সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

প্রায় ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী ফিরোজা পারভীনের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো.

আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রথম মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৮ কোটি ৮৬ লাখ ১১ হাজার টাকা নিজ ভোগদখলে রেখেছেন। এ ছাড়া তার নিজ নামে ১২ ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় রেজাউল করিমের সঙ্গে তার স্ত্রী ফিরোজা পারভীনকেও আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ কোটি ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা, দুদক আইনের ২৭ (১) ধারা ও দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তার নিজ নামে বরিশালের নাজিরপুর, পিরোজপুর এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থানে স্থাবর সম্পদ রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন নামক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং প্রশিক্ষণের নামে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ, একটি গাড়ি, ব্যাংকে জমা টাকা ছাড়াও তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে খুলছে ৪ বন্ধ কারখানা

নয় দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের চারটি কারখানায় চালু হচ্ছে। 

বেতন, বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনের মুখে গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু 

বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ

কারখানাগুলো হলো দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিল লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড।

সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকেরা কারখানা চালুর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের কারখানায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে।’’ 

ইপিজেড সূত্র জানিয়েছে, বন্ধ চারটি কারখানায় সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিক রয়েছে। 

উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার জানান, শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে বন্ধ থাকা চার কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ দিন থেকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে এবং শ্রমিকদের যথাসময়ে কারখানায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উত্তরা ইপিজেডের ২৭টি কারখানায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।

ঢাকা/সিথুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ