রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে শহীদ আবু সাঈদ বইমেলা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বইমেলার আয়োজন করছে। মেলা চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

বইমেলা উপলক্ষে আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য মো. শওকাত আলী বলেন, এবারের বইমেলা উদ্বোধন করবেন শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন ও শহীদ ফেলানীর বাবা নুর হোসেন। ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বইমেলার আয়োজন করা হয়। সেখানে উত্তরবঙ্গ থেকে সবাই যাওয়ার সুযোগ পান না। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগে এর আগে বইমেলা হয়েছে। তবে এবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবু সাঈদের নামে বইমেলা করার উদ্যোগ নিয়েছে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ১৬ জুলাই নিহত হন। আর ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হন কিশোরী ফেলানী খাতুন।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য আরও জানান, ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মেলা চলবে প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বইমেলায় থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। রংপুরের বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও দেশের নানা প্রকাশনা সংস্থা মেলায় স্টল দেবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াতের পর এবার সমাবেশে অংশ নিতে বিশেষ ট্রেন ভাড়া ছাত্রদলের

জামায়াতে ইসলামীর পর এবার বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৩ আগস্ট ছাত্র সমাবেশে অংশ নিতে প্রায় ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে চট্টগ্রাম ছাত্রদল ২০ বগির এই বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে।  

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩ আগস্ট ছাত্র সমাবেশ করবে ছাত্রদল।

এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ২০ বগির একটি বিশেষ ট্রেনের জন্য আবেদন করা হয়। ছাত্রদলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ রেলওয়ে। আগামী রোববার সকাল সোয়া ৭টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছেড়ে যাবে। আর ঢাকায় পৌঁছাবে বেলা সোয়া ১টায়। এই ট্রেন সন্ধ্যা সাতটায় আবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০ বগির ট্রেনটিতে ১ হাজার ১২৬টি আসন রয়েছে। বিশেষ ট্রেন পরিচালনার জন্য রেলওয়ের চট্টগ্রাম, ঢাকা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তৌষিয়া আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রেল ভবনের অনুমোদন সাপেক্ষে বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই কারণে নিয়মিত ট্রেন চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না।

চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সাব্বির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন,  এই ট্রেনে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার প্রায় দেড় হাজার নেতা-কর্মী যাবেন। সবাই একসঙ্গে যেতে চাওয়ায় ট্রেন ভাড়া করেছেন। বাসে হলে তা সম্ভব ছিল না।

এর আগে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করেছিল জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশে নেতা-কর্মীদের যাতায়াতের জন্য ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম থেকে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করে দলটি। এই চার ট্রেন ভাড়া করতে দলটিকে গুনতে হয়েছে প্রায় ৩২ লাখ টাকা।

জামায়াতের ট্রেন ভাড়া করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় জানায়, বিশেষ ট্রেন পরিচালনায় স্বাভাবিক নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ