বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত সোমবারের সমাবেশকে সফল করতে সবার সহযোগিতা চেয়ে গোপালগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম।

এ সময় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএইচ খান মঞ্জু, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান পিনু, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম.

তৌহিদুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য কেএম বাবর, অ্যাডভোকেট তৌফিকুল ইসলাম, এসএম জিয়াউল কবির বিপ্লব, পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ হাসিবুর রহমান হাসিব, জেলা যুবদলের সভাপতি শেখ রিয়াজ উদ্দিন লিপ্টন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন হিরাসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবকিছুর তদন্ত হবে: দুদু 

টিসিবির কার্ড নিয়ে বিএনপির ২ গ্রুপে সংঘর্ষ, সড়ক অবরোধ

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, “সোমবার জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আমরা প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রাম ও প্রতিটি আনাচে কানাচে সমাবেশকে সফল করার জন্য ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আজকে সামনের সারিতে আপনারা যাদের বসা দেখছেন তাদের গত ২০ বছর এভাবে দেখেননি। হয়তো এক জায়গায় আমাদের বসার সুযোগ হয়নি। এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকার আমাদের এভাবে তো নয়, আমাদের বাড়িতেও বসার সুযোগ দেয়নি। এমন পরিস্থিতি শুধু গোপালগঞ্জে না সারা বাংলাদেশের চিত্র এমনই ছিল।”

তিনি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “অনেক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বে আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন। আমাদের সংবাদ প্রচার করেছেন। আগামীতেও আপনারা আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করবেন।”

গোপালগঞ্জ/বাদল/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ গ প লগঞ জ ব এনপ র স আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ

যবিপ্রবিতে বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

মিছিলে তারা ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট, সাবেক সহ-সমন্বয়ক ইয়াসকিরুল কবীর সৌরভ, গোলাম রব্বানী, ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন, রাফিজ, শিবির নেতা রায়হান নেজামী প্রমুখ।

এসএম সুইট বলেন, “যারা গণহত্যার বৈধতা দিয়েছিল তাদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসন থেকে একটা তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় অনেক রাঘববোয়ালদের নাম আসেনি। যারা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে, তাদেরও নাম আসেনি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জুলাইবিরোধী সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে আমরা কখনোই না। কিন্তু অভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি শিক্ষার্থীদের ম্যানিপুলেট করে জুলাইবিরোধী কাজগুলো করানোর চেষ্টা করছে। আশা করছি, এটি ধোপে টিকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়-দায়িত্ব যেহেতু শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের প্রতি। সে জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কৃত সিদ্ধান্তকে নাটক ও প্রহসন দাবি করে ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন বলেন, “প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কার ও হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাতের নাম বাদ দিয়েই তারা বাদবাকি চুনোপুঁটিদের বহিষ্কার করার যে নাটক, যে প্রহসন, সেই প্রহসনকে আমরা সে ঘৃণ্যাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ