বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ ছড়িয়ে দিতে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশ ঘটাতে রাজধানীর হলি ক্রস কলেজের বিজ্ঞান ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ‘২২তম ইন্টার কলেজ সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল–২০২৫’। এই বিশাল বিজ্ঞান উৎসব ১৩ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেশের মোট ৭৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

উদ্বোধনী ও সমাপনী আয়োজন

উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বি এম মুহাম্মাদ হোসেন (অধ্যাপক, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), রুবায়েত মোরশেদ (অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ও সেবাস্টিয়ান গ্রো (সহযোগী অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়)। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহ–উপাচার্য আবুল কাশেম মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুনির হাসান, লেখক, কো-ফাউন্ডার, বিডিএমও, বিডিওএসএন, এসপিএসবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাফর উদ্দীন সিদ্দিকী, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস, সিটি গ্রুপ।

বিজ্ঞান প্রতিযোগিতা ও আয়োজন

চার দিনব্যাপী এই বিজ্ঞান উৎসবে ছিল বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও ইভেন্ট। ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল সাই-ফাই গল্প লেখা, বিজ্ঞান বনাম বিজ্ঞানী বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও জেওপার্ডি কুইজের প্রথম রাউন্ড।

১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় মানসিক দক্ষতা ও বিজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে মানসিক অলিম্পিয়াড, জীববিজ্ঞান, ভূগোল, গণিত, প্রকল্প প্রদর্শনী, পদার্থবিদ্যা, তথ্যপ্রযুক্তি ও রসায়ন অলিম্পিয়াড।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ ছড়িয়ে দিতে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশ ঘটাতেই হলি ক্রস কলেজের বিজ্ঞান ক্লাব আয়োজন করেছিল ‘২২তম ইন্টার কলেজ সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল-২০২৫’.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপস থ ত ছ ল ন অন ষ ঠ ইন ট র

এছাড়াও পড়ুন:

২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি

ভোলার ভ্যাপসা গরম, দুপুর গড়াতে না গড়াতেই সদর রোডজুড়ে তীব্র যানজট নাগরিক জীবনকে ব্যস্ত করে ফেলে। গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষ একটু স্বস্তি খোঁজে। আর সেই স্বস্তি এনে দিতে পারে ভোলার বিখ্যাত বৈষা দধি।

দুপুরের আগেই সব দোকানের হাঁড়ি ফাঁকা হয়ে যায়। মহিষের কাঁচা দুধে পাতানো এই দই ভোলার স্বাদ, ইতিহাস ও গর্বের এক অনন্য বহিঃপ্রকাশ।

ভোলার দোকানগুলোতে প্রতিদিন মণকে মণ বৈষা দধি তৈরি হয়। এই দইয়ের বিশেষত্ব হলো, মহিষের কাঁচা দুধ দিয়ে এটি পাতা হয়। বাজারে সচরাচর যে দই পাওয়া যায়, সেসব তৈরি হয় গরুর দুধ দিয়ে এবং দুধ জ্বালিয়ে গাঢ় করে। কিন্তু ভোলার বৈষা দধি হয় মহিষের কাঁচা দুধ দিয়ে।

জলবেষ্টিত দ্বীপ জেলা ভোলার এক অমূল্য সম্পদ মহিষ। পূর্বে মেঘনা, পশ্চিমে তেঁতুলিয়া, উত্তরে ইলিশা আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর—এই চার নদী ও সমুদ্রবেষ্টিত চরাঞ্চলে ঘুরে বেড়ায় হাজার হাজার মহিষ। সরকারি হিসাবে এই সংখ্যা দেড় লাখের কাছাকাছি, তবে স্থানীয় লোকজনের মতে তা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। এই মহিষের দুধই বৈষা দধির প্রাণ।

প্রায় দুই শতাব্দী ধরে এ অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় থাকে এই দই। এ ছাড়া অতিথি আপ্যায়নের অন্যতম প্রধান উপাদান এটি। উৎসব-পার্বণ, বিয়েশাদি কিংবা যেকোনো সামাজিক আয়োজনে বৈষা দধি ছাড়া যেন ভোলার কোনো উৎসব পরিপূর্ণতা পায় না।

মুহাম্মদ শওকাত হোসেনের ‘ভোলা জেলার ইতিহাস’ বই থেকে জানা যায়, দুই শ বছর আগে থেকে ভোলায় চর জাগতে শুরু করে। বসতি হয়, মহিষ পালন শুরু হয়। দুধ সংরক্ষণের উপায় ছিল না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা দই বানাতেন। সেখান থেকেই বৈষা দধির যাত্রা শুরু, যা পরে ছড়িয়ে পড়ে পুরো অঞ্চলে।

ভোলার মানুষের খাদ্যসংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে এই দই। এটি ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয়, চিড়া-মুড়ির সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় মুখরোচক খাবার, আবার গরমের দিনে দই, পানি ও চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয় ঘোল—যা শরীরকে শীতল রাখে। শীতকালে হাঁসের মাংসের সঙ্গে টক দই ও খেজুরের গুড়—ভোলার ভোজনরসিকদের কাছে এক অনন্য স্বাদ। পান্তাভাতের সঙ্গে দই ও খেজুরের গুড় এই অঞ্চলের জনপ্রিয় একটি খাবার।

বর্তমানে প্রতি কেজি বৈষা দই বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। তবে ঈদে দাম বেড়ে যায়। ঈদের আগেই বিক্রেতারা দুধ জমাতে শুরু করেন এবং এ সময়ে প্রতিদিন ৮০০–৯০০ কেজি পর্যন্ত দই বিক্রি হয়।

ভোলার দোকানগুলোতে প্রতিদিন মণকে মণ বৈষা দধি তৈরি হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঠাকুরগাঁওয়ে ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব অনুষ্ঠিত
  • উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
  • কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
  • কারও কোনো অপরাধ নাই
  • বিশ্বকর্মা পূজা: গাঙ্গেয় শিল্পের উৎসব
  • আজ থেকে বুসান উৎসব, নানাভাবে রয়েছে বাংলাদেশ
  • ‎সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব : ডিসি
  • ঘুম থেকে অনন্ত ঘুমে অস্কারজয়ী রবার্ট রেডফোর্ড
  • ২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি
  • শেষ হলো সপ্তম যোসেফাইট ম্যাথ ম্যানিয়া ২০২৫