গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বুলবুলির চরের পাশে ব্রহ্মপুত্র নদে বন্দুক ও পাখিসহ এক শিকারিকে দেখা গেছে। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে একদল সৌখিন পাখির আলোকচিত্রীদের হাতে এই শিকারি ধরা পড়েন। এসময় আলোকচিত্রী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, সাহিত্যকর্মী রানা মাসুদ, প্রকৌশলী ফজলুল হক, হাসান মাহবুব আখতার লোটনসহ অনেকে ছিলেন। শিকারির হাতে দুর্লভ প্রজাতির পরিযায়ী দুটি লালঝুঁটি ভুতি হাঁস দেখা যায়।

এসময় আলোকচিত্রী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড.

তুহিন ওয়াদুদ শিকারির একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। সেই সাক্ষাতকার সূত্রে জানা যায়, পাখি শিকারির নাম সুজন মিয়া। তিনি গাইবান্ধা সদরের কামারজানি গিদারি গ্রামের মৃত মহিউদ্দীন মিলিটারির ছেলে। তার বাবাও পাখি শিকার করতেন বলে সুজন জানান। তার বন্দুক হারিয়ে গেছে। সে অন্যের বন্দুকে পাখি শিকার করে। যার বন্দুক নিয়ে এসেছেন তিনিও উপস্থিত ছিলেন। তার নাম উজ্জ্বল চন্দ্র সরকার।

ভিডিও সাক্ষাতকারটি কামারজানি এলাকায় কিছু লোকের কাছে পাঠালে স্থানীয় একজন জানান, ‘তার আসল নাম বাবু। আসলেই সে পাখি শিকারি। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে পাখিরা নিরাপদ হবে।’ অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ পাখি শিকারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানান।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ লছড় বন দ ক

এছাড়াও পড়ুন:

আমির খান আলোচিত যে ৭ সিনেমা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন

‘সাজন’
লরেন্স ডিসুজার এই রোমান্টিক সিনেমাটি উপমহাদেশজুড়েই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়, সিনেমাটির গানগুলোও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। বিভিন্ন ভাষায় সিনেমাটির রিমেক হয়। তবে মূল সিনেমাটিই আদতে একটি ফরাসি নাটক থেকে অনুপ্রাণিত। আলোচিত এ হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেন সঞ্জয় দত্ত, মাধুরী দীক্ষিত ও সালমান খান। এ ছাড়া ছিলেন কাদের খান। ১৯৯১ সালে এটি ছিল সবচেয়ে ব্যবসাসফল হিন্দি সিনেমা। শুরুতে এ ছবির প্রস্তাব যায় আমির খানের কাছে। কিন্তু তাঁর কাছে চরিত্রটি পছন্দ হয়নি। আমির খান জানান, চরিত্রটির সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই একাত্মবোধ করতে পারছেন না, তাই ফিরিয়ে দেন।

‘ডর’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ