আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলা উপভোগ করা যাবে টফিতে
Published: 17th, February 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেট উন্মাদনার পারদও তুঙ্গে। ক্রিকেট–বিশ্বের অন্যতম প্রতীক্ষিত এই টুর্নামেন্ট ঘিরে উত্তেজনার যেন শেষ নেই। এ উন্মাদনাকে আরও উপভোগ্য করে তুলতে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘টফি’ পুরো টুর্নামেন্ট লাইভ স্ট্রিমিং করবে। ফলে যেকোনো স্থান থেকে বিরামহীনভাবে সরাসরি ম্যাচ উপভোগ করা যাবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ক্রিকেটপ্রেমীদের নিরবচ্ছিন্নভাবে খেলা উপভোগের বিষয়টিকে আরও সহজ ও সাশ্রয়ী করে তুলতে বাংলালিংক ও অন্যান্য অপারেটর ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ কয়েক রকম সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান নিয়ে এসেছে টফি। ৯৯ টাকা সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে পুরো টুর্নামেন্ট উপভোগ করা যাবে। এ ছাড়া এতে বিকাশ, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলালিংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জন্য ক্রিকেট কেবল একটি খেলা নয়, বিশাল এক উৎসবও বটে। টফিতে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই, ক্রিকেটপ্রেমীরা যে যেখানেই থাকুক না কেন, তাঁরা যেন খেলার একটি রোমাঞ্চকর মুহূর্তও মিস না করেন। আমরা দেশের সব ক্রিকেটপ্রেমীর জন্য নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চ মানসম্পন্ন স্ট্রিমিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।’
বিস্তারিত জানা যাবে ওয়েবসাইটে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপভ গ
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব