আদালতের ভেতরে ঢুকে গ্যাংস্টারকে গুলি করে হত্যা
Published: 22nd, February 2025 GMT
আইনজীবী সেজে শ্রীলঙ্কার আদালতের ভেতরে ঢুকে এক গ্যাংস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বুধবার এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অস্ত্রধারী হত্যাকাণ্ডে যে পিস্তল ব্যবহার করেছে সেটি একটি বইয়ের অংশের মাঝের অংশ কেটে সেখানে রেখে বিচারকের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এই কাজটি করেন এক নারী। তবে তাকে এখনো ধরা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ জানায়, কলম্বোতে গ্যাং সদস্যদের দুই পক্ষের মধ্যে বেশ ঝামেলা চলছে। এরমধ্যেই সেখানে ঘটল এমন হত্যাকাণ্ড। সাঞ্জেয়া কুমারা সমরারত্নে নামের গ্যাংস্টারকে ২০২৩ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে কারাগারেই ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যার তদন্ত চলছিল।
অস্ত্রধারী গুলি করে আদালত থেকে পালিয়ে যেতে পারলেও অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশ তাকে আটক করে। এছাড়া যে নারী কৌশলে পিস্তলটি নিয়ে গিয়েছিলেন তাকেও শনাক্ত করা হজয়েছে। এখন তাকে ধরতে অভিযান চালানো হয়েছে। পুলিশ ঘোষণা দিয়েছে, যদি কেউ এ নারীর সন্ধান দিতে পারে, তাহলে তাকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে।
এদিকে এ ঘটনার পর আদালতের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরপর আদালতের নিরাপত্তা বাড়ানো নিয়ে কাজ শুরু হয়। যারমধ্যে রয়েছে সশস্ত্র রক্ষীদের আদালতের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া।
শ্রীলঙ্কায় আদালতের ভেতর সশস্ত্র বাহিনীর কোনো সদস্য অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করতে পারেন না। গ্যাংস্টারকে হত্যার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যখন কোনো বিশেষ আসামিকে আদালতে আনা হবে তখন বিচারকের কক্ষে অস্ত্রধারী রক্ষীরা প্রবেশ করবেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’