যে জেলায় একসঙ্গে বাস করেন ১৪ ভাষার মানুষ
Published: 21st, February 2025 GMT
কেউ কথা বলছেন মারমা ভাষায়, কেউ ম্রো ভাষা। পাশেই আবার কারও কণ্ঠে বাংলা বুলি। পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানের পথেঘাটে এমন দৃশ্য প্রতিদিনের। জেলাটিতে একসঙ্গে বসবাস করেন ১৪টি জাতিগোষ্ঠীর মানুষ, যাঁদের রয়েছে স্বতন্ত্র ভাষাও। দেশের আর কোনো জেলায় এত জাতিগোষ্ঠী ও ভাষাভাষীর মানুষের একত্রে বসবাস নেই। অনেকেই তাই বান্দরবান জেলাকে সম্বোধন করেন জাতি ও ভাষাবৈচিত্র্যের জীবন্ত জাদুঘর হিসেবে।
বান্দরবানে বসবাসকারীদের মধ্যে রয়েছে চাকমা, মারমা, ম্রো, ত্রিপুরা, বমসহ ১৩টি পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠী। এর বাইরে রয়েছে বাঙালির বসবাস। তবে পরিচর্যার অভাব এবং ব্যবহার কমে আসায় পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর কিছু ভাষা হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ম্রো জনগোষ্ঠীর রেংমিটচ্য গোত্রের রেংমিটচ্য ভাষা জানা মানুষ বেঁচে রয়েছেন মাত্র সাতজন।
কেবল জাতিগত ও ভাষাগত বৈচিত্র্য নয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণেও অনন্য বান্দরবান। এ জেলায় দেশের সর্বোচ্চ পাহাড় তাজিংডং; দেশে উৎপত্তি হয়ে সাগরে পতিত হওয়া সাঙ্গু-মাতামুহুরী নদী রয়েছে। এই দুই নদী অববাহিকার চিরসবুজ বনাঞ্চলের নৈসর্গিক সৌন্দর্যও মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের (কেএসআই) তথ্যে জানা গেছে, ৪ হাজার ৪৭৯ বর্গকিলোমিটারের বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলায় সরকারিভাবে স্বীকৃত ১১টি পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। এ ছাড়া কিছুসংখ্যক রাখাইন ও মণিপুরি বসবাস করছেন। বসবাস রয়েছে বাঙালি জনগোষ্ঠীরও। সেই হিসাবে জেলায় বর্তমানে ১৩টি পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠী এবং বাঙালির বসবাস রয়েছে।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী, জনসংখ্যায় মারমা ও রাখাইন (একত্রে হিসাব করা হয়েছে) সংখ্যায় বেশি। তাদের সংখ্যা ৮৪ হাজার ৫২৫। জনসংখ্যা বিচারে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ম্রো জনগোষ্ঠী। ম্রো রয়েছে ৫১ হাজার ৪৪৮ জন। এর বাইরে ত্রিপুরা ২২ হাজার ৫৭২ জন, তঞ্চঙ্গ্যা ১৪ হাজার ৮৮৯, বম ১১ হাজার ৮৫৪, চাকমা ৩ হাজার ৭১২, খুমি ৩ হাজার ২৮৭, চাক ২ হাজার ৬৬২, খেয়াং ২ হাজার ৫০২ এবং অন্যান্য জনগোষ্ঠীর বাসিন্দা রয়েছে ২৭৩ জন। অন্যান্যের মধ্যে পাংখোয়া ও লুসাইরা রয়েছেন। জেলায় মোট জনসংখ্যা ৪ লাখ ৮১ হাজার ১০৬ জন। এর মধ্যে বাঙালি ২ লাখ ৮৩ হাজার ১২৩ জন এবং পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠী ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৩ জন।
পাহাড়ি ১৩টি জনগোষ্ঠীর প্রত্যেকেরই স্বতন্ত্র ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে। তাঁদের বসবাসের জনবিন্যাসেও বৈচিত্র্য দেখা যায়। কোনো জনগোষ্ঠী পাহাড়ের চূড়ায়, কেউ আবার পাহাড়ের ঢালে এবং কেউ আবার নদীর তীরে থাকতে পছন্দ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম জেলা প্রশাসক ক্যাপ্টেন টি এইচ লুইন লিখেছেন, এ অঞ্চলের পাহাড়িরা খ্যংসা বা নদীতীরের বাসিন্দা এবং তংসা বা পাহাড়ের বাসিন্দা নামে দুই ভাগে বিভক্ত। চাকমা ও মারমারা খ্যংসা এবং অন্যরা সবাই তংসা দলের। দেশের সবচেয়ে উঁচু তাজিংডং, কেওক্রাডাং ও সিপ্পী পাহাড়ের শীর্ষদেশে বম, ম্রো, লুসাই, পাংখোয়া ও খুমিদের বসবাস দেখা যায়। চিম্বুক, মিরিঞ্জা, রংরাং, ক্রিস্টং, বড়মদকসহ মাঝারি পাহাড়গুলোতে বেশি সংখ্যায় ম্রো, খুমি, ত্রিপুরারা বসবাস করেন। অপেক্ষাকৃত কম উঁচু পাহাড়ে তঞ্চঙ্গ্যা, চাক, খেয়াংদের বসবাস গড়ে উঠেছে। চাকমা ও মারমাদের বসবাস পাহাড়ের পাদদেশে ও নদী-খালের তীরে।
ভাষার হালচাল
জেলা পরিষদের আইনে বান্দরবানে ১১টি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে। মণিপুরি ও রাখাইনের কথা আইনে নেই। জেলা পরিষদে আইনে স্বীকৃত ১১টি জনগোষ্ঠীর ভাষা উল্লেখ করা হয়েছে মূলত ৮টি। কিছু ধ্বনিগত পার্থক্য থাকলেও বম, পাংখোয়া ও লুসাইদের ভাষা প্রায় একই। চাকমা–তঞ্চঙ্গ্যা ও মারমা–রাখাইনদের ভাষা ও বর্ণমালাও অভিন্ন। রাঙামাটি কেএসআইয়ের সাবেক পরিচালক ও ভাষা গবেষক সুগত চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় ভাষা বইয়ে পাহাড়ে তিনটি ভাষা পরিবারের জনগোষ্ঠী রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যার একটি ভাষা পরিবারের। বম, পাংখোয়া ও লুসাইরা আরেকটি ভাষা পরিবারের। অন্য পরিবারটিতে রয়েছে মারমা, ম্রোসহ অন্যরা।
চাকমা-তঞ্চঙ্গ্যা ও মারমা-রাখাইন ছাড়া কোনো জনগোষ্ঠীর নিজস্ব হরফ বা বর্ণমালা ছিল না। খ্রিষ্টান মিশনারিদের সহযোগিতায় বম, পাংখোয়া ও লুসাইরা ১৯১৮ সালের দিকে নিজস্ব বর্ণমালা উদ্ভাবন করেন। বর্তমানে এ বর্ণমালায় ৮০ শতাংশ বম লিখতে ও পড়তে পারেন। তাঁরা নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালায় পারিবারিক ও সামাজিক কাজ করে থাকেন। ম্রো বর্ণমালা উদ্ভাবন হয়েছে ১৯৮৪-৮৫ সালে। ক্রামা ধর্মের প্রবর্তক মেনলে ম্রো এটি উদ্ভাবন করেছেন। এ বর্ণমালায় ৬০ শতাংশের বেশি ম্রো লিখতে ও পড়তে পারেন। এ বর্ণমালায় কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিশুদের মাতৃভাষায় পড়ানো হয়ে থাকে। বর্ণমালা উদ্ভাবনে অনেকটা জীবন্ত হয়ে ওঠা ম্রো ভাষায় সাহিত্যচর্চা করে আসছেন ইয়াংঙান ম্রো। ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ককবরক ভাষার উদ্ভাবিত বর্ণমালা নিয়ে বিতর্ক নিরসন হয়েছে কয়েক বছর আগে। তাঁরা রোমান বর্ণমালা ব্যবহারে একমত হয়েছেন। তবে ব্যবহারের পরিসর সীমিত। নিজেদের উদ্যোগে চাক ও খুমিরা বর্ণমালা উদ্ভাবন করেছেন। বিতর্ক শেষ না হওয়ায় খেয়াং জনগোষ্ঠীর বর্ণমালা এখনো উদ্ভাবন পর্যায়ে রয়েছে।
নিজস্ব পোশাকে ম্রো জনগোষ্ঠীর নারীরা। বান্দরবান সদরের সুয়ালক ইউনিয়নের ক্রামাদি পাড়া থেকে সম্প্রতি তোলা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র বসব স জনগ ষ ঠ র ব ন দরব ন পর ব র র খ ইন ব স কর
এছাড়াও পড়ুন:
৭ উপাচার্যের অংশগ্রহণে গোবিপ্রবিতে শিক্ষা সমাপনী
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) নবম ব্যাচের (নবনীতক ৯) শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষা সমাপনী-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের বিদায় বেলায় এক মঞ্চে আসীন হন দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান সাত উপাচার্য।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টায় একাডেমিক ভবন প্রাঙ্গণে আনন্দঘন পরিবেশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর ছাড়াও অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, খুলনা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল আহসান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন তারেক।
আরো পড়ুন:
নতুনবাজারের সেই রনির বুলেটের যন্ত্রণা আজো থামেনি
শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
এক মঞ্চে একইসঙ্গে এতজন উপাচার্যকে পেয়ে সমাপনী ব্যাচসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “এভাবে একসঙ্গে পুরো সেশনের শিক্ষা সমাপনী আয়োজনের আইডিয়াটি অত্যন্ত চমৎকার। এতে করে একটি ব্যাচের একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রবেশ ঘটে। যেখানে সবার একসঙ্গে পরীক্ষা হয়, রেজাল্ট প্রকাশ হয় এবং কোনো সেশন জট থাকে না। আমি এই আইডিয়াটি আমার নিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।”
খুলনা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল আহসান বলেন, “আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ এখানে এসেছি সংহতি জানানোর জন্য। আমি নবম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জীবনে সফলতা কামনা করছি।”
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিসিএস দেওয়া, বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করা বা ব্যবসা করার লক্ষ্য থাকে। তবে জীবনে কোনো না কোনো কিছু করতেই হবে। এক্ষেত্রে অবসর বলে কোনো শব্দ থাকা উচিত নয়।”
পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “আমি যখন দেশের বাইরে পড়াশোনা করতাম, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আমি কখনোই দেখিনি। আর বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে কখনো একসঙ্গে সাতজন উপাচার্যকেও বসতে দেখিনি, এটা অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর করে দেখিয়েছেন।”
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, “আমরা যদি আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে চিন্তা করি, আমাদের চাকরি খোঁজার পাশাপাশি এমন কিছু করার মানসিকতা রাখতে হবে, যা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।”
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আতিয়ার রহমান বলেন, “শিক্ষা সমাপনী মানেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করা নয়। বিশ্বে এমন অনেক নজির আছে, যেখানে অ্যালামনাই থেকে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে। তাই নিজেকে বিস্তৃত পরিসরে মেলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করার দায়িত্ব নিতে হবে।”
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “নিজেকে চেনাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা। আর শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনই বলে দেবে, তারা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কতটা জ্ঞান অর্জন করেছে।”
প্রধান অতিথিরি বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর আগত উপাচার্যদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্যই আমাদের এই প্রয়াস। একইসঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি তুলে ধরাও আমাদের লক্ষ্য। আমরা জানিয়ে দিতে চাই, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায় এবং অচিরে দাঁড়াবেই।”
তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে ইউজিসির দুইটি হিট প্রকল্প পেয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরো পাব। আমরা আশা করছি, বি ক্যাটাগরি থেকে আগামী অর্থবছরের আগেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি এ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে।”
গোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসানের সভাপতিত্বে এতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, সব অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও প্রাধ্যক্ষগণ, দপ্তর প্রধানগণ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, জুলাই শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।
শিক্ষা সমাপনী উপলক্ষে বুধবার ছাত্রদের কালার ফেস্ট ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী