Prothomalo:
2025-08-01@19:29:29 GMT

টিকটকে ভাইরাল গানটি শুনেছেন?

Published: 19th, February 2025 GMT

‘আমার লাগি তোমার বাড়ি গোলাপও লাগাইও’ গান শুনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন শ্রোতারা। গানটি টিকটকে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। অনেকে গানটি জুড়ে দিয়ে টিকটকে ভিডিও বানাচ্ছেন।

আলোচিত গানটি গেয়েছেন, লিখেছেন ও সুর করেছেন তরুণ সংগীতশিল্পী তাফসির। গত ২৫ জানুয়ারি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করেছেন এই শিল্পী।

গানের অংশবিশেষ ছড়িয়ে পড়েছে টিকটকে। আঁখি নামের এক টিকটকার গানটি নিয়ে টিকটকে ভিডিও বানিয়েছেন। ভিডিওটি প্রায় ৫ লাখবার দেখা হয়েছে। ১৩ হাজারের বেশি মন্তব্য এসেছে।

টিকটকে ভাইরাল হওয়ার পর ইউটিউবেও গানটির শ্রোতা বাড়তে থাকে। অনেকে টিকটক থেকে ইউটিউবে গিয়ে পুরো গানটি শুনছেন।

ইউটিউবে সংগীত ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে শীর্ষে রয়েছে ‘আমার লাগি তোমার বাড়ি গোলাপও লাগাইও’। গানের ভিডিওটি তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ইউটিউবে ১ কোটি ১০ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।

ইউটিউবে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মন্তব্য জমা পড়েছে। এর মধ্যে মৌ নামের আরেক শ্রোতা লিখেছেন, ‘টিকটক না থাকলে তো এত সুন্দর গানের সাথে পরিচয় হতো না। গানটা যে দিনে কতবার শুনি, হিসাব নেই।’

নিঝুম আক্তার নামের এক শ্রোতা লিখেছেন, ‘কেন জানি না, শিল্পীর মায়ায় পড়ে গেলাম।’ রাসেল রহমান নামের আরেক শ্রোতা লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, এখনকার সময়ের সাথে গানটার অনেক মিল আছে। গানটার মধ্যে না–বলা অনেক জীবনকাহিনি রয়েছে।’

এর আগে ‘সোনার তরী’, ‘সখীর প্রেমে পাগল হয়ে গেছি’সহ বেশ কয়েকটি গান প্রকাশ করেছেন তাফসির।

আরও পড়ুনচলো ভুলে যাই: কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে পারশার গানটি ‘ভাইরাল’০১ আগস্ট ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট কটক

এছাড়াও পড়ুন:

কমলার বইয়ে ‘পর্দার অন্তরালের গল্প’

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখেছেন সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। স্মৃতিচারণামূলক বইটির তিনি নাম দিয়েছেন ‘হান্ড্রেড অ্যান্ড সেভেন ডেজ’ বা ‘১০৭ দিন’। বইটিতে গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ‘পর্দার অন্তরালের গল্প খোলামেলাভাবে তুলে ধরেছেন’ কমলা।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার কমলা হ্যারিস নিজেই নতুন বইয়ের কথা জানান। বইটির প্রকাশক বিশ্বখ্যাত মার্কিন প্রকাশনা সংস্থা সাইমন অ্যান্ড শুস্টার। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর বইটি বাজারে আসবে বলে জানিয়েছেন বিগত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস।

বইটি হাতে নিয়ে করা একটি ভিডিও বার্তা নিজের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন কমলা হ্যারিস। সেখানে বলেন, ‘মাত্র এক বছরের কিছুটা বেশি সময় আগে আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য নিজের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলাম। ১০৭ দিন আমি পুরো দেশ ভ্রমণ করি। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত নির্বাচনী প্রচার ছিল এটি।’

কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ও একমাত্র নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যান তিনি। এরপর জনপরিসরে কার্যত তাঁকে তেমন একটা দেখা যায়নি। এর মধ্যে কমলা এই বইয়ের ঘোষণা দিলেন।

অনেকটা নাটকীয়ভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছিলেন কমলা হ্যারিস। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আবারও ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৮২ বছর বয়সী বাইডেনের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে দলের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়। অনেক ডেমোক্র্যাট নেতা এর সমালোচনা শুরু করেন। এর মধ্যে গত বছরের জুলাইয়ে বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলে প্রার্থী হন কমলা।

ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত সাবেক মার্কিন সিনেটর কমলা ভিডিও বার্তায় জানান, নির্বাচন নিয়ে বইটিতে ‘খোলামেলাভাবে’ লিখেছেন তিনি। আরও বলেছেন, বইটি পড়লে বিগত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের ‘পর্দার অন্তরালের অনেক বিষয়’ সম্পর্কে জানতে পারবেন পাঠকেরা।

কমলা হ্যারিস তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রচার নিয়ে বিশ্ব যা দেখেছে, সেটা ছিল কেবল গল্পের একটি অংশ মাত্র। এই বই আমাদের সেই নির্বাচনী লড়াই ফিরে দেখা নিয়ে নয়। আমার সেই সময়ের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার খোলামেলা বিবরণ তুলে ধরেছি এখানে। আমি বিশ্বাস করি, আমি সেই সময় যা দেখেছি, যা শিখেছি ও সামনে এগিয়ে যেতে যা প্রয়োজন সেসব অন্য সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার একটা মূল্য রয়েছে। এই বইটি লেখার সময় আমার মনে একটি সত্য বারবার ফিরে এসেছে। আর সেই সত্যটা হলো—কখনো কখনো লড়াইয়ের জন্য সময় প্রয়োজন।’

বইয়ের আগে আরও একটি ঘোষণা দেন কমলা। গত বুধবার তিনি জানান, আগামী বছর ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ২০২৮–এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের আবার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা ‘উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না’।

সম্পর্কিত নিবন্ধ