রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি ইমরান চৌধুরী আকাশকে জামালপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে জেলার ইসলামপুর উপজেলার গঙ্গাপাড়া গ্রামে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইমরান চৌধুরী আকাশ বেরোবি ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শেখ রাসেল শিশু কিশোর ক্রীড়াচক্রের সভাপতি। তিনি গঙ্গাপাড়া গ্রামের শাহেনশা চৌধুরী শাহিনের ছেলে।

ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ‘‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে ইমরান চৌধুরী আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি এখানে আত্মগোপনে ছিলেন।’’

ইমরান চৌধুরী আকাশ আবু সাঈদ হত্যা মামলার ৫৮তম আসামি, জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/শোভন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইমর ন চ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় সারজিসের উপস্থিতিতে মারামারির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ৪ নেতা হাসপাতালে

বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মারামারির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংগঠকসহ চার নেতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চার নেতা গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে জুনায়েদ নামের একজন ছুরিকাহত হয়েছেন। বাকি তিনজনের সামান্য জখম হয়েছে। আহত চারজনের অবস্থা তেমন গুরুতর নয় বলে তিনি জানান।

গতকাল বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে বগুড়ার শহীদ টিটু মিলনায়তন চত্বরে (পৌর পার্ক) এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ওই মারামারির ঘটনা ঘটে। সমাবেশে বৈষম্যবিরোধীদের একটি পক্ষ এনসিপি নেতা সারজিস আলম ও সাকিব মাহদীর বিরুদ্ধে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিলে সারজিসের পক্ষ নিয়ে অন্যরা তাঁদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি বেধে যায়। এতে একজন ছুরিকাহত ছাড়াও অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা দাবি করেছেন। তাঁরা জেলা কমিটির আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসানের অনুসারী বলে জানা গেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার নেতা হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সংগঠক জুনায়েদ হোসেন (২১), যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদ হাসান (২৩), সংগঠক তাহমিদ হোসেন (২৪) ও সদস্য তাওহীদ হোসেন (২০)। আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

আরও পড়ুনবগুড়ায় সারজিসের উপস্থিতিতে এনসিপির সমাবেশে দফায় দফায় মারামারি১৯ ঘণ্টা আগে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার আহ্বায়ক ও সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বগুড়ায় জুলাই বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা রাখা ছাত্র-জনতাকে কোণঠাসা করে এনসিপিকে জামায়াত-শিবির ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকরণের অপচেষ্টা চলছে। জামায়াত-শিবিরের অনেক সক্রিয় নেতা-কর্মীকে এনসিপির কমিটিতে পদ দেওয়ার অপচেষ্টা চালানোয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ক্ষুব্ধ। সারজিস আলমের কাছে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে গিয়ে স্লোগান দিলে সন্ত্রাসী কায়দায় তাঁদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালানো হয়। সারজিস আলমের সামনেই সাকিব মাহদীর অনুসারীরা এ ঘটনা ঘটলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। আহত ব্যক্তিদের দেখতে হাসপাতালেও যাননি। হামলার প্রতিকারের বিষয়ে আরেক মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর কাছে তাঁরা নালিশ জানাবেন।

তবে এনসিপির বগুড়া জেলার অন্যতম সংগঠক আহমেদ সাব্বির প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বগুড়ায় এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ছিল। এনসিপি থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় এক নেতার কিছু উচ্ছৃঙ্খল সমর্থক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি অংশের কিছু নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলে এসে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়াসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। এ সময় হাতাহাতি হয়েছে। পরে তাঁদের প্রতিহত করে সমাবেশস্থল থেকে বের করে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ