বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনে মার্কিন ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না: ট্রাম্প
Published: 14th, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনে মার্কিন ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন সফরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন তিনি। বৈঠকের আগে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে উঠে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, শুক্রবার দুই নেতা বৈঠকের আগে একে অপরকে আলিঙ্গন ও করমর্দন করেন। এরপর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
এক ভারতীয় সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের বিষয়ে আপনার অভিমত কী? কারণ এটা স্পষ্ট যে বাইডেন প্রশাসনের আমলে মার্কিন ডিপ স্টেট বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত ছিল। এমনকি, মুহাম্মদ ইউনূসও জুনিয়র সরোসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বাংলাদেশের বিষয়টি নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?
এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, এ ক্ষেত্রে আমাদের ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না। এটা এমন একটি বিষয় যেটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (মোদি) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন এবং সত্য বলতে, শত শত বছর ধরে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। কিন্তু আমি এটা প্রধানমন্ত্রীর (মোদির) হাতে ছেড়ে দিচ্ছি।
ওয়াশিংটনে মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, কৌশলগত সম্পর্ক এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে উভয় নেতা একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে মোদি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে কূটনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হতে পারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম দ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কখন ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ে, সেই আতঙ্কে দিন কাটছে তেহরানের মানুষের
ইরানের চলমান পরিস্থিতি বোঝাতে বিবিসির সঙ্গে কথা বলা বেশির ভাগ মানুষ একটাই কথা বলেছেন, ‘আটকে গেছি।’
বিবিসি নিউজ পার্সিয়ানকে তেহরানের এক বাসিন্দা বলেন, ইসরায়েলের টানা তিন দিনের হামলার পর পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে সবাই কোনো না কোনোভাবে শহর ছাড়ার চেষ্টা করছে।
গতকাল রোববার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন পেট্রোলপাম্পে লম্বা লাইন দেখা যায়। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অনেকে শহর ছেড়ে দূরে নিরাপদ এলাকায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তীব্র যানজটে তারা প্রদেশের সীমানাই পার হতে পারেননি।
তেহরানের এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, ‘তেহরান এখন একদম নিরাপদ নয়। ইসরায়েলি হামলার আগে আমরা কোনো সাইরেন বা সরকারি সতর্কতা পাই না। শুধু বিস্ফোরণের শব্দ শুনি আর প্রার্থনা করি, এবার যেন আমাদের বাসায় বোমা আঘাত না হানে। আর যাবই বা কোথায়? এখন আর কোনো জায়গাকে নিরাপদ মনে হয় না।’
তেহরান থেকে অন্য একটি প্রদেশে চলে যেতে পেরেছেন এমন একজন বলেন, ‘আমি এখনো ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না, সত্যিই কি এক যুদ্ধক্ষেত্রে বাস করছি? কখন যে এই বাস্তবতা মেনে নিতে পারব, সেটাও জানি না।’
ওই ইরানি নাগরিক আরও বলেন, ‘এটা আমার যুদ্ধ নয়। যুদ্ধে কে জিতল, তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। আমি শুধু আমার পরিবারকে নিয়ে টিকে থাকতে চাই।’
ইসরায়েল শুক্রবার থেকে ইরানে টানা কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটা সবচেয়ে বড় ধরনের হামলা। জবাবে ইরানও ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রোববার জানায়, ইসরায়েলের হামলায় সারা দেশে ২২৪ জন নিহত হয়েছেন।
একজন ইরানি নারী বিবিসিকে বলেন, ‘গত দুই রাত আমি ঘুমাতে পারিনি। খুব কঠিন সময় পার করছি।’
ওই নারী বলেন, এখনকার পরিস্থিতি তাঁকে ৮০–এর দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময়কার দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। তখন তিনি শিশু ছিলেন। বোমা পড়লেই দৌড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যেতেন।
ইসরায়েলি হামলার পর ইরানের কেরমানশাহ শহর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়