উৎকর্ষের পথে অভিযাত্রায় আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা নিয়ে রাজশাহীতে সোমবার সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ১৮১তম শাখা ‘কেশরহাট শাখার’ উদ্বোধন করেছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংকটি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাকসুদা বেগম এবং বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজশাহীর সম্মানিত নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা।

ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.

নাজমুস সায়াদাত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা ও গ্রাহকের আস্থায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সর্বস্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। শরীআহ বোর্ড পুনঃগঠন করা হয়েছে। ফলে জনগণ সম্পূর্ণ শরীআহ ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “শরীআহভিত্তিক ব্যাংকিং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য কল্যাণময়।”

ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মিসেস মাকসুদা বেগম বলেন, “সংকট কাটিয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ইতিবাচক ধারায় ফিরে এসেছে। গণমানুষের ব্যাংক হিসেবে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সেবা নির্বিঘ্নে পৌঁছে দিচ্ছে।” 

বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজশাহীর নির্বাহী পরিচালক মিসেস হুসনে আরা শিখা বলেন, “এসআইবিএল একটি ভালো ব্যাংক হিসেবে সুপরিচিত ছিল। দেশের সার্বিক বিপর্যয়ে বিপদের মুখে পড়লেও বর্তমানে স-মহিমায় ফিরে আসার চেষ্টা করছে।সব গ্রাহক যদি একসাথে টাকা তুলতে আসে তাহলে পৃথিবীর কোন ব্যাংকই টাকা দিতে পারবে না।”

বর্তমানে এসআইবিএল এ এসে কোনো গ্রাহক খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন না। নতুন শাখা মানেই ব্যাংক নিজস্ব গতিতে ফিরছে গ্রাহকের ভালোবাসা ও আস্থার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুস সায়াদাত বলেন, “সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম স্বাভাবিক ধারায় ফিরে এসেছে, বর্তমানে আমাদের সব ধরনের বিল গ্রহণ, বিইএফটিএন, আরটিজিএস, ইন্টারনেট ব্যাংকিং সহ সব ধরনের সেবা চালু রয়েছে। গ্রাহকের আস্থা ও সহযোগিতার ধারাবাহিকতায় এই এলাকায় একটি শাখা খোলা হলো।”

তিনি বলেন, এই এলাকার ব্যবসায়ী ও সর্বস্তরের জনগণ এই শাখা থেকে ইসলামী ব্যাংকিং সেবা নেবেন।

ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স শ য ল ইসল ম গ র হক ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

স্বচ্ছতার জন্য ডিএনসিসির প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে:

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।  

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ডিএনসিসির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত পশ্চিম শেওড়াপাড়া, পশ্চিম কাজীপাড়া ও সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৫ কিলোমিটার নর্দমা ও দেড় কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণকাজের উদ্বোধন ও গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, ডিএনসিসির সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রকল্পটি কবে শুরু হবে, কবে শেষ হবে, কতা টাকা বরাদ্দ আছে—এসব তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এছাড়া, রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ হলে নির্মাণ সামগ্রী কী, সেটা জনগণের জানা দরকার। যখন জনগণ জানবে, তখন তারা জবাবদিহি করতে পারবে।

তিনি বলেন, “আমি গত সপ্তাহে কাউকে না জানিয়ে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে চলমান কাজ পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম, রাস্তাকে ধরে রাখার জন্য যে ওয়াল (বিশেষ দেয়াল) দেওয়া হয়েছে, সেটার পিলার বানানোর কথা ছিল স্টোন দিয়ে; কিন্তু বানিয়ে রেখেছে ব্রিক দিয়ে। এটা বড় দুর্নীতি। স্থানীয় মানুষ যদি না জানে, কী নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হবে, তাহলে দুর্নীতি করাটা সহজ। তথ্যের যত বেশি আদান-প্রদান হবে, তথ্য যত বেশি পাবলিক করা হবে, জনগণ তত বেশি জবাবদিহি করতে পারবে। আমি ঠিকাদারকে জানিয়ে দিয়েছি, সঠিক নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করলে বিল দেব না। তারা বলেছে, এটা ঠিক করে দেবে।” 

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, যার যার এলাকার কাজ তারা বুঝে নেবেন। বুঝে নেওয়ার জন্য যত তথ্য ও সহযোগিতা লাগবে, সেটা আমরা দেব। ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে প্রকল্পের সব তথ্য ও ঠিকাদারের ফোন নম্বরসহ দেওয়া থাকবে। স্থানীয় জনগণ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ বুঝে নেবেন। আমরা চাই, সকলের অংশগ্রহণে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হবে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় সোসাইটি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতা পাচ্ছি। সবার অংশগ্রহণ বাড়াতে আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিয়ে গণশুনানি করছি। প্রতি মাসে ফেসবুক লাইভে দেশে-বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সাথে যুক্ত হচ্ছি। ডিএনসিসির সবার ঢাকা অ্যাপ আছে, সেটির পাসওয়ার্ড পর্যন্ত আমাদের দিচ্ছে না। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা ৪ কোটি টাকা খরচ করে এই অ্যাপ বানিয়েছে। পাসওয়ার্ড না দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।”

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় হকারদের জন্য হাটা যায় না। মানুষের অবাধ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। ঢাকা শহরে মানুষের চলাচলের অধিকার সবার আগে, সেই অধিকার আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। মিরপুর-১০ এর প্রধান সড়কের যত হকার ও অটোরিকশা আছে, সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। যারা এ ধরনের ইনফরমাল পেশায় যুক্ত আছেন, তাদের পুনর্বাসনের জন্যও আমরা প্ল্যাটফর্ম করব। তাদের জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা আমরা তৈরি করব। এই শহরটা সবার, সবাই একসাথে বসবাস করব; কিন্তু অন্যদের কষ্ট না দিয়ে, অন্যের অধিকার নষ্ট না করে। 

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

ঢাকা/এএএম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সাথে পুলিশের মতবিনিময়
  • ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিপিবি নেতার সৌজন্য সাক্ষাৎ
  • রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত স্থগিতের দাবি রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের
  • ট্রাম্প কানাডাকে ‘ভেঙে ফেলতে’ চেয়েছিলেন
  • পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
  • হামদর্দের গাজার জনগণের প্রতি মানবিক সহায়তা
  • প্রশাসক নিয়োগের বিরুদ্ধে রিট, ইউনিয়ন পরিষদটিতে চার মাস ধরে সব সেবা বন্ধ
  • সংসদে সংরক্ষিত আসন, না তৃণমূল রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ?
  • স্বচ্ছতার জন্য ডিএনসিসির প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে: