কুষ্টিয়ায় মিরপুরের ইউএনওর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল
Published: 27th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিবি করিমুন্নেছার দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশ থেকে ইউএনওর বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের কাজে উদাসীনতা ও আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করার মতো বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়। দাবি না মানলে আগামী রবিবার (২ মার্চ) ইউএনওকে নিজ কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে ‘মিরপুরের সর্বস্তরের জনতা’র ব্যানারে শহরের ঈগল চত্বর থেকে ঝাড়ু মিছিল বের হয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ঝাড়ু মিছিলে অংশ নেন এলাকার কয়েকশ’ নারী-পুরুষ। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন মিরপুর পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রফিক, ধুবাইল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো.
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “ইউএনও বিবি করিমুন্নেছা মিরপুরে যোগদানের পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের পদধারীদের নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মিটিং করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছেন। তাকে মিরপুর থেকে বদলি করা হয়েছে। তবুও এখন পর্যন্ত ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি।”
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপসচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে বিবি করিমুন্নেছাকে পদায়নের মাধ্যমে বদলি করা হয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে। সেখানে তিনি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে ইউএনও বিবি করিমুন্নেছার বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদের দুইটি প্রবেশদ্বার বন্ধ রাখার অভিযোগ ওঠে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়াও নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিরা ভোগান্তিতে পড়েন। এছাড়া নিজ ক্ষমতায় উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের সীমানা প্রচীর নির্মাণের কাজ বন্ধ ও আওয়ামী লীগ পদধারী চেয়ারম্যানদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা সভা করায় আলোচনায় আসেন তিনি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য ইউএনও বিবি করিমুন্নেছার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ জ ল ক ষমত আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ৪টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে চারটি আসনে বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। শুধু নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় বিএনপির জাতীয় স্থানীয় কমিটির একাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকায়, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আজহরুল ইসলাম মান্নান এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ মাসুদুজ্জামান মাসুদ ধানের শীষ প্রতীকের সম্ভাব্য প্রার্থী।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে (সদর-বন্দর) মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন তিনবারের সংসদ সদস্য আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, বর্তমান সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু এবং বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী আবু জাফর আহমেদ বাবুল।
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনটি এখনো ফাঁকা রেখেছে দলটি। ধারণা করা হচ্ছে এ আসনটিতে গতবারের মতো জোটের প্রার্থী ছাড় পাবেন। তবে এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ী শাহ্ আলম, জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া, সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীও রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁ) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম ও যুব উন্নয়নের সাবেক মহাপরিচালক এসএম ওলিউর রহমান আপেল।
নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খাঁন আঙ্গুর ও তার ভাতিজা বিএনপির সহঅর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন।
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জে) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন।
এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২৩৮ আসনে আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করছি। আমাদের সঙ্গে যারা আন্দোলন করেছেন, তারা যে সমস্ত আসনে আগ্রহী সে সমস্ত আসনে প্রার্থী দেই। আমরা আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থী ঘোষণা করবো। এটা আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা, এর মধ্যেই পরিবর্তন হতে পারে।
বিশেষ করে, আমাদের শরিক দলগুলোর সাথে আলোচনা এবং স্থায়ী কমিটি যদি মনে করে কোনো আসনে পরিবর্তন আনবে, সেক্ষেত্রে নিয়ম মেনে পরিবর্তন আনবেন।”