সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ভোটার হালনাগাদে তালিকা থেকে চট্টগ্রামের ৬০ হাজার ৪৮৫ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জানা যায় এসব ভোটার মৃত। এরমধ্যে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ২ হাজার ২৪ জন এবং ১৫ উপজেলা থেকে ৫৮ হাজার ৪৬১ জন মৃত ভোটার বাদ পড়েছেন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় ৪৯৯ জন, চান্দগাঁওয়ে ৬০৬ জন, কোতোয়ালী এলাকায় ১৯৮ জন, ডবলমুরিং এলাকায় ১৩১ জন, পাহাড়তলী এলাকায় ১০১ জন ও বন্দর এলাকায় ৪৮৯ জন মৃত ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

১৫ উপজেলার মধ্যে বোয়ালখালীতে ৮ হাজার ২২৭ জন, বাঁশখালীতে ৬ হাজার ৮০৬ জন, আনোয়ারায় ৫ হাজার ১০৩ জন, সীতাকুণ্ডে ৪ হাজার ৪৮৮ জন, ফটিকছড়িতে ৩ হাজার ৮৫৭ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৩ হাজার ৬৪২ জন, পটিয়ায় ৩ হাজার ৬৩৪ জন, হাটহাজারীতে ৩ হাজার ৬২১ জন, লোহাগাড়ায় ৩ হাজার ৫৬২ জন, মিরসরাইয়ে ৩ হাজার ৫৫৭ জন, সাতকানিয়ায় ৩ হাজার ১৭ জন, সন্দ্বীপে ২ হাজার ৯৪৯ জন, রাউজানে ২ হাজার ৪০৩ জন, চন্দনাইশে ২ হাজার ১৭৩ জন এবং কর্ণফুলীতে ১ হাজার ৪২২ জন মৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়।

নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ শেষে এলাকাভিত্তিক নিবন্ধন কেন্দ্রে ছবিসহ নিবন্ধন করা হচ্ছে। ইসির এ নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। এই সময়ে মধ্যে যারা বাদ পড়েছেন তারা অনলাইনে তথ্য পূরণ করে নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন। এর আগে, গত ৫ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশন।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ