Prothomalo:
2025-11-03@12:20:42 GMT

পারমাণবিক চুল্লির নতুন রেকর্ড

Published: 23rd, February 2025 GMT

ফরাসি বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম সূর্য হিসেবে এক চুল্লির তাপামাত্রা তৈরির বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করেছেন। ফ্রান্সের ওয়েস্ট টোকামাক নামের একটি প্লাজমা তৈরির চুল্লিতে ১৩৩৭ সেকেন্ড ধরে প্লাজমা ধরে রেখে রেকর্ড স্থাপন করেছে, যা চীনের আরেকটি টোকামাকের পূর্বের রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেছে। স্থিতিশীল পারমাণবিক ফিউশন তৈরির জন্য এই রেকর্ড নতুন এক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

কৃত্রিম সূর্য নামে পরিচিত টোকামাক যন্ত্র নক্ষত্রের মধ্যে ঘটে যাওয়া প্রক্রিয়ার প্রতিলিপি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবীতে স্থিতিশীল পারমাণবিক ফিউশন ব্যবহার করে একটি শক্তিশালী ও টেকসই শক্তির উৎস হিসেবে এসব চুল্লি ব্যবহারের সুযোগ আছে।

ফিউশন চুল্লিটি ফ্রান্সের বিকল্প শক্তি ও পারমাণবিক শক্তি কমিশন পরিচালনা করছে। এই চুল্লির পুরো নামে টাংস্টেন এনভায়রনমেন্ট ইন স্টেডি-স্টেট টোকামাক বা ওয়েস্ট। এই চুল্লিতে একটি ডোনাটের মতো কাঠামো থাকে, যার মধ্যে প্লাজমা শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা আবদ্ধ থাকে। সেখানে ফিউশন প্রক্রিয়া দেখা যায়। এমন চুল্লির মাধ্যমে বৃহৎ আকারের শক্তি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করতে কয়েক দশক সময় লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নক্ষত্রের কেন্দ্রে যে চরম তাপমাত্রা ও চাপ দেখা যায়, তার প্রতিলিপি পৃথিবীতে তৈরি করা বেশ চ্যালেঞ্জের। পারমাণবিক ফিউশনের জন্য প্লাজমার দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। সেই অনুরূপ আবহ তৈরির জন্য টোকামাক ব্যবহার করছেন বিজ্ঞানীরা।

গত মাসে চীনের ইস্ট নামের উন্নত সুপারকন্ডাক্টিং টোকামাক মেশিন ১০৬৬ সেকেন্ডের জন্য স্থিতিশীল প্লাজমা অবস্থা অর্জন করে রেকর্ড করেছিল। ২০২৩ সালে ৪০৩ সেকেন্ডের আরেকটি রেকর্ড ছিল।

সূত্র: নিউজ১৮ ডটকম

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র র জন য র কর ড ফ উশন

এছাড়াও পড়ুন:

আরপিওর বিধানের বৈধতার রায় রিভিউর জন্য হলফনামার অনুমতি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নের সঙ্গে যুক্ত করাসংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানের বৈধতা দিয়ে ১৪ বছর আগে রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদনের জন্য হলফনামার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন দুজন আইনজীবীসহ সাত ব্যক্তি। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আজ সোমবার হলফনামা করার অনুমতি দিয়েছেন।

আবেদনকারী সাত ব্যক্তি হলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন, মেজর (অব.) এস এম হারুনুর রশীদ, কাজী জাহেদুল ইসলাম, আইনজীবী এস এম আজমল হোসেন, মেজর (অব.) নিয়াজ আহমেদ জাবের, মেজর (অব.) মো. জিয়াউল আহসান ও সালাহ উদ্দিন।

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ওমর ফারুক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এ মামলায় আবেদনকারীরা পক্ষ ছিলেন না। যে কারণে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন দায়েরের জন্য হলফনামা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন তাঁরা। চেম্বার আদালত হলফনামা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে শিগগিরই রিভিউ আবেদন করা হবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২(৩ক)(ক) বিধান অনুযায়ী নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী ইতিপূর্বে জাতীয় সংসদের কোনো নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকলে ওই তালিকা প্রদানের প্রয়োজন হবে না।

আইনজীবীর তথ্য অনুসারে, ঢাকার একটি আসন থেকে ২০০৭ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাহবুব আহমেদ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি মনোনয়নপত্র নেন। পরে নির্বাচনের ওই তারিখ পিছিয়ে যায়। অন্যদিকে ২০০৮ সালে আরপিও দফা ১২(৩ক)–তে সংশোধনী আনা হয়। এই বিধান সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদ ও আরপিওর ১২(১) ধারার পরিপন্থী উল্লেখ করে মাহবুব আহমেদ চৌধুরী ২০১০ সালে হাইকোর্ট রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ (খারিজ) করে রায় দেন। দফা (৩ক) সংবিধান পরিপন্থী নয় বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন রিট আবেদনকারী। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি লিভ টু আপিল খারিজ করে রায় দেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নের সঙ্গে যুক্ত করাসংক্রান্ত আরপিওর ১২(৩ক)–তে বেআইনি কিছু পাননি বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

ওই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে দুই আইনজীবীসহ সাত ব্যক্তি আবেদন করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী ওমর ফারুক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে ভোটারের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। ভোটার কোন প্রার্থীকে ভোট দেবেন বা দেবেন না, এটি একান্তই তাঁর চিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার। সিক্রেট ব্যালটে হামলা হলে ভোট বাতিলও হয়। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে প্রার্থীর যোগ্যতা নির্ধারণ করা আছে। রাজনৈতিক দল হলে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন লাগবে না, অথচ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে গেলে লাগবে অর্থাৎ একই মনোনয়নপত্র ঘিরে দ্বৈত বিধান। ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন থাকার ওই বিধানের মাধ্যমে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা সংবিধান সমর্থন করে না এবং ভোটারের গোপনীয়তারও লঙ্ঘন—এসব যুক্তি তুলে ধরে আবেদনটি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ