অমর একুশে বইমেলার ১৫তম দিনে মোড়ক উন্মোচন হলো শেখ কানিজ ফাতেমার প্রথম গল্পগ্রন্থ  ‘মন্তাজ মিয়ার স্বাধীনতা’।

শনিবার সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার মঞ্চে এর মোড়ক উন্মোচন করেন লেখকের ছেলে অনিরুদ্ধ ইনান।

এ সময় গল্পপ্রেমী বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন লেখক শেখ কানিজ ফাতেমা নিজেও। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মলয় সাহা, মো.

সাখাওয়াৎ হোসেন আকাশ, সৈয়দ হাসান যুবাইরসহ আরো অনেকে।

আরো পড়ুন:

বইমেলায় ‘মায়াজাল’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

শনিবার বইমেলার সময় পরিবর্তন

শেখ কানিজ ফাতেমার লেখা নিয়ে আলোচনা করেন সংস্কৃতিকর্মী প্রশান্ত কুমার মণ্ডল ও মো. আরিফুল ইসলাম, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ আরিফুর রহমান।

‘মন্তাজ মিয়ার স্বাধীনতা' বইটিতে মূলত স্থান পেয়েছে বাস্তচ্যুত মানুষের ক্ষুধা-যন্ত্রণা-প্রেম-বিরহ আর ছোট ছোট স্বপ্নসাধ। তার লেখার বড় বিশেষত্ব হলো তার প্রায় সবগুলো গল্পে জৈবিক প্রেমের তাড়নাকে পেটের ভাতের তাড়নার কাছে অবধারিতভাবে পরাজিত হতে দেখা যায়।

বইটি প্রকাশ করেছে নৈঋতা ক্যাফে। প্রচ্ছদ করেছেন আইয়ুব আল আমিন। ৬৪ পৃষ্ঠার এই বইটিতে গল্প রয়েছে মোট ৬টি। বইমেলায় নৈঋতা ক্যাফে স্টলে পাওয়া যাচ্ছে (স্টল নম্বর ৬১০)। দাম ২০০ টাকা।

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবেশ রক্ষায় ‘বীজ বোমা’

পরিবেশ রক্ষায় অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইলের তরুণ পরিবেশকর্মী ও সংগঠক মুঈদ হাসান তড়িৎ। সামাজিক সংগঠন ‘যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন তিনি। ‘বীজ বোমা’ নামের এক বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃক্ষরোপণের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন তড়িৎ। 

সাধারণত মাটি দিয়ে ছোট বলের আকারে তৈরি করা হয় ‘বীজ বোমা’। এর ভেতরে থাকে বীজ, সার ও পুষ্টিকর উপাদান। এগুলো যেকোনো উন্মুক্ত স্থানে ছুড়ে দিলেই বৃষ্টির পর তা থেকে গাছ জন্ম নিতে পারে।

মুঈদ হাসান তড়িৎ বলেছেন, “আমাদের চারপাশে অনেক অনাবাদি জমি পড়ে আছে। এই জমিগুলোতে যদি আমরা সহজ পদ্ধতিতে গাছ লাগাতে পারি, তাহলে দ্রুত সবুজায়ন সম্ভব। সে ভাবনা থেকেই এই ‘বীজ বোমা’। যুবদের জন্য ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে বীজ বোমা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।”

এ উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও পরিবেশ বিষয়ে সচেতন করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তারা একত্রিত হয়ে শহরের নানা স্থানে বীজ বোমা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে যেমন গাছ বাড়ছে, তেমনই পরিবেশ সম্পর্কে তরুণদের সচেতনতাও তৈরি হচ্ছে।

পরিবেশবিদ ও সুশীলসমাজের সদস্যরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। পরিবেশকর্মী ডা. মুজিব রহমান বলেছেন, “কম খরচে ও সহজ উপায়ে সবুজায়নের কার্যকর পদ্ধতি বীজ বোমা। যদি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ উদ্যোগে সহায়তা করে, তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।”

এছাড়া, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মাত্র ১০ টাকায় ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন তড়িৎ ও তার সংগঠন। শতাধিক মানুষ পছন্দের গাছ মাত্র ১০ টাকায় ক্রয় করেছেন এ উদ্যোগ থেকে। 

তড়িতের এ উদ্যোগ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে প্রশংসা করছেন এই অভিনব চিন্তার এবং একে আরো বড় পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

পরিবেশ রক্ষায় এক পা সামনে এগিয়েছে তড়িতের ‘বীজ বোমা’। এখন সবার এগিয়ে আসার সময়।

ঢাকা/কাওছার/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ