পুনম পান্ডে এবার ঘটালো অন্যরকম অঘটন
Published: 22nd, February 2025 GMT
বলিউড অভিনেত্রী পুনম পান্ডে। তিনি যতটা না অভিনেত্রী তার চেয়েও বেশি ‘ভাইরাল গার্ল’। বিতর্ক তার পিছু ছাড়ে না। আবার নিজেও মাঝে মধ্যেই বিতর্ক উসকে দেন। এরপরে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে পুনম পান্ডের নাম। তবে এবার ঘটল অন্য রকম অঘটন। নায়িকার অভিযোগ তিনি নাকি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবর, এক ভক্ত সেলফি তুলতে এসে যৌন হয়রানি করেছেন পুনম পান্ডেকে। ওই ঘটনার আংশিক দৃশ্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটা লাল রঙের গাউন পরে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে আছেন এই বলিউড তারকা। তিনি যখন পাপারাজ্জিদের জন্য পোজ দিচ্ছিলেন তখন পেছন দিয়ে এক ব্যক্তি সেলফি তোলার আবদার করেন। এরপর পুনমকে জাপটে ধরেন তিনি। একটা পর্যায়ে তাকে চুমু খাওয়ারও চেষ্টা করেন। আকস্মিক ঘটনায় চমকে ওঠেন পুনম। নিজেকে দ্রুত সরিয়ে নেন।
তবে নেটিজেনরা এই ভিডিওর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। অনেকের ধারণা পুনম আলোচনায় থাকার জন্য সাজানো ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ‘নাশা’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে পুনমের অভিষেক হয়। এরপর ২০১১ সালে ভারত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা জিতলে নগ্ন হওয়ার ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন এই তারকা।
আরো পড়ুন:
উর্বশীর ৩ মিনিটের মূল্য ৪ কোটি টাকা
সেই প্রেমিককে বিয়ে করলেন নার্গিস ফাখরি?
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’