩৬ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য উল্লেখ করেন। কিন্তু তাঁর ১ কোটি ৮২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন থেকে ১৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং অফিস থেকে গৃহনির্মাণ বাবদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণের তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি তাঁর বিবরণীতে ১ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার ২৫১ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য গোপন করেছেন, যা তাঁর জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি ওই সম্পদ অর্জন করে দখলে রাখায় অপরাধ করেছেন।

এ ঘটনায় দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাহাতাব উদ্দিন ২০১৬ সালের ২২ মার্চ বাদী হয়ে খুলনা থানায় একটি মামলা করেন। ২০১৭ সালের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক নাজমুল হুসাইন আদালতে আকবর আলী শেখকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলা চলাকালে ২০২২ সালে মো. আকবর আলীকে চাকরি থেকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান জানান, মামলায় নয়জনের মধ্যে আটজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ ও শুনানি শেষে আদালত এই রায় দেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ২২ বোতল মাদকসহ যুবক আটক

খুলনায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ২২ বোতল বিশেষ ধরনের মাদকসহ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। 

রবিবার (২ নভেম্বর) কেএমপির মিডিয়া সেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মিডিয়া সেল প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, খুলনা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি টিম শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খালিশপুর থানাধীন নুরনগর মেইন রোড সংলগ্ন জনৈক আকবর মুন্সির বাড়িতে অভিযান চালায়। 

এসময় ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. আবুল কালাম সরদারের (৩৫) ঘরের খাটের নিচ থেকে ২২ বোতল কোডিন ফসফেট যুক্ত উইন কোরেক্স উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মো. আবুল কালাম সরদারকে আটক করা হয়। সে বরিশালের নলছিটি উপজেলার ভাঙ্গা দেওলা গ্রামের মৃত আমির আলী সরদারের পুত্র। 

কেএমপির মিডিয়া সেলের ইনচার্জ সহকারী পুলিশ কমিশনার খোন্দকার হোসেন আহম্মেদ বলেন, “আটককৃত আবুল কালাম সরদার নগরীর নুরনগর মেইন রোড এলাকার মো. আকবর মুন্সির বাড়িতে ভাড়াটিয়া থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ খুলনা মহানগর এলাকায় মাদকদ্রব্য কোডিন ফসফেট যুক্ত উইন কোরেক্স ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ করে আসছে। তার বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেরপুরে কৃষককে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ
  • রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান
  • খুলনায় ২২ বোতল মাদকসহ যুবক আটক
  • সিদ্ধিরগঞ্জে বিজয় দিবস-৩৬ নাইট ক্রিকেট টূর্নামেন্টের উদ্বোধন