সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

কঠোর আন্দোলনের মুখে বহুল সমালোচিত মোংলা উপজেলার সেই নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া শারমিনকে বদলি করা হয়েছে। নানাবিধ অভিযোগ উত্থাপন করে গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটি ও বিএনপিসহ বিভিন্ন মহলের দাবি ও বিক্ষোভের মুখে তাকে বদলি করা হয়।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক দাফতরিক আদেশে তাকে মোংলা থেকে প্রত্যাহার করে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাট জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে চাকরিরত শারমিন আক্তার সুমিকে মোংলা উপজেলায় নতুন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

এদিকে বহুল বিতর্কিত ও সমালোচিত ইউএনও আফিয়া শারমিনকে মোংলা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ায় স্থানীয় সাধারণ জনগণ ও বিভিন্ন মহলে স্বস্তির নিশ্বাস ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোংলার এই ইউএনও আফিয়া শারমিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, সেবা গ্রহণকারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, প্রশাসনিক অদক্ষতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বহু অভিযোগ ছিল।

বিসিএস ৩৫ ব্যাচের এ কর্মকর্তা গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার তালা উপজেলা থেকে মোংলায় ইউএনও হিসেবে যোগদান করেই নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এর জেরে সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি ও নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন মহল তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও আন্দোলন করে আসছিল।

সর্বশেষ, গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে এ সকল সংগঠন ইউএনওর প্রত্যাহারের দাবিতে মোংলা উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে ইউএনও আফিয়া শারমিনকে দ্রুত অপসারণ করা হবে বলে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের এমন আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় আন্দোলনকারীরা। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জেলা প্রশাসক আজ সোমবার তাকে মোংলা থেকে প্রত্যাহার করে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সংযুক্ত করেন।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আ.লীগ নেতাকে নিয়ে মানববন্ধন করে ইউএনওকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে নিয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার হরিতলা মোড়ে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে ইউএনওর অপসারণের দাবি জানানো হয়।

এলাকার সচেতন নাগরিক, ব্যবসায়ী মহল, অভিভাবক, ছাত্রছাত্রী, কর্মচারী-শিক্ষকমণ্ডলীর ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়। এতে এলাকাবাসী ছাড়া তাহেরপুর কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন থেকে কলেজের সম্পত্তি অন্যত্র ইজারা দেওয়ার চেষ্টার প্রতিবাদ জানানো হয়।

তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে মানববন্ধন করা হয়। পৌরসভার নির্মিত দোকানঘর থেকে তাহেরপুর কলেজ কর্তৃপক্ষের ভাড়া আদায় বন্ধ করে দেওয়ায় এ কর্মসূচি পালন করা হয় বলে অভিযোগ। আওয়ামী লীগের নেতার দাবি, তিনি দলীয় পরিচয়ে নয়, কলেজশিক্ষক হিসেবে মানববন্ধনে যোগ দিয়েছেন। তবে ব্যানারে ফ্যাসিবাদ শব্দটি প্রথমে দেখেননি। পরে দেখেছেন।

মানববন্ধনে তাহেরপুর কলেজের শিক্ষক রইচ আহমেদ, সুরাইয়া আক্তার, তাহেরপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা বাগমারার ইউএনওকে ফ্যাসিবাদের দোসর ও চব্বিশের চেতনাবিরোধী অভিযোগ তুলে তাঁদের ভাড়া আদায় বন্ধ করে দেওয়ার নিন্দা জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাহেরপুর কলেজ–সংলগ্ন স্থানে পৌর কর্তৃপক্ষ দোকানঘর নির্মাণ করেছে। পৌরসভার পক্ষে নিয়মিত ভাড়া আদায় করা হয় ওই প্রতিষ্ঠান থেকে। ৫ আগস্টের পর থেকে কলেজের পক্ষ থেকে ৪১টি দোকানঘর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেগুলো থেকে ভাড়া আদায় করা হয়।

পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে বাগমারার ইউএনও দোকানঘর থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষের ভাড়া আদায় বন্ধ করে দেন। দোকানঘরগুলো পৌরসভার হওয়ায় তারাই সেখান থেকে ভাড়া আদায় করবে বলে জানানো হয়। সেখান থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ আর ভাডা আদায় করবে না জানিয়ে ২২ এপ্রিল পৌরসভার প্রশাসককে লিখিতভাবে জানান কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম। এর পর থেকে কর্তৃপক্ষ ইউএনওর ওপর ক্ষুব্ধ হয়।

তাহেরপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক সুরাইয়া আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, কলেজের জায়গায় তাহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়ব ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ দোকানঘর নির্মাণ করে মোটা অঙ্কের টাকায় ভাড়া দেন। ৫ আগস্টের পর তাঁরা (কলেজ কর্তৃপক্ষ) সেগুলো নিয়ন্ত্রণে নেন। তবে ২২ এপ্রিল ইউএনও সাদা কাগজে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছ থেকে ভাড়া আদায় বিষয়ে একটি লিখিত নিয়েছেন। এর প্রতিবাদে মূলত তাঁদের এই কর্মসূচি।

পৌরসভার দোকানঘর থেকে কেন পৌরসভা ভাড়া আদায় করবে না জানতে চাইলে সুরাইয়া আক্তার বলেন, ‘জায়গাগুলো কলেজের ছিল।’ ব্যানারে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখা হলেও কেন আওয়ামী লীগের নেতাকে নিয়ে মানববন্ধন করলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কলেজের স্বার্থে আমরা এক।’

জানতে চাইলে ইউএনও মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, দোকানগুলো তাহেরপুর পৌরসভার। সেগুলো থেকে ভাড়া আদায় করে পৌরসভার কোষাগারে জমা করা হয়। তিনি প্রশাসক হিসেবে ভাড়া আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছেন। কলেজের অধ্যক্ষ নিজেই জানিয়েছেন, এখন থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভাড়া আদায় করবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাতে ‘টর্চলাইট জ্বালিয়ে’ দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ইউএনও-ওসিসহ আহত ৩০
  • পড়াশোনায় ফিরছেন দিনাজপুরের ‘ইংলিশম্যান’ হৃদয়, শেখাবেন ইংরেজি
  • আ.লীগ নেতাকে নিয়ে মানববন্ধন করে ইউএনওকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা
  • নারায়ণগঞ্জে ৩০ স্কুলে চালু হলো ‌‘মিড ডে মিল’
  • গাজীপুরে ১০ মাটি খেকোকে কারাদণ্ড
  • পাঠাগার থেকে লুট হওয়া বই ফেরত পেলো কর্তৃপক্ষ
  • দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিলেন ইউএনও