বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ সমাবর্তন। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। এবার সমাবর্তনে ৭ হাজার ৭২৭ গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি পেয়েছেন এবং অংশ নেন ২ হাজার ৪৭৮ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট।
অনুষ্ঠানে শারমিন মুরশিদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা সামগ্রিকভাবেই একটা নাজুক অবস্থা অতিক্রম করছে। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নির্বাচিত ছাত্র সংসদের মাধ্যমে ছাত্রদের নেতৃত্ব বিকাশের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। অনিয়মিত হলেও গণবিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের নেতৃত্ব বিকাশের সেই সুযোগ দিয়েছে, যা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য করেছে। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ডা.

জাফরুল্লাহ চৌধুরী সম্পর্কে তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন দূরদর্শী এবং স্বপ্নদ্রষ্টা। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্তরা দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের সংস্কারে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন বলেও আশা করেন তিনি। 

সমাবর্তন বক্তা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাসেম চৌধুরী বলেন, ভালো মানুষ তৈরি করার জন্যই আমাদের এই গণ বিশ্ববিদ্যালয়। 
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান বলেন, শুধু ডিগ্রি দেওয়া একটি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়। দক্ষ ও মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন একজন মানুষ তৈরি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হোসেন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, শিক্ষাজীবনে অর্জিত জ্ঞান বাস্তব কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে। 
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়ালিউল ইসলাম এবং ধন্যবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম। গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরীন পারভীন হকসহ ট্রাস্টি বোর্ডের অন্য সদস্যরা, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকদের আবাসনসহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন

শ্রমিকদের আবাসনের ব্যবস্থা করাসহ ৯ দাবিতে মানববন্ধন করেছে হস্তশিল্প, কারচুপি ও হ্যান্ড এমব্রয়ডারি শ্রমিক ফেডারেশন।

বৃহস্পতিবার (১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. ইব্রাহীম হাসান মিঠু।

তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর লেজুড়বৃত্তিক শ্রমিক সংগঠন, অব্যবহৃত শ্রম আইন এবং অনানুষ্ঠানিক খাতে আটকে থাকা কোটি শ্রমজীবী মানুষের করুণ বাস্তবতায় মহান মে দিবস আজ প্রশ্নবিদ্ধ।

হস্তশিল্প, কারচুপি ও হ্যান্ড এমব্রয়ডারি শ্রমিক ফেডারেশনের ৯ দা‌বি হলো 
১) শ্রমিকদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। বয়স্ক শ্রমিকদের ভাতা দিতে হবে।

২) সরকারি উদ্যোগে বিদেশে শ্রমিক পাঠাতে হবে। কর্মস্থলে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইনকোয়েরি সেল গঠন করতে হবে।

৩) যখন তখন শ্রমিককে বহিষ্কার করা যাবে না। বর্তমান বাজার অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

৪) ভারতীয়সহ বিদেশি কমপ্লিট পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করতে হবে।

৫) সময়মতো মজুরি ও ওভার টাইমের টাকা দিতে হবে। 

৬) হস্তশিল্প, কারচুপি ও হ্যান্ড এমব্রয়ডারি শিল্পকে বাঁচাতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭) শ্রম আইন বাস্তবায়নে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। 

৮) শ্রম আদালতের সংস্কার ও ডিজিটালাইজেশন করতে হবে। দ্রুত বিচার নিশ্চিতে সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে।

৯) রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ও স্বতন্ত্র শ্রমিক সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য বিশেষ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে, যেখানে তাদের স্বাস্থ্য, আবাসন ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ বাস্তবায়নে নিরপেক্ষ মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।

ঢাকা/এএএম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ