বালু-পাথর রক্ষায় অসহায় সিলেটের প্রশাসন
Published: 25th, February 2025 GMT
মামলা করেও জাফলং, ভোলাগঞ্জ ও শারফিন টিলা রক্ষা করতে পারছে না সিলেটের প্রশাসন। গত বছরের ৫ থেকে ৭ আগস্ট দুটি কোয়ারি থেকে লুট হয়েছে অন্তত ৫০ কোটি টাকার পাথর। এরই মধ্যে ভোলাগঞ্জের বাঙ্কার ও শারফিন টিলা ধ্বংস করা হয়েছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন মহাল পরিদর্শন করে দেখা গেছে, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের সামনে বালু-পাথর তোলা হচ্ছে। জাফলং কোয়ারির ডাউকি নদীর জিরো পয়েন্টের পাশ থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণ পর্যন্ত শত শত নৌকা দিয়ে শ্রমিকরা বালু তুলছেন। শারফিন টিলায় অর্ধশতাধিক মেশিন লাগিয়ে মাটি খুঁড়ে তোলা হচ্ছে পাথর। জৈন্তাপুরের সারি নদীতে দেখা গেছে একই দৃশ্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ জানুয়ারি খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো পাথর ও বালুমহাল বন্ধের আদেশ বাতিল করে। এর পর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী মনে করেন, সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনের দুর্বলতা ও ইজারাবিহীন থাকার কারণে তাদের ঠেকানো যাচ্ছে না। সঠিক ব্যবস্থাপনায় ইজারা দিলে সরকার রাজস্ব পাবে এবং যত্রতত্র উত্তোলন বন্ধ হবে।
ভোলাগঞ্জ ও বাঙ্কার
কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ ছাড়াও উৎমা, শারফিন টিলা, ধলাই নদী ও সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রের অবস্থান। কোয়ারির পাশে রেলওয়ের মালিকানাধীন বদ্বীপ আকারের রোপওয়ের (বাঙ্কার) সংরক্ষিত এলাকা। সরকার পরিবর্তনের পর কয়েক দিনে সাদা পাথর লুট করা হয় ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকার। সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, বাঙ্কার থেকে রাতে চুরি করা পাথর থেকে নৌকাপ্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা করে নিচ্ছে বিজিবি। ভোলাগঞ্জ বাঙ্কার থেকে পাথর তোলায় মদদ দিচ্ছেন বিএনপিসহ স্থানীয় কয়েকজন সমন্বয়ক। পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৭ জানুয়ারি বাঙ্কারে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল ইসলামসহ চারজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরএনবি ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম জানান, তারা দিনে দায়িত্ব পালন করেন। রাতে থাকেন না।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত বলেন, নিয়মিত টাস্কফোর্সের অভিযানেও কাজ হচ্ছে না।
শারফিন টিলা
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের শারফিন টিলা থেকে সরকার পতনের পর প্রায় ৫০ কোটি টাকার পাথর লুট করা হয়েছে। ১৩৭ দশমিক ৫০ একরের শারফিন টিলাকে কয়েক বছর আগে পরিবেশ অধিদপ্তর ‘মরা কঙ্কাল’ বলেছিল। গত ২৫ জানুয়ারি পরিবেশ আদালতে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় কোম্পানীগঞ্জের বিএনপিকর্মী ও কাঁঠালবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলীকে। এ মামলায় সাক্ষী করা হয় তাঁর বাবা ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াদ আলীকে। এর পর গত ২৭ জানুয়ারি পরিবেশ আদালতে ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি ১৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।
গত সাড়ে পাঁচ মাসে সেখানে পাঁচটি অভিযান ও ৯টি মামলা করা হয়েছে। শারফিন ওয়াক্ফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লি আনোয়ার হোসেন আনাই সমকালকে বলেন, ‘বাধা দিয়েও টিলাটি রক্ষা করা যায়নি। লিস্টার মেশিন দিয়ে পাথর তোলা হচ্ছে।’
থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলা হয়েছে। গত বুধবার অভিযান চালানো হয়েছে। তবু কেউ থামছে না।’
জাফলং পাথর কোয়ারি
গোয়াইনঘাটের জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে সরকার পতনের পর ১২০ কোটি টাকার পাথর লুট করা হয় বলে সে সময় উপজেলা প্রশাসন জানায়। সম্প্রতি প্রকাশ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে শুরু হয়েছে বালু তোলা।
সরেজমিন দেখা গেছে, জাফলং পাথর কোয়ারি, জিরো পয়েন্ট, পিয়াইন ও ডাউকি নদী এবং এর আশপাশ এলাকা থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক নির্বিচারে বালু ও পাথর উত্তোলন করছেন। রাতে জাফলংয়ের নয়াবস্তি, কান্দুবস্তির জুমপাড় ও মন্দিরের জুম এলাকায় গর্ত করে পাথর উত্তোলন করতে দেখা গেছে। সেখানে চালানো হচ্ছে এক্সক্যাভেটর। গত পাঁচ মাসে সেখানে ১৫-১৬টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সর্বশেষ গত শনিবার আরেকটি অভিযান চালানো হয়। থানায় মামলা হয়েছে ৮-৯টি। সম্প্রতি দখলদারিত্ব নিয়ে একাধিক মারামারি হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীর মধ্যে।
জাফলং নিয়ন্ত্রণ করছেন কয়েক বছর আগে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও অপসারিত গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন। রয়েছেন পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, কোষাধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক, বিএনপি নেতা আবদুস সাত্তার, গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান হেলোয়ার, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউসুফ আহমেদসহ কয়েকজন। শারফিন টিলা ধ্বংসের নেপথ্যে রয়েছেন মাজারের সাবেক খাদেমের ছেলে মনির মিয়া, তাঁর ভাই রফিক মিয়া, ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি ফয়জুর রহমান, বিএনপিকর্মী সেবুল আহমেদ, ইব্রাহিম, ইসমাইলসহ স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। জাফলংয়ে ক্যাশিয়ারের ভূমিকা পালন করছেন পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স।
সারি নদী ও শ্রীপুর
জৈন্তাপুরের পাথর ও বালুমহাল শ্রীপুর ও সারি নদী। নদীতে কাজ করা শ্রমিকের সংখ্যা চার হাজারের বেশি। শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রতিদিন চাঁদা ওঠে প্রায় ৮ লাখ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, সপ্তাহে বিভিন্ন দপ্তরে টাকা পাঠান হয়। এগুলোসহ কানাইঘাটের লোভাছড়া, গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি কোয়ারি ও মহাল থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বালু-পাথর তোলা হচ্ছে। গত পাঁচ মাসে সাতটি অভিযান ও তিনটি মামলা হয়েছে। জব্দ করা পাথর গত ২৮ ডিসেম্বর নিলামের জন্য দরপত্র ডেকেছিল খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো। গত ১৬ জানুয়ারি লুট করে নেওয়া হয়েছে সেই পাথরও।
সারি নদী নিয়ন্ত্রণ করছেন বৃহত্তর সারি বারকি শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি আমির আলী, সাধারণ সম্পাদক নজির আহমদ, চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান সেলিম, নিজপাট ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহিম উদ্দিন ও তাঁর ভাই তাজউদ্দিনসহ কয়েকজন।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ সাহেদা বলেন, পাথর ও বালুখেকোরা প্রকাশ্যে আদালত ও সরকারকে অমান্য করছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির সাবেক নেতা শাহ আলম স্বপন সমকালকে বলেন, বালু-পাথরের কোনো ব্যবসা নেই। শারমিন টিলার মনির মিয়া টিলা ধ্বংসের পেছনে জড়িত নন।
বৃহত্তর সারি বারকি শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি আমির আলী শ্রমিক চাঁদা ১০০ টাকা তোলেন বলে স্বীকার করেন। জাফলংয়ে বিএনপি নেতা আমজাদ বক্সের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, উপজেলা বা জেলা প্রশাসনের টাস্কফোর্স ও মোবাইল কোর্টের অভিযানে থানা-পুলিশ সহায়তা করে। খবর পেলে পুলিশও অভিযান চালায়।
বিজিবি সিলেট সদরদপ্তরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সীমান্তের ১৫০ গজের ভেতর থেকে বালু-পাথর তুললে আমরা বাধা দিই। এর বাইরে অবৈধভাবে কেউ কাজ করলে সেটা উপজেলা প্রশাসন দেখে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ বলেন, বারবার অভিযান হচ্ছে। মামলাও করা হচ্ছে। পরিস্থিতিরও উন্নতি হচ্ছে।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব শ ল ট কর ব এনপ সরক র ইসল ম উপজ ল করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় এক মাসে ১৩ লাশ উদ্ধার, বাড়ছে উদ্বেগ
বাড়িতে ঝগড়া চলছিল বড় ভাই ও ভাবির। ছোট ভাই এসে ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ভাই ছোট ভাইয়ের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করেন। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ধারালো বঁটি দিয়ে ছোট ভাইকে হত্যা করেন। পরে বড় ভাই শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি এখন কারাগারে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০ মে, খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের উলা গ্রামে।
এর আগে ২৭ মে কয়রার ইসলামপুর গ্রামের কয়রা নদীর চর থেকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় আবদুল মজিদ (৬২) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ছাড়া ৮ জুন কয়রার কাছারিবাড়ি বাজার-সংলগ্ন পুকুর থেকে নমিতা (৪০) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
১০ জুন কয়রা সদরের গোবরা সড়কে এক ভ্যানচালকের সঙ্গে এক মোটরসাইকেলচালকের কথা-কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন অন্তত ১৫ জন। ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলাও হয়েছে। এ ছাড়া কথা-কাটাকাটির জেরে কয়রার পল্লীমঙ্গল গ্রামে গত তিন দিনে কয়েক দফা মারামারি, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
অসন্তোষ-দ্বন্দ্বের জেরে কয়রা উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় হত্যা–সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। ১০ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত এক মাসে খুলনার ১০টি থানা এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাসহ ১৩টি লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে।
কয়রা কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক বিদেশ রঞ্জন মৃধা বলেন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান কমে যাওয়ায় মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। মূল্যবোধ ও ভারসাম্য নষ্ট হয়ে মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব ও ভালোবাসা কমে যাচ্ছে। এতে খুনখারাবি বাড়ছে। একসময় সমাজের একজনের ভালোতে সবাই আনন্দ পেতেন। নেতিবাচক দিকগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতেন। এখন সেই ব্যবস্থা উঠেই গেছে বলা যায়। পাশাপাশি রাজনৈতিক আধিপত্যের লড়াইয়ে প্রভাববলয় সৃষ্টি করতেও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।
৩ জুন খুলনা শহরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে সবুজ হাওলাদার (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। ৪ জুন খুলনা সদর থানার মতিয়াখালী খালের মধ্যে আটকে ছিল এক নারীর মরদেহ। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ওই নারীর পরিচয় না পেয়ে বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মুফিদুলে দাফন করা হয়। গত ৯ জুন বিকেলে রূপসা উপজেলার আঠারোবেকী নদীতে পাওয়া যায় অজ্ঞাতনামা যুবকের মরদেহ। মরদেহের শ্বাসনালিতে গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। রূপসা নৌ পুলিশের ওসি আবুল খায়ের বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড।
এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রহস্য উদ্ঘাটন ও অপরাধী শনাক্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণেই অপরাধ বেড়ে চলেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার ব্যুরোর কয়রা উপজেলা শাখার সভাপতি তরিকুল ইসলাম। তাঁর ভাষ্য, প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে দোষীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারলে অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে। আইনি প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে অপরাধ বেড়ে চলেছে।
কয়রা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুলী বিশ্বাস বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়ছে, এটা ঠিক। তবে প্রতিটি ঘটনায় পুলিশও তাৎক্ষণিকভাবে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যে বিষয়গুলো পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সামাজিক ভ্রাতৃত্ববোধের মধ্য দিয়ে সমাধান করা যায়, সেখানে খুনাখুনি, অস্থিরতা, মামলা-হামলার মধ্য দিয়ে একধরনের বিভীষিকাময় পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে; যা সবার জন্যই অকল্যাণকর ও ভয়ানক।