বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিসা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিন্তানের হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। এক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসা, ট্যুরিস্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা কোনো রকম ফি ছাড়াই পাওয়া যাবে। 

বুধবার দুপুরে রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালনা পর্ষদ ও আমদানি-রপ্তানিকারকদের মধ্যে দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। 

পাকিস্তানের হাই কমিশনার বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার কুটনৈতিক সম্পর্ক ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। এই সম্পর্ক আরও দৃঢ হোক এটাই প্রত্যাশা। 

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে অনেক পণ্যের চাহিদা রয়েছে। কোন কোন পণ্যের চাহিদা রয়েছে, সে বিষয়টি যাচাইয়ের মাধ্যমে স্পষ্ট করতে হবে। 

এ সময় রংপুর অঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো শুল্ক সুবিধা থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে পাকিস্তান সরকারকে এ বিষয়টি জানাবে বলে জানান হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।  

চেম্বার মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আকবর আলীর সভাপতিত্বে চেম্বার নেতা এবং আমদানি-রপ্তানিকারক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বক্তব্য রাখেন।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।

গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।

আরো পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।

অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।

ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”

হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ