কক্সবাজার সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান
Published: 17th, February 2025 GMT
তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে কক্সবাজারে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সোমবার উপজেলা প্রশাসন ও ব্র্যাকের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এদিন সকাল ১০টায় কক্সবাজার শহরের কলাতলী ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সামনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
কক্সবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফার ইয়াছমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ও ব্র্যাকের প্রজেক্ট ম্যানেজার মাহফুজ উর রহমান প্রমুখ। পরে স্থানীয় লোকজন এবং স্বেচ্ছাসেবীরা যৌথভাবে সৈকত পরিষ্কার করে। অভিযানে স্বেচ্ছাসেবীরা প্ল্যাস্টিক বোতল, কাগজ, প্যাকেট এবং অন্যান্য ময়লা জড়ো করে সেগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য জায়গায় সরিয়ে ফেলে।
ব্র্যাকের প্রজেক্ট ম্যানেজার মাহফুজ উর রহমান বলেন, এই অভিযানটির মূল উদ্দেশ্য সৈকতকে ময়লা, আবর্জনা ও প্লাস্টিকের দূষণ থেকে মুক্ত করা, যেন ভবিষ্যতে এটি আরও পরিবেশবান্ধব এবং পর্যটকদের জন্য উপযোগী থাকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স কত
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক