বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচও কি বৃষ্টিতে ভেসে যাবে?
Published: 26th, February 2025 GMT
রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ডের ম্যাচটি হয়েছিল ঠিকঠাক। কিন্তু মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে বাগড়া দেয় বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টির কারণে খেলা মাঠে গড়ানো দূরের কথা টসও করা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টিতে ম্যাচটি পরিত্যাক্ত হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে উভয় দল।
একই ভেন্যুতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। দুটি দলই ইতোমধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে। এবার তাদের শেষ ম্যাচটিও কি বৃষ্টিতে ভেসে যাবে?
বৃষ্টিতে পুরো ম্যাচ ভেসে না গেলেও হানা দিতে পারে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি। বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১৫ থেকে ২২ কিলোমিটার।
আরো পড়ুন:
ইব্রাহিমের ইতিহাস গড়া ইনিংসে বড় সংগ্রহ পেল আফগানিস্তান
আইসিসি র্যাংকিংয়ে তাসকিন-তাওহীদ-জাকেরের উন্নতি
এদিন সর্বোচ্চ ৯.
পাকিস্তান প্রথম ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের কাছে ৬০ রানে হারে মানে। পরের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হার মানে ৬ উইকেটে। আর বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হার মানে ৬ উইকেটে। পরের ম্যাচে ৫ উইকেটে হার মানে নিউ জিল্যান্ডের কাছে। এই ম্যাচটি তাই উভয় দলের জন্য নিয়মরক্ষার।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই ঘোষণাপত্র হঠাৎ হয়ে গেল জুলাই সনদ, আপত্তি ফরহাদ মজহারের
কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র জনগণের অধিকার। এটা নিয়ে কোনো আপস করব না, এটা আমাদেরকে পেতেই হবে। গণ-অভ্যুত্থানের পর তাৎক্ষণিকভাবে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা। জুলাই ঘোষণাপত্র হঠাৎ হয়ে গেল জুলাই সনদ। আমরা তো কেউ জুলাই সনদ চাইনি। যারা জীবন দিয়েছে—আমাদের ঘোষণাপত্র কই?’
গতকাল শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শিল্পকলা একাডেমিতে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা ও ভাবগানের আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ফরহাদ মজহার।
গণ-অভ্যুত্থানের অভিপ্রায় ছিল গণ সার্বভৌমত্ব কায়েম করা মন্তব্য করে ফরহাদ মজহার বলেন, ক্ষমতার মালিক হবে জনগণ। যদি রাষ্ট্রের কাছে ক্ষমতা রেখে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রাখা হয়, তাহলে রাষ্ট্র আমলাতান্ত্রিকতা দিয়ে চলবে। বিভিন্ন বাহিনীসহ প্রশাসকেরা তখন শাসক হবে, ঠিক যেমন ইংরেজ শাসকেরা আমাদেরকে শাসন করেছে। তাই এই রাষ্ট্রব্যবস্থা চললে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়ে যাবে।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘তথাকথিত জাতীয় ঐকমত্য—এটা হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার পরিকল্পনা। জাতীয় ঐক্য ছিল—সেই জাতীয় ঐক্যের নাম গণঐক্য। গণঐক্য ছাড়া গণ-অভ্যুত্থান হয়নি। যদি জনগণ ঐক্যবদ্ধ না থাকত, তাহলে গণ-অভ্যুত্থান সম্ভব ছিল না। এখন যারা জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে, তারা গণঐক্যকে ধ্বংস করতে জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে। এখন এটা দিয়ে ছাত্রদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। গণঐক্য ছাড়া গণ-অভ্যুত্থান হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান করেছে জনগণ। এর পেছনে কোনো মাস্টারমাইন্ড কিংবা তথাকথিত বিশেষ কোনো গ্রুপের নেতৃত্ব ছিল না। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের দুটি চাওয়া ছিল—ব্যক্তির অধিকার ও ব্যক্তির মর্যাদা নিশ্চিত করা, আর দ্রুত অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত করা এবং তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। তা বাস্তবায়ন করতে হলে রাষ্ট্রকে সংস্কার নয় বরং নতুনভাবে গঠন করতে হবে।’
জুলাই ঘোষণাপত্র জনগণের অধিকার মন্তব্য করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর তাৎক্ষণিকভাবে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা। কিন্তু ৫ আগস্টের পর জনগণ যে ক্ষমতা পেয়েছিল, তা আবারও ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যেহেতু জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় জুলাই ঘোষণাপত্র হঠাৎ হয়ে গেল জুলাই সনদ। আমরা তো কেউ জুলাই সনদ চাইনি। আমাদের অভিপ্রায় আছে, আমাদের যারা জীবন দিয়েছে, আমাদের ঘোষণাপত্র কই?’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাব বৈঠকীর প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ রুমেল, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংস্কৃতি কর্মকর্তা সুদীপ্তা চক্রবর্তী, জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমন্বয়ক আজিজুর রহমান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সভাপতি আল আমিন শাহিন প্রমুখ। পরে একটি মনোজ্ঞ ভাবগানের আসর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।