সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন
Published: 25th, February 2025 GMT
উৎকর্ষের পথে অভিযাত্রায় আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা নিয়ে রাজশাহীতে সোমবার সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ১৮১তম শাখা ‘কেশরহাট শাখার’ উদ্বোধন করেছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংকটি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাকসুদা বেগম এবং বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজশাহীর সম্মানিত নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা।
ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা ও গ্রাহকের আস্থায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সর্বস্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। শরীআহ বোর্ড পুনঃগঠন করা হয়েছে। ফলে জনগণ সম্পূর্ণ শরীআহ ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “শরীআহভিত্তিক ব্যাংকিং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য কল্যাণময়।”
ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মিসেস মাকসুদা বেগম বলেন, “সংকট কাটিয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ইতিবাচক ধারায় ফিরে এসেছে। গণমানুষের ব্যাংক হিসেবে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সেবা নির্বিঘ্নে পৌঁছে দিচ্ছে।”
বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজশাহীর নির্বাহী পরিচালক মিসেস হুসনে আরা শিখা বলেন, “এসআইবিএল একটি ভালো ব্যাংক হিসেবে সুপরিচিত ছিল। দেশের সার্বিক বিপর্যয়ে বিপদের মুখে পড়লেও বর্তমানে স-মহিমায় ফিরে আসার চেষ্টা করছে।সব গ্রাহক যদি একসাথে টাকা তুলতে আসে তাহলে পৃথিবীর কোন ব্যাংকই টাকা দিতে পারবে না।”
বর্তমানে এসআইবিএল এ এসে কোনো গ্রাহক খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন না। নতুন শাখা মানেই ব্যাংক নিজস্ব গতিতে ফিরছে গ্রাহকের ভালোবাসা ও আস্থার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুস সায়াদাত বলেন, “সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম স্বাভাবিক ধারায় ফিরে এসেছে, বর্তমানে আমাদের সব ধরনের বিল গ্রহণ, বিইএফটিএন, আরটিজিএস, ইন্টারনেট ব্যাংকিং সহ সব ধরনের সেবা চালু রয়েছে। গ্রাহকের আস্থা ও সহযোগিতার ধারাবাহিকতায় এই এলাকায় একটি শাখা খোলা হলো।”
তিনি বলেন, এই এলাকার ব্যবসায়ী ও সর্বস্তরের জনগণ এই শাখা থেকে ইসলামী ব্যাংকিং সেবা নেবেন।
ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স শ য ল ইসল ম গ র হক ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রূপগঞ্জে লিফলেট বিতরণ
আওয়ামীলীগ দেশের মানুষের অধিকার হনন করেছে। তাই, দেশে এক গণবিপ্লবের সৃষ্টি হয়েছে। ২৪এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ এ দেশ থেকে বিতারিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও রূপগঞ্জ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ দুলাল হোসেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভোলাব ইউনিয়নের আতলাপুর বাজার এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণকালে মোহাম্মদ দুলাল হোসেন এসব কথা বলেন।
লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ, বিএনপি-যুবদলসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মোহাম্মদ দুলাল হোসেন আরও বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে এ দেশের জনগণ একদলীয় শাসন ও ফ্যাসিবাদের শিকার হয়ে জিম্মি হয়ে ছিল। মানুষের বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের গণজাগরণের মধ্য দিয়ে জনগণ আবারও তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে। এখন সময় এসেছে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার, একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার।”
তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমানের ৩১ দফা দেশের পুনর্গঠনের পথনির্দেশনা। এই দফাগুলোতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।”
এসময় স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদল নেতৃবৃন্দও লিফলেট বিতরণে অংশগ্রহণ করেন। তারা সাধারণ মানুষকে বিএনপির পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করেন যে, দেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে তারা রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত এবং জনগণের পাশে থাকবে।
স্থানীয়রা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার। একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা এবং নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশা করছেন তারা। এ ধরনের লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে জনগণ আরও বেশি সচেতন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
প্রসঙ্গত, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলতি বছরের শুরুতে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন, যেখানে রাষ্ট্র সংস্কার ও জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য তুলে ধরা হয়।