জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের একাংশ ও তাদের স্বজনেরা তিন দফা দাবিতে আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় পর্যন্ত লংমার্চ কর্মসূচি পালন করেছেন। লংমার্চ শেষে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে জানিয়ে লংমার্চকারীরা বলেন, আগামী সাত দিন তাঁরা কোনো কর্মসূচি দেবেন না।

এর আগে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে তাঁরা লংমার্চ শুরু করেন। লংমার্চ নিয়ে তাঁরা শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন হয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যান।

আলোচনায় অংশ নেওয়াদের একজন রনি মিয়া বলেন, ‘দুপুরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সাতজনের একটি প্রতিনিধিদল কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে প্রান্তিক এলাকার আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার সুবিধার্থে টোল–ফ্রি হটলাইন সেবা চালু করার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন। অন্য দুটি দাবি তাঁরা পর্যালোচনা করে দেখবেন। এ জন্য সাত দিন সময় নিয়েছেন তাঁরা। এই সময় পর্যন্ত আমরা আর কোনো কর্মসূচি দেব না। ’

লংমার্চ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, সরকার ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’—এই তিন ক্যাটাগরি করে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিচ্ছে। ‘সি’ ক‍্যাটাগরিতে ‘এ’ ও ‘বি’-এর মতো সুবিধা রাখা হয়নি। এটি খুবই বৈষম্যমূলক।

লংমার্চকারীদের দাবি, আহত সবাইকে ‘এ’ বা ‘বি’ ক্যাটাগরিতে চিকিৎসা দিতে হবে। ক‍্যাটাগরি হবে দুটি। আহত ও গুরুতর আহত। আহত সবাইকে সরকারি ভাতার আওতায় আনতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু

জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ হওয়ার ১৭ দিন পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে প্রয়োজনে রোগী ভর্তি রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে ৪ জুন জরুরি বিভাগ ও ১২ জুন সীমিত পরিসরে আউটডোরের সেবা চালু করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, শনিবার সকাল থেকে হাসপাতাল পুরোদমে সেবা চালু হয়েছে। রোগীদের সেবা দিতে চাই এবং চিকিৎসক-নার্সদেরও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে চাই।

কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, আমরা সকাল থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছি জরুরি ও বহির্বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। প্রয়োজনে ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৮ মে আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মী, সাধারণ রোগী এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে হাসপাতালটিতে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালটিতে শুধু জুলাই আহতরা অবস্থান করেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করেছে।

সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ছাড়পত্র দিলেও ঈদের ছুটি শেষে তারা আবারও দুয়েকজন করে এই হাসপাতালে ফিরতে শুরু করেছেন। জুলাই আহতরা জানিয়েছেন- তারা এ হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নরসিংদীতে তিন গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১
  • চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে কেউ নিচ্ছেন চিকিৎসা, কেউ করাচ্ছেন পরীক্ষা
  • ১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে সেবা চালু
  • ১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু