লাক্স তারকা থেকে অভিনয়ে শানারেই দেবী শানু। এখন পুরোপুরো যেনো লেখক তিনি। প্রতি বইমেলাতেই বই প্রকাশ করেন। নতুন খবর হচ্ছে এই অভিনেত্রী বিয়ে করেছেন।  পাত্র মাহবুব জামিল পুলক। পেশায় প্রকৌশলী হলেও লেখালেখি করেন। এই লেখালেখির সূত্রধরেই একে অপরের পরিচয় ও একসঙ্গে পথ চলা। 

বিয়ের খবর শানু নিজেই জানিয়েছেন। অভিনেত্রী ভাষ্যে, তারা গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেছেন। তবে এতদিন বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেননি।

শানু বলেন, ‘গত বছরে আমরা বিয়ে করেছি। এরপর ভালো একটা সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তাই এতদিন বিষয়টি আমি জানাইনি। আমার কাছের কিছু মানুষজন এটি জানেন। এখনও আমরা অস্থির সময়ের মধ্যে আছি। সংবাদমাধ্যমে অফিসিয়ালি জানাইনি। বইমেলায় একসঙ্গে উপস্থিত হওয়ায় আরও অনেকেই জেনেছেন।’

তিনি যোগ করে আরও বলেন, ‘আমি মণিপুরি সম্প্রদায় থেকে উঠে এসেছি। আমাদের সংস্কৃতি যেমন অনেক সম্মানের, তেমনি সেনসিটিভও। তাই ব্যক্তিগত বিষয়গুলো ভেবেচিন্তে প্রকাশ করি।’ 

মাহবুব জামিলের সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে শানু বলেন, ‘উনি মূলত কবি। লেখালেখি করছেন দীর্ঘদিন ধরে। আমরা দুজনই শব্দের মানুষ। আমাদের ভাবনাটা মিলে যায়। আজব কারখানায় এসেই আমাদের দুজনের পরিচয়।’

ঢাকার ছেলে মাহবুব জামিল পুলক লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ২০১৯ সালে, তার প্রকাশিত প্রথম প্রকাশনা ‘জলপরীর নিঃশ্বাস’ বইটির মাধ্যমে। 

 শানারেই দেবী শানু ২০০৯ সালে প্রথম বিয়ে করেছিলেন জেভিয়ার শান্তনু বিশ্বাসকে।  দুই পরিবারের মধ্যস্থতায়  সে সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয়। 

এবারের বইমেলায় শানুর রেখা ‘বাঘ মানুষ’ প্রকাশ পেয়েছে। লেখক বলেন, এটা মণিপুরি মিথলজি। লোকগাথাকে ভিত্তি করে এটি লেখা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।

ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।

আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • স্মার্ট সিটি হবে চট্টগ্রাম, একসঙ্গে কাজ করবে গ্রামীণফোন-চসিক
  • অনলাইন জীবন আমাদের আসল সম্পর্কগুলোকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে
  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন
  • প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন হুমা কুরেশি!
  • একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল