রূপগঞ্জে জনৈক অস্ত্রধারী ব্যাক্তিকে জামায়াতে ইসলামীর লোক হিসেবে কয়েকটি ফেসবুকে প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান।  

বিবৃতিতে তারা বলেন, ছবিতে উল্লেখিত ব্যাক্তি জামায়াতে ইসলামী করা তো দূরের কথা আমাদের কোনো পর্যায়ের দায়িত্বশীল ও জনশক্তির সাথে ন্যূনতম পরিচয় এবং সম্পর্ক নেই। 

বিবৃতিতে তারা বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদ ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। এই সংগঠনের কোনো নেতা কর্মী কোনো প্রকার সন্ত্রাস বা অস্ত্রবাজীর সাথে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। 

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা আমির ও সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জামায়াতে ইসলামীর আদর্শিক অগ্রযাত্রা এবং জনগণের মাঝে জামায়াতে ইসলামী দিন দিন জনপ্রিয় সংগঠনে পরিণত হওয়ায় একদল কুচক্রী মহল জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। অপপ্রচার বন্ধ না হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দায়িত্বশীলগন।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, এই অস্ত্রধারীকে অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে এবং যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাদেরকে আমরা অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ইসল ম স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু, চাঁদপুরের মাছঘাটে কর্মব্যস্ততা

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ৭০ কিলোমিটার নদীর অভয়াশ্রমে দুই মাস পর ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরা শুরু হয়েছে। সরকারি পর্যায়ের আদেশে জাটকা রক্ষা ও অন্যান্য মাছ বৃদ্ধিতে গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬০ দিন শিকার বন্ধের পর বুধবার মধ্যরাত থেকেই জেলেরা নদীতে শিকারে নেমেছে। কর্মব্যস্ততা ফিরেছে চাঁদপুরের মাছঘাটে। তবে প্রথম দিনে আশানুরূপ ইলিশ না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলেরা।

মাছ আহরণ কম হওয়ায় প্রথম দিনে আড়তে তেমন ব্যস্ততা চোখে পড়েনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ১০ মণ ইলিশও আসেনি মাছের বড় ঘাট বড় স্টেশনে। তাছাড়া বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, সন্দ্বীপসহ দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ আজ দুপুর পর্যন্ত পৌঁছেনি চাঁদপুর মাছ ঘাটে। নদী তীরে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইলিশের কার্গো ও নৌকাও আসেনি। ইলিশের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইলিশের পাইকারি বাজার চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন পর বেচাকেনা কিছুটা শুরু হওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে।

পুরান বাজারের হরিসভা অঞ্চলের জেলে বাবুল, সেলিম, মনির হোসেন বলেন, ভোরে মাছ ধরতে নেমেছি। নদীতে তেমন মাছ নাই। ইলিশ না পেলেও পোয়া, পাঙাশ, চিংড়িসহ বিভিন্ন দেশীয় মাছ পাওয়া যাচ্ছে। মাছ বিক্রির জন্য বড়স্টেশন মাছঘাটে এসেছি। তবে এই মাছে তেলের টাকাও উঠছে না।

ব্যবসায়ীরা জানান, আজকের আড়তে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজারে। এক কেজির কম ওজনের ২ হাজার ৫০০ টাকায়। সরবরাহ না বাড়লে দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তারা।

এদিকে শহরের সবচেয়ে বড় বাজার পালবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সেখানের খুচরা ব্যবসায়ীরা আড়ত থেকে ইলিশই আনেননি। ‘কারণ’ হিসাবে কিরন নামে একজন ব্যবসায়ী বললেন, ‘তিন হাজার টাকার কেজিতে ইলিশ কে কিনবো বলেন? কয়জনে কিনবো? আমরা বেঁচমো কতো?’ 
 
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার বলেন, এখন নদীতে পানি কম। স্রোত ও বৃষ্টিও কম। ফলে এ সময়ে ইলিশ কম পাওয়া যায়।

চাঁদপুরের ইলিশ ক্রেতা মোহন মাছঘাটে এসেছেন ইলিশ কিনতে। দাম শুনেই ফিরে গেলেন। তিনি সমকালকে বললেন, ‘আমাদের চাঁদপুরের মানুষের ইলিশ খাওয়া বড় কঠিন হয়ে পড়ছে। আজকেও যেমন আবার ভরা মৌসুমেও দেখবো দাম আর কমবে না!’

সম্পর্কিত নিবন্ধ