বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপের আয়োজনে ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডের অষ্টম সংস্করণে একক বিজ্ঞাপনী সংস্থা হিসেবে এবার সবচেয়ে বেশি পুরস্কার অর্জন করেছে স্কয়ার গ্রুপের বিজ্ঞাপনী সংস্থা মিডিয়াকম লিমিটেড।

শনিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ছয়টি ক্যাটাগরিতে ১০টি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে এই বিজ্ঞাপনী সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

‘বেস্ট ইউজ অফ ডিসপ্লে’ ক্যাটেগরিতে ইস্পাহানি মির্জাপুর চায়ের জন্য দুটি এবং রাঁধুনীর জন্য একটি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে মিডিয়াকম। 

‘বেস্ট ইউজ অফ ডাটা অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স’ ক্যাটেগরিতে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্র্যান্ড সেনোরা এবং টফির জন্য একটি করে মোট দুটি পুরস্কার লাভ করেছে। এছাড়াও টফির জন্য ‘বেস্ট ডিজিটাল মার্কেটিং ফর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম’ ক্যাটাগরিতে পেয়েছে আরও একটি। 

বিকাশের কমিউনিটি বেইজড প্ল্যাটফর্ম আমার বিকাশের জন্য মিডিয়াকমের ‘প্রেমের বিকাশ’ ক্যাম্পেইনটিও তিনটি ভিন্ন ক্যাটাগরি ‘বেস্ট ইউজ অফ ইনফ্লুয়েন্সার’, ‘বেস্ট কন্টেন্ট মার্কেটিং’ এবং ‘বেস্ট ইউজ অফ টিকটক’-এ আলাদাভাবে তিনটি পুরস্কার জিতেছে। 

ডিজিটাল বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় মিডিয়াকমের এই সাফল্যে প্রতিষ্ঠানটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অজয় কুমার কুন্ডু বলেন, ‘ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডে মিডিয়াকমের সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন, আশা করি সামনের দিনেও এই সাফল্য অব্যাহত থাকবে।’  

প্রসঙ্গত, শর্ট লিস্টিং এবং গ্র্যান্ড জুরি এই দুই পর্যায়ে বাছাই শেষে ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডে ২৪টি ক্যাটেগরিতে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন জগতের ৭৪টি সেরা কাজকে পুরস্কৃত করা হয়। এ বছর পুরস্কারের জন্য সর্বমোট ১ হাজার ৫৭টি মনোনয়ন জমা পড়ে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ড য় কম র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় অপু গ্রেপ্তার

রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয় দেখানো হয়।

চক্রটি বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু এবং বাকি ৫ লাখ পান রিয়াদ। চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আমিনুল ইসলাম। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই  তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১২ জন সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেখায়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এ সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।

এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এ সময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরো ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ